মতলব উত্তরের উজ্জ্বল হত্যার আসামি নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সংঘটিত আলোচিত ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিজি (৪৪) হত্যা মামলার পলাতক অন্যতম আসামি মো. ফরিদ গাজীকে (২৮) নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই চাঁদপুর।

সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে পিবিআই চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে রোববার (৩০ জুন) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার তল্লা পুকুরপাড় এলাকার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুরে নিয়ে আসে।

ফরিদ গাজী মুন্সীগঞ্জ জেলার মহেষপুর এলাকার বানিয়াল মহেষপুর (পশ্চিম কান্দি) গ্রামের মো. ছানাউল্লাহ গাজীর ছেলে।

হত্যার শিকার উজ্জ্বল মিজিও মুন্সীগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মো. খালেক মিয়াজী। উজ্জ্বল মিজি রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতেন এবং মতলব উত্তর উপজেলায় তার শ্বশুরবাড়ি। এই সুবাদে তিনি ঘটনার সময় মতলব উত্তরে ছিলেন।

পিবিআই এর দেওয়া তথ্যে জানানো হয় , ২০২২ সালের ৬ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে মতলব ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় উজ্জ্বল মিজিকে আসামিদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ঘটনাস্থলে ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভিকটিমের ডান পাশের হাঁটুর ওপরে কোমড়ের নিচে রানে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যার ঘটনার মামলাটি পিবিআইতে শিডিউলভুক্ত হওয়ায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার আদেশ বলে মামলাটি পিবিআই চাঁদপুর কর্তৃক অধিগ্রহণের পরে পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান করে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকাসহ মামলার ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্র আইনসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে উজ্জ্বল হত্যা মামলার এজাহার নামীয় বেশ কিছু আসামিদেরকে পিবিআই চাঁদপুর কর্তৃক গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।