প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে চাঁদপুর বিচার বিভাগের শোকসভা
বঙ্গবন্ধু সবসময়ই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চাইতেন : জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সদস্যদের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর বিচার বিভাগের আয়োজনে শোকসভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
১৫ আগস্ট সকালে শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত শেষে শোকসভার আয়োজন করা হয়। আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলো চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতি।
জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময়ই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চাইতেন। মহান এই নেতার বিচার বিভাগ সম্পর্কে ভালো ধারণা ছিলো। তিনি এদেশকে ভালোবেসে যে আত্মত্যাগ করে গেছেন তার প্রেক্ষিতে আমাদের সবার কর্তব্য হবে মানুষ যেনো কম খরচে দ্রুত ও সঠিকভাবে আদালতে ন্যায় বিচার পায় তার চেষ্টা করা।
তিনি আরো বলেন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে আমরা বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের পরিচয় পাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭২ সালে পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে দেশ গঠনে মনোনিবেশ করেন। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, বিচারকদের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করেন।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর দেশ গঠনের প্রক্রিয়াকে সহ্য করতে পারেনি। তিনি শুধু বাংলাদেশের নন, সারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের অন্যতম।
শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারহানা ইয়াছমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম ও জেলা দায়রা জজ (১) শাহেদুল করিম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২) অরুণ পাল, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাসান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ মহিউদ্দিন ও সহকারী জজ ইব্রাহিম সরকার।
সহকারী জজ ফাতেমা-তুজ-জোহরার পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী আব্দুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডঃ মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, অ্যাডঃ রুহল আমিন সরকার, অ্যাডঃ জসিমউদদীন পাটওয়ারী, সেরেস্তাদার আব্দুল ওয়াদুদ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ফখরুদ্দিন প্রমুখ।