প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৩
জাটকা নিধন প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক
পুরো দুইমাস বিস্তৃত পরিসরে অভিযান হবে
যারা জাটকা কিনবে তারা অপরাধকে প্ররোচিত করবে
‘আর ধরবো না জাটকা-ইলিশ খাবো টাটকা, যাঁরা ধরে জাটকা তাদের ধরে আটকা’ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের এই আহ্বানে জাটকা নিধন প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।
|আরো খবর
বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম মোসা, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল। সভার শুরুতে কার্যপত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান।
আরো বক্তব্য রাখেন নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, কোস্টগার্ড কমান্ডার লেঃ ফজলু হক ও নৌবাহিনীর লেঃ জাহিদ। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, ৭১ টেলিভিশনের প্রতিনিধি মোঃ আল-আমিন, চাঁদপুর সদর চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, হাইমচর আলগী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল মাস্টার, চরভৈরবী ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল চোকদার, গাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন সবুজ প্রমুখ।
সভায় জাটকা নিধন প্রতিরোধের সাথে জড়িত জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আড়াইঘন্টা চলে এই সভা। দীর্ঘ আলোচনায় ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা নিধন প্রতিরোধে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভিযান সফল করার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জাটকা নিধন ও কিনে খাওয়ার চেয়ে মানুষের জীবন কিন্তু অনেক মূল্যবান। যারা জাটকা কিনবেন তারা অপরাধকে প্ররোচিত করবেন।
তিনি বলেন, পুরো দুইমাস নদীতে সুষ্ঠু ও সফলভাবে অভিযান পরিচালিত হবে। জাটকা নিধনে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে সবার সহযোগিতা নিয়ে সবাই মিলে অভিযান শেষ পর্যন্ত কাজ করব আমরা। জাটকা রক্ষায় আমাদের অভিযান হবে বিস্তৃত পরিসরে।
জেলা টাস্কফোর্স প্রধান আরো বলেন, মার্চ এবং এপ্রিল এই দুই মাস জাটকা শিকার, সংগ্রহ, মজুত কিংবা বিক্রয় করা যাবে না। ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সময় টাস্কফোর্সের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট অভিযান চলমান থাকবে।
জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর সারা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। ইলিশ সম্পদ যাতে ধ্বংস না হয় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ সকলকে জাটকা রক্ষায় সচেতন থাকতে হবে। জাটকার বিষয়ে কারো কাছে তথ্য থাকলে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য, মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা মেঘনা নদীতে ঘোষিত অভয়াশ্রমে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এই দুই মাস অভায়শ্রম এলাকায় জাটকা ছাড়াও অন্যান্য সকল ধরনের মাছ আহরণ মজুদ পরিবহন ক্রয় ও বিক্রয় বন্ধ থাকবে।