প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ২০:২৬
নারায়ণপুর মীম জেনারেল হসপিটাল অবৈধভাবে পরিচালনা
সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে মতলব দক্ষিণে নারায়ণপুর মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিবের সাথে চরম অশোভন আচরণ করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব। এ সময় তিনি বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। ২৯ মে বিকেলে নারায়ণপুর পূর্ব বাজারে অবস্থিত ওই হাসপাতালে এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটে। এতে করে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২১ মে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ্ স্বাক্ষরিত এক আদেশে (স্মারক নং উঃ স্বাঃ কর্ম/মত (দঃ) চাঁদ/২০২৩/৪৯৯) উপজেলার নারায়ণপুর বাজারের মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ তিনটি হাসপাতালকে ৩ দিনের মধ্যে বন্ধ করে লিখিতভাবে প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছেন মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিবের সাথে চরম অশোভন আচরণ করেন হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব। এ সময় নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সায়েম মাস্টার ও মতলব প্রেসক্লাবে সদস্য সাংবাদিক সমির ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। এমন আচরণের ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে তিনি সাংবাদিক হাসিবের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল প্রধান হাসিব জানান, গত ২১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে মোট তিনটি হাসপাতাল বন্ধ করার জন্যে বলা হয়। কিন্তু আমাদের কাছে অভিযোগ আসে নিয়মবহির্ভুতভাবে এবং স্বাস্থ্য কর্মর্কর্তার নির্দেশ অমান্য করে নারায়ণপুর বাজারের মীম জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব আমার সাথে খারাপ আচরণসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। এ সময় আমার সহকর্মী নারায়ণপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সায়েম ও মতলব প্রেসক্লাবের সদস্য সমির ভট্রাচার্য বলু উপস্থিত ছিলেন। তখন আমি এমন অশোভন আচরণের ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে তিনি আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন বিপ্লব জানান, লাইসেন্স পেতে সিভিল সার্জন অফিসে দেড় লক্ষ টাকা চায়। তাই এখনো লাইসেন্স পাইনি। লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সিভিল সার্জন দেখবে। আপনারা গিয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ্ জানান, মীম জেনারেল হসপিটালসহ তিনটি হাসপতালকে আমরা অফিসিয়ালভাবে চিঠি দিয়েছি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানানো হয়েছে। যদি কেউ আইন অমান্য করে তবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হ বে।