প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৫
মতলব হাইস্কুল জামে মসজিদের অযুখানা ও টয়লেটের কাজ বন্ধ
মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ে অসুবিধা
মতলব হাইস্কুল জামে মসজিদের অযুখানা, প্রস্রাবখানা ও টয়লেট ব্যবহারের কাজ বন্ধ থাকায় মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য অযু, প্রস্রাবখানা ও টয়লেট ব্যবহারে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজানে মুসুল্লিদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় সময়মত জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় করতে পারছে না মুসুল্লীরা। এতে মুসুল্লীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
১৭ মার্চ দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের অযুখানায় প্রচন্ড ভীড়। কেউ কেউ এ সমস্যার জন্য পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং ও বাড়ী থেকে অযু করে আসতে হয়। বিশেষ করে জোহর, আছর ও মাগরিব নামাজের সময় ব্যবসায়ীদের জন্য ভীষন অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।
মসজিদ কমিটির একাধিক সদস্য জানায়, পবিত্র মাহে রমজানে মুসুল্লীদের উপস্থিতি বেশী হওয়ার সম্ভাবনা সামনে নিয়ে মসজিদের পূর্বের অবস্থানে থাকা দীর্ঘ বছরের অযুখানা, প্র¯্রাবখানা ও টয়লেট ভেঙ্গে যথাস্থানে নির্মান কাজ শুরু করা হয়। যাতে মাহে রমজানের পূর্বে কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়। কিন্তু জনৈক মোঃ আলমগীর হোসেন বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার কারনে মসজিদের অযুখানা ও টয়লেটের কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর যাবৎ মসজিদের অযুখানা, প্রস্রাবখানা ও টয়লেট এই স্থানেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
একাধিক মুসুল্লি জানায়, দীর্ঘ বছর ধরে এখানে আমরা প্রস্রাব খানা, টয়লেটের কাজ সেরে অযু করে নামাজ আদায় করছি। মোঃ আলমগীর হোসেন যে জায়গা ক্রয় করেছে তার সীমানা প্রাচীর দিয়ে দিয়েছে। কোন অজ্ঞাত কারণে সে মসজিদের অযুখানা, ও টয়লেটের জায়গা নিজের বলে দাবী করে কাজটি বন্ধ রেখে মুসুল্লীদের মনোকষ্টের কারণ হচ্ছে। খুব শীঘ্রই অযুখানা, প্রস্রাবখানা ও টয়লেটের কাজ সমাপ্ত করার জন্য প্রশাসানিক সহযোগিতা কামনা করছি।
মতলব পৌর ভূমি অফিসের সরকারি সার্ভেয়ার আব্দুর রহিম মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়ে সরজমিন পরিদর্শন করেছি। কী কারণে মোঃ আলমগীর হোসেন বাধা দিচ্ছে সেটা আমার জানা নেই। মোঃ আলমগীর হোসেনের মুঠোফোন (০১৯৩৬০২৭৭৫৫) নাম্বারে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।