সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ২১:২০

শাহরাস্তিতে আলোচিত রিনা হত্যা মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ সুপার

স্টাফ রিপোর্টার
শাহরাস্তিতে আলোচিত রিনা হত্যা মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ সুপার

শাহরাস্তি উপজেলার আলোচিত রিনা হত্যার ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম। ১৯ নভেম্বর রোববার শাহরাস্তির টামটা উত্তর ইউনিয়নে সংঘটিত গৃহবধূ রিনা আক্তার (২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার নিহতের পরিবার ও স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানান, রিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের ব্যাপারে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, রিনা আক্তার (২৫) (পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-টামটা পাটোয়ারী বাড়ি, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন, থানা-শাহরাস্তি, জেলা-চাঁদপুরে)-এর সাথে দু মাস পূর্বে হাবিবুর রহমান (৪৫) (পিতা-লুৎফর রহমান, সাং-সুরসই, টামটা উত্তর ইউনিয়ন, থানা-শাহরাস্তি)-এর বিবাহ হয়। গত ১৭/১০/২৩ তারিখে রিনা আক্তার তার স্বামীকে না বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে যান। ১৭/১১/২৩ তারিখ রিনা আক্তার ঢাকা থেকে তার স্বামীর বাড়িতে গেলে এতোদিন কোথায় ছিলো রিনাকে তার স্বামী জিজ্ঞাসা করলে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বির্তক হয়। একপর্যায়ে স্বামী হাবিবুর রহমান উত্তেজিত হয়ে ছুরি দ্বারা রিনা আক্তারকে উপর্যুপরি ডান হাতের বাহু, পেটে, বুকে ও পায়ে আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে স্থানীয় ওয়ারুক বাজার মেডিল্যাব ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক রিনার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। তবে সেখানকার কর্মরত ডাক্তার রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই হত্যার ঘটনায় শাহরাস্তি মডেল থানার এফআইআর নং-৬, তারিখ-১৮ নভেম্বর, ২০২৩; জি আর নং-১৬৭, তারিখ-১৮ নভেম্বর, ২০২৩; সময়-১৫:৩০ ঘটিকা। ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০।

এজাহারনামীয় আসামীরা হচ্ছে : ১. মোঃ হাবিবুর রহমান খোকন (৪৫), পিতা-লুৎফুর রহমান লাতু, মাতা-রাবেয়া খাতুন অরুনী, গ্রাম- সুরসই (কাজী বাড়ি), উপজেলা-শাহরাস্তি, ২. আমেনা বেগম (৩০), স্বামী মোঃ আমজাদ হোসেন, গ্রাম-শিবপুর (বাংলাবাজার), টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন, উপজেলা-শাহরাস্তি, ৩. লাকী বেগম (৪৫), স্বামী মোঃ শাহিন মিয়া, গ্রাম-রাজাপুর, টামটা উত্তর ইউনিয়ন, উপজেলা-শাহরাস্তি, ৪. রাবেয়া খাতুন অরুনী (৬২), স্বামী : লুৎফুর রহমান, গ্রাম-সুরসই (কাজী বাড়ি), উপজেলা-শাহরাস্তি, ৫. লুৎফুর রহমান (৬৮), পিতা-মৃত আবুল হাশেম, গ্রাম-সুরসই (কাজী বাড়ী), টামটা উত্তর ইউনিয়ন, উপজেলা-শাহরাস্তি, জেলা-চাঁদপুরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।

পুলিশ সুপারের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু, সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল), অফিসার ইনচার্জ, শাহরাস্তি মডেল থানা সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসারবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়