প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০১
চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংকের ঋণ
চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংকের ঋণ
|আরো খবর
চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এই তিনটি ব্যবসার বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তিনটি শাখার দেনা ২৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইট অ্যান্ড ট্রিট নামের চটপটির দোকানটি নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে। এর পাশেই ফিউশন ইটস নামের একটি রেস্তোরাঁ। আর লা এরিস্টোক্রেসি নামের অপর রেস্তোরাঁটি তিনবার জায়গা বদল করে এখন নগরীর আগ্রাবাদে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমি নওরোজ।
এভাবে নানা জায়গায় বারবার দোকান খোলা এবং বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা বলেছেন, লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ব্যাংক থেকে অধিক হারে ঋণ বরাদ্দের জন্য তিনি এই কৌশল নেন। অর্থের উৎস গোপন করা হয় এই প্রক্রিয়ায়। যেমন একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর, বিদেশে অর্থ পাচার, ট্রাভেলার্স চেকে রূপান্তর, একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অন্যান্য শাখায় বিভিন্ন নামে অর্থ সরানোর জন্য এই কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়। নাজমি নওরোজ রেস্তোরাঁ ব্যবসায় আয় উন্নতি যা-ই হোক না কেন, তিনি বারবার শাখা বাড়ানো বা নাম পরিবর্তন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের কূট কৌশলের আশ্রয় নেন।
বিলাসী জীবন : একটি ভাতের হোটেল এবং একটি চটপটির দোকানে বিক্রি-বাট্টা কত- তা নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের রয়েছে প্রশ্ন। তবে নাজমি নওরোজের বিলাসী জীবনের সঙ্গে এই দুইটি দোকান মেলানো অসম্ভব। তার নিজস্ব চলাফেরার জন্য আছে একটি টয়োটা ক্রাউন সেডান কার। নগরীর অভিজাত এলাকা নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে আছে দুটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টম্যাটে। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছেন লন্ডন ও কানাডায়।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রধান (উত্তর) মো. হাফিজুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, নাজমি নওরোজের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে মামলা করেছি। ঋণের টাকা আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে।
তথ্যসূত্র : কুমিল্লাডেইলি নিউজ