প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪৩
চাঁদপুর মেঘনায় জাল নৌকাসহ ২৯ জেলে আটক
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ২৯ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় জেলেদের কাছ থেকে এবং নদীতে পেতে রাখা ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ’ মিটার কারেন্টজাল সহ বিভিন্ন জাল, ৫টি মাছ ধরার নৌকা ও ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাটকা রক্ষায় বুধবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘন্টায় অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নদী হতে মাছ ধরার সময় হাতে নাতে ২৯ জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেদের মধ্যে ৮জনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়। এছাড়া ৩ জন শিশু জেলেকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত কারেন্টজার আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মাছ ধরার ৫ নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে। আর ১৮৮ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলার আসামীরা হলেন- মো. ফারুক (২৬), মো. কবির (১৯), মো. শামীম (১৯), মো. ইমরান (১৯), মোঃ মাহবুব (২০), জাবের হোসেন (১৯), আলমগীর প্রধানিয়া (৪০), রাশেদ হোসেন শেখ (২২), রফিকুল ইসলাম বেপারী (৬০), শাহাদাত হোসেন ইমান (২০), সৈয়দ হোসেন শিকদার (৬২), বিল্লাল হোসেন প্রধানিয়া (৩০), দুলাল মৃধা (৩৮), আক্তার হোসেন গাজী (৪৫), আবদুল করিম তপাদার (৪৫), আজির আলী মির (৫০), মহসিন প্রধানিয়া (৪০), আল-আমিন হাওলাদার (২৬)। এদের বাড়ী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়।
এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার নুনের টেক এলাকার শুক্কুর আলী (৩৪), আমির হোসেন (৩২), শিপন (২০), সেন্টু (৩২), মাঈন উদ্দিন (১৯), কবির হোসেন (২২), মো. সুমন (২০), শেখ ফরিদ (২৮)। অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু জেলেরা হলেন- শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার আরিফ (১২) মো. নোমান (১৩) ও সাব্বির বেপারী (১৩)। এবারও জাটকা রক্ষায় সরকার ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ দু'মাস জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়।