বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:০১

টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রি করলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক!

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের মালামাল বিক্রি করলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক!
সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার।

বিদ্যালয়ের পুরোনো লোহার বেঞ্চ, জানালার গ্রিল ও পরিত্যক্ত জিনিসপত্রসহ মূল্যবান আসবাবপত্র গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী আবিদুর রেজা পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের।

এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের পুরোনো লোহার বেঞ্চ, জানালার গ্রিল, পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ও মূল্যবান আসবাবপত্রসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল মাত্র ৫৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে লোহার বেঞ্চ সংকট, কয়েক জোড়া বেঞ্চ মেরামত করে ব্যবহারে উপযোগী করা যেতো, তিনি তা না করে কাউকে না জানিয়ে আসবাবপত্রগুলো বিক্রি করে দেন।

গত ৫ আগস্ট বিগত সরকার পতনের কয়েকদিন পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছুটিতে চলে যান। এ সুযোগে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজের মতো করে কাজ শুরু করেন। বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম এক কালার করার নামে নতুন ডিজাইনের ইউনিফর্ম বানাতে বলেন। সেখানে এক জোড়া জুতার মূল্য দাঁড়ায় ২০০০-২৫০০ টাকা, যা অনেক দরিদ্র অভিভাবকের পক্ষে কিনা সম্ভব নয় বলে বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুকেও প্রকাশ পায়। এ ব্যাপারে কয়েকজন অভিভাবক অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

পুরোনো মালামাল বিক্রির বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, এতো টাকার আসবাবপত্র হবে আমার জানা ছিলো না। আমি ভাবছি ৫-৭ হাজার টাকার মালামাল হবে, তাই বিক্রি করে দিয়েছি। ইউনিফর্ম বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানে সবার একই কালারের ইউনিফর্ম করার বিষয়ে বলেছি, পরিবর্তন করতে বলিনি। জুতা (পিটি সুজ)-এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ করা হয়েছে কিনা তা আমি খতিয়ে দেখবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়