প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:২৩
হাজীগঞ্জে ছাত্র অন্দোলনে নিহত আজাদ সরকারের লাশ উত্তোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাজীগঞ্জের টোরাগড়ে নিহত আজাদ সরকারের (৬৫) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ১ মাস বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হাজীগঞ্জ পৌরসভাস্থ ৭নং ওয়ার্ডের টোরাগড় উত্তর-পশ্চিম পাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির পারিবারিক কবর স্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজাদ সরকার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু মিয়া সরকারের ছেলে। তার মৃত্যুর পর পরই লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে ঘটনার রাতেই জানাজা শেষে নিহতের নানার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দানশীল আজাদ সরকারের হত্যার শিকার হবার পরেই টোরাগড় গ্রাম অগ্নিগর্ভ হযে উঠে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরেই ছেলে আহমেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামী হলেন, টোরাগড় ৮নং ওয়ার্ড কাজী বাড়ির মৃত মেন্দু মিয়ার ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী মনির হোসেন মিঠু। একই মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. একরামুল ছিদ্দিক কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
এদিন দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক এর নির্দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেনের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্ল্যাহ জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেনের নেতৃত্বে লাশটি উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের পর ফের দাফন করা হবে।
আজাদ সরকারের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মগর্গে পাঠানো হয়েছে বিষযটি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজাদ সরকার আ.লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয় আজাদ সরকার। ওই দিন আরও শতাধিক লোকজন আহত হন। তাদের অনেকে এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।