বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৫২

জমিজমা সংক্রান্ত মামালায় রামপুর ইউপি সদস্য ৫ বছর কারাদন্ড

গোলাম মোস্তফা
জমিজমা সংক্রান্ত মামালায় রামপুর ইউপি সদস্য ৫ বছর কারাদন্ড

চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মনিহার গ্রামের মোল্লা বাড়ীর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের মামলায় ঘটনাকে কেন্দ্র মারামারি ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল বাশার মোল্লাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর চাঁদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আবুল বাশার মোল্লা ওই গ্রামের মোল্লা বাড়ীর মো. শামছুল হক মোল্লার ছেলে।

একই মামলায় আবুল বাশার ২নং আসামী। ৩নং আসামী আবদুল বারেক মোল্লার বিরুদ্ধে ৩২৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫হাজার টাকা অর্থ এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উল্লেখিত আসামীদের অনপুস্থিতিতে রায় দেন বিচারক।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, মামলার ১নং আসামী তৎকালীন ওই এলাকার চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীসহ এজহারভুক্ত অন্য আসামীদেরকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার দায় থেকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।

২০০৬ সালের ১৮ জুলাই তারিখে মারামারি ঘটনায় সোসাম্মৎ পারুল বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী জানান, ২০০৬ সালে ঘটনার সময় আবুল বাশার ইউপি সদস্য ছিলেন না। তিনি গত নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ড থেকে এই প্রথম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।

এদিকে মামলা রায় হওয়ার পর চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পলিশ (ডিবি) আসামী আবুল বাশার মোল্লাকে ২২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে জেলা কারাগারে আছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সরকার জানান, সরকার পক্ষের আইনজীবীর পাশাপাশি মামলাটি আমি অল্প কিছুদিন পরিচালনা করেছি। তবে মনিহার গ্রামের মারামারির ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে খুবই আলোচিত। ওই ঘটনার পর পুলিশ বেশ কিছুদিন ওই বাড়ী নজরদারীতে রেখেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়