প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৪, ২০:৫৮
হাইমচরে কলেজের জায়গায় দখল করে ভবন নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা
হাইমচর উপজেলার এমজে এস (মালের হাট যুব সংঘ) স্কুল এন্ড কলেজের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাদপুর। সোমবার ২৪ জুন স্কুল এন্ড কলেজের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাঁদপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৭৪২ / ২০২৪। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট নথি পর্যালোচনা করে অস্থায়ী স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জকে নোটিস প্রধান করে। নালিশি ভুমির দখল বিষয়ে মতামত সহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমিকে নোটিস প্রদান করেন। ২য় পক্ষ শাহলম বেপারিকে পরবর্তী তারিখ ২১/০৮/২০২৪ এ কারন দর্শাতে বলা হয়।
হাইমচর থানা পুলিশ আদেশ নামা নিয়ে শাহলম বেপারির নিকট গিয়ে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত স্থানে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা প্রদান করে আদেশ নামা দিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সরদার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, কলেজের জায়গা দখল করে স্থানীয় শাহলম বেপারি রাতের আধাঁরে ভবন নির্মাণ করার বিষয়টি পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পেলে বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে কলেজের জায়গা দখল মুক্ত করার লক্ষে চাঁদপুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করি। আদালত উক্ত ভবন নির্মাণের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ঘটনা স্থলে পুলিশ আসার পর সাহলম বেপারি আমাকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারতে তেড়ে আসেন। প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করার প্রতিবাদ করায় আজ আমি হুমকির মুখে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমি এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।
স্কুল এন্ড কলেজের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এসএম আল মামুন সুমন জানান, কলেজের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমার নজরে আসে। প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল মুক্ত করতে প্রধান শিক্ষক আইনের দারস্থ হয়েছেন। আদালত নির্মাণাধীন কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। যিনি ভবন নির্মাণ করেছেন কি কাগজের বলে করেছেন তা আদালতে পেশ করবেন। আদালত উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে যে রায় দিবে প্রতিষ্ঠান তাই মেনে নিবে। যেহেতু এই সম্পদ এমজে এস স্কুল এন্ড কলেজের নামে রেজিষ্ট্রি করা তাই আদালতের রায় কলেজের পক্ষেই আসবে বলে আমরা আশা করি। এটা কারো বেক্তিগত সম্পদ নয় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। আমরা কেউ চিরকাল থাকবোনা এই প্রতিষ্ঠান ঠিকই থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।