রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৩৩

হামলা ও ক্ষয়-ক্ষতি

চাঁদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীই চালাচ্ছেন সেবা কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর পৌরসভার   কর্মকর্তা-কর্মচারীই চালাচ্ছেন সেবা কার্যক্রম

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্রই চাঁদপুর পৌরসভা কার্যালয়ও হামলার শিকার হয়। সরকারি কর্মদিবসে যে পৌরসভা ছিল কর্মব্যস্ত, গত ৫ আগস্ট সোমবার বিকালে পৌরসভার পুরাতন ভবনের নিচতলা সেটা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। নিচে রাখা ৩টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর কর আদায় ও লাইসেন্স শাখার থাই দরজা, জানালার কাঁচ ভাংচুর ও ভেতরে বিলের প্রিন্টের কাগজ, আসবাবপত্র মুহূর্তের মধ্যে তছনছ। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, কিছু আসবাবপত্র উধাও। ভবনের সামনে দেয়া হয়েছে আগুন। লুটপাট করে তিনটি কম্পিউটার তিনটি ল্যাপটপ ও তিনটি প্রিন্টার নিয়ে যায়।

হামলাকারীরা ভবনের উপরে না ওঠায় পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথিপত্রসহ অন্যান্য সবকিছু অক্ষত রয়েছে। সেই দিনের ঘটনায় দেশের প্রাচীনতম এই পৌরসভার যাই ক্ষতি হয়েছে। ভয়-ভীতি আতঙ্ক এবং ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে সেবা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার জানান, ঐদিন সাধারণ ছুটি থাকায় পৌরসভা ছিলো বন্ধ। কিছু কর্মচারি ছিলেন সেখানে। মেয়র, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের কেউ ছিলেন কার্যালয়ে।

এ অবস্থায় ওইদিন ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনার এক পর্যায় কিছু দুষ্কৃতিকারী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে পৌরসভার কর আদায় ও লাইসেন্স শাখার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনরায় সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, হামলা ভাঙচুরের ঘটনার পর পৌর পরিষদের মেয়র, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরগণ কেউ আর পৌরসভায় আসেননি। পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমরা যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছি তারা সবাই অফিস করছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া ঢাকাতে গেছেন। ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি।

মফিজ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে পৌরসভার কার্যক্রম চলছে।পৌর নাগরিকদের জন্ম সনদ নাগরিক সনদসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পানির বিল, ট্যাক্সের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পৌরসভার তহবিলে জমা হচ্ছে। পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক নেই।পৌরসভার তিনটি বিভাগের দশটি শাখার কার্যক্রম যথা নিয়মে চলছে এবং সবাই যথারীতি অফিস করছেন।

আজ ১১ আগস্ট রোববার থেকে পৌরসভার সকল কার্যক্রম পুরোপুরি ভাবে চলমান থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়