বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৪১

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে দুদিন ধরে অচলাবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥
সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে দুদিন ধরে অচলাবস্থা
চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনার দৃশ্য।

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে গত দুদিন যাবৎ চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এ নিয়ে আগের দিন রোববার সকালে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা রোববার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের ইনচার্জসহ অন্যান্য শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে অভিযুক্ত সিনিয়র ১৬জন শিক্ষার্থী ২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে হল থেকে বের হয়ে যাবে মর্মে ইনচার্জকে নিশ্চিত করলে পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। কিন্তু ২ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেল পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করায় ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের নতুন-পুরাতন ও দ্বিতীয়  বর্ষের সকল শিক্ষার্থী প্রায় ২২০জন হল ত্যাগ করে ইনস্টিটিউটের আঙ্গিনায় অবস্থান নেন। প্রথম ও দ্বিতীয়  বর্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই ইনস্টিটিউটের সিনিয়র তিন বর্ষের ১৬জন শিক্ষার্থী আমাদের জুনিয়রদের ওপর নানান সময় প্রভাব বিস্তারসহ কারো কারো ওপর নির্যাতন করে আসছে। এছাড়া ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা চলাকালীন  একটু কড়াকড়ি করায় শিক্ষক মাহবুব হাসান ও নাজমুন নাহারের জোরপূর্বক পদত্যাগ চাওয়ায় ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করায় সিনিয়ররা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। এজন্যে আমরা গত ২১ আগস্ট ১৩ দফা দাবি নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবর স্মারকলিপি জমা দেই। এই দাবি পূরণ না হওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়রে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে রোববার সকাল থেকে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা শুরু হলে পরে তা মারামারি ও হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তবে এ বিষয়ে আহতরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার আসিবুল হাসিব বলেন, আমরা ৯ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে নার্সিং ইনস্টিটিউট গেলে কোনো শিক্ষার্থী কথা বলতে চাননি। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ জয়নব বেগম বলেন, যে দাবি নিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে আমরা  বসেছি। যেহেতু সমাধান হয়নি, সেহেতু বিষয়টি এখন ডিজি অফিস দেখবে। মঙ্গলবার ডিজি অফিস থেকে একটি টিম এসে এর সমাধান করবে।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়