শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১০

শাহরাস্তি সুয়াপাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

তিন অভিভাবক সদস্যের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

শাহরাস্তি ব্যুরো
শাহরাস্তি সুয়াপাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

শাহরাস্তি উপজেলার সূয়াপাড়া জি.কে. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ফরমের মূল্য দশ হাজার টাকার নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ না করেই সদস্য পদ পেয়েছেন তিন অভিভাবক। তারা হলেন-জাফর আহমেদ, মাজহারুল হক মিঠু ও জাকিয়া সুলতানা। ফলে তাদের অভিভাবক সদস্য পদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ আহসান হাবীব ও মোঃ জামাল হোসেন নামে দুই অভিভাবক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিভাবক সদস্য নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়ন ফরমের ফি বাবদ নির্দিষ্ট কোনো টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক রেজুলেশন অনুযায়ী অভিভাবক সদস্যদের কাছ থেকে মনোনয়ন ফি বাবদ অফেরৎযোগ্য ১০ হাজার টাকা আদায় করেন। অভিযোগে আরো জানা যায়, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অভিভাবক সদস্যদের মনোনয়ন ফি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা ধার্য করা হলেও তৎকালীন কমিটি তাদের অনুগত কয়েকজন অভিভাবককে অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্যে অসৎ উদ্দেশ্যে মনোনয়ন ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। তাই এলাকার সাধারণ অভিভাবকগণ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত মনোনয়ন ফি'র কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তৎকালীন প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ শাহজাহান গত ৪ ফেব্রুয়ারি ৯জন সদস্যের মনোনয়ন জমা দেখান। কিন্তু মনোনয়ন বাবদ ৯০ হাজার টাকার জমা রসিদ যাচাই না করে ওই ৯ সদস্যকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আক্তার হোসেন জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিরণের নির্দেশে জাফর আহমেদ, মাজহারুল হক মিঠু ও জাকিয়া সুলতানার মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়। তাদের ৩ জনের মনোনয়ন ফি বাবদ ৩০ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা করা হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদ্য অপসারিত সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিরণ জানান, অভিভাবক সদস্যদের মনোনয়ন জমা নেয়া, টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব সদস্য সচিব তথা প্রধান শিক্ষকের, তিনি টাকা নিয়েছেন কিনা সেটা তিনি জানেন, এই বিষয়ে আমি অবগত না। অভিযুক্ত অভিভাবক সদস্য জাফর আহমেদ জানান, আমরা তিনজন অভিভাবক সদস্য হতে আগ্রহী ছিলাম না। সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিরণ আমাদের তিনজনকে সদস্য হতে অনুরোধ করেন। আমাদের মনোনয়ন বাবদ টাকা তিনি নিজেই পরিশোধ করেন বলে জানান তিনি। আরেক সদস্য মাজহারুল হক মিঠু জানান, আমরা জানি আমাদের মনোনয়ন ফির টাকা সভাপতি প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক টাকা না নিয়ে কেনো আমাদেরকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করেছেন এটা তার বিষয়, তিনি কেন টাকা জমা দেননি আমরা জানি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াসির আরাফাত জানান, টাকা জমা না করেই যারা অভিভাবক সদস্য হয়েছেন তাদের বলেছি টাকা স্কুল ফান্ডে জমা করে দিতে, তখন কেনো টাকা জমা হয়নি এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়