রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৫:৪৮

ফরিদগঞ্জে ঋণের ভারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহনন

অনলাইন ডেস্ক
ফরিদগঞ্জে ঋণের ভারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহনন

ফরিদগঞ্জ উপজেলার মৃণাল রায় (৬০) নামে একজন এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিভিন্ন এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে তিনি এই ঘটনা ঘটান। মৃত্যুর পুর্বে লিখে যাওয়া একটি চিরকুটে তিনি মৃত্যুর কারণ এবং ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যান। মৃত মৃণাল রায় কড়ৈতলী গ্রামের মৃত গোপাল রায়ের ছেলে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।

স্থানীয় লোকজন জানায়, মৃণাল রায় বিদ্যু বিভাগের লাইসেন্সধারী মিন্ত্রি ছিলেন। পরিবারে তেমন কোন ঝামেলা ছিল না। তবে অর্থনৈতিক ভাবে বেশি সমস্যায় ছিলেন। মৃত্যুর পুর্বে নিজের হাতে লিখে যাওয়া চিরকুটে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির চাপে তিনি মৃত্যুর এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি তার ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে ভালবাসেন। একদিনও তাদের ছাড়া থাকেন নি, বলে উল্লেখ করে যান।

মৃণাল রায়ের ছেলে তমাল রায় জানান, আমাদের পরিবারে কোন কলহ ছিলো না। এনজিওর কিস্তির টাকাসহ কিছু ঋণ আছে। আমরা রাতে এক সাথে রাতে ঘুমাইতে গিয়েছি। মা-বাবা একরুমেই ছিলো। সকালে মা ঘুম থেকে উঠে দেখে দরজার বাহির দিয়ে শিকল দেয়া। আত্মহত্যার আগে একটা কাগজ লিখে দিয়ে গেছে, লিখে গেছে বাবার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন জিতু বলেন, কিছু ঋণ আছে, বিশেষ করে কিস্তির টাকার জন্য মানসিক ভাবে হতাশা গ্রস্থ ছিলেন।

পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হোসেন আহমেদ রাজন বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক, আমি আত্মহত্যার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।, কিছু ঋণ আছে, যার মধ্যে কিস্তির টাকাই বেশি, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এটাই দেখা যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়