বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:০৬

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে বাবার ৯৯৯ এ ফোন

স্টাফ রিপোর্টার
সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে বাবার ৯৯৯ এ ফোন

গত ১৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটে হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামের নুরু মিয়া বেপারি বাড়ীতে রায়হান হোসেন (বাবু)র নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হারুন বেপারির পালিত সন্তান (২০০৯ সালে নদী বাঁধের কাজ চলা কালীন সময়ে আনুমানিক তিন বছরের ছোট বাচ্চাকে পাওয়া) জাহিদুল ইসলাম সাগর(১৭) কে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হাত পা বেঁধে মধ্যযোগীয় কায়দায় বেধড়ক মারধর করে।বাড়ীর সামনে থেকে মারতে মারতে দূরে বেড়ীবাঁধের উপর নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পিছনে পিছনে ছেলেকে বাঁচাতে বাবা সন্ত্রাসীদের হাতে পায়ে ধরলে সন্ত্রাসীরা জাহিদুল ইসলাম সাগরের বাবাকে অস্ত্রের মূখে হুমকি দিয়ে বাড়ীঘর ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং ধাক্কা দিতে দিতে বাড়ির ভিতরে জোরপূর্বক পাঠিয়ে দেয়।নিরুপায় হয়ে বাবা তার সন্তানকে বাঁচাতে ৯৯৯ এ কল দেন।তিনি ৯৯৯ এ কল দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম সাগর এর জান ভিক্ষা চান এবং ঘটনাস্থলের ঠিকানা দেন।তিনি ৯৯৯ আরও বলেন যাতে করে কল দাতার নাম গোপন রাখা হয়।

৯৯৯ এ কল দেওয়ার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে হাইমচর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।পুলিশ দেখে এলাকার প্রভাবশালী ঐ সন্ত্রাসী গ্রুপের কয়েকজন বলে যে, জাহিদুল ইসলাম সাগর মিজানুর রহমান ভূইয়ার ঘরের সৌরবিদ্যুতের ১২ ভোল্ট RIMSO ব্যাটারী চুরি করে নেওয়ার সময় তাকে হাতেনাতে ধরে পাবলিক মারধর করে।ঘটনাস্থলে সাধারণ মানুষ উপস্থিত থাকলেও কেউ ভয়ে পুলিশের কাছে কিছু বলে না।হাইমচর থানা পুলিশ রাতে জাহিদুল ইসলাম সাগর কে পুলিশি হেফাজতে থানায় নিয়ে যান।কিন্তু ততক্ষণেও হারুন বেপারি সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ী থেকে বের হতে পারেননি।কারন বাড়ীর সামনে তখনো কয়েকজন লাঠিসোঁটা ও অস্ত্র নিয়ে ঘুরাঘুরি করছিলো।পরের দিন ১৮ই অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১ টায় মিজানুর রহমান ভূইয়া বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।হাইমচর থানা পুলিশ ১৮ই অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম সাগর কে কোর্টে ফেরন করেন।ম্যাজিস্টেট কোর্ট মামলার ধারা অনুযায়ী সাগরকে জেল হাজতে ফেরন করেন। অসহায় বাবা সারাদিন চাঁদপুর জেলা কোর্টের বারেন্দায় বারেন্দায় ছুটাছুটি করেও ছেলেকে জামিনে বের করতে পারেন নি।রাতে বেধড়ক মারধর করা ছেলেকে উপযুক্ত চিকিৎসাও দিতে পারেননি।

এত কিছু ঘটার পরও পুলিশি তদন্তে কেন সত্য উদঘাটন হলো না?চরভাঙ্গা গ্রামে সন্ত্রাসী প্রভাব এতটাই যে,এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে মূখ খুলছে না।

সচেতন ও নেটিজেনদের প্রশ্ন,

তাহলে,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ এগুচ্ছে কোন পথে?জননেত্রী শেখ হাসিনার কস্টে রঞ্জিত ডিজিটাল বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে কতিপয় সন্ত্রাসীদের কারনে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, এর দায় কে নিবে?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়