প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১৪
দামেস্ক থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ উড়োজাহাজটি সম্পর্কে যা জানা গেল
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করার পর, দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজ আকাশে উড়াল দেয়। ‘সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি’ দামেস্ক থেকে উড়াল দেয়া সর্বশেষ ফ্লাইট বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরাডার ২৪। স্বাধীন সংস্থা ফ্লাইটরাডার ২৪ বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের ওপর নজর রাখে এবং তাদের ওয়েবসাইটে লাইভ মানচিত্র আকারে সে তথ্য প্রদান করে।
|আরো খবর
ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্যানুযায়ী, দামেস্ক থেকে ছাড়া ইলিউশিন৭৫ উড়োজাহাজটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পরে ইউ-টার্ন নিয়ে উড়ে যেতে শুরু করে এবং কয়েক মিনিট পর সেটি মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হওয়ার সময় উড়োজাহাজটি হোমসের ওপর ছিল বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
ওই উড়োজাহাজে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ছিলেন কিনা, রয়টার্স তা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, রোববার স্থানীয় সময় ভোরে উড়োজাহাজে দামেস্ক ছেড়েছেন আসাদ। তখন তারা বলেছিলেন, আসাদের গন্তব্যে কোথায়, তা তারা জানেন না।
ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যের বরাতে রয়টার্স বলছে, রাজধানীকে বিদ্রোহীরা দখল করে নেয়ার খবর পাওয়া যাওয়ার সময় সিরিয়ান এয়ারের একটি বিমান দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। বিমানটি প্রাথমিকভাবে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়েছিল, যা আসাদের আলাউইট সম্প্রদায়ের শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু তারপরে একটি আকস্মিক ইউ-টার্ন নিয়ে বিপরীত দিকে উড়ে যায়। পরে আর মানচিত্রের মধ্যে ওই বিমান দেখা যায়নি। এই বিমানটির সর্বশেষ অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
দামেস্ক বিমানবন্দর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে আসাদ সিরিয়া ছেড়ে গেছেন বলে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হঠাৎ করেই দেশটির সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। দুর্বার গতিতে তারা দখলে নেয় দেশটির দ্বিতীয় বড় শহর আলেপ্পো। এরপর একের পর এক শহর দখল করে রাজধানীর দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করে বিদ্রোহীরা। অভিযান শুরুর মাত্র ১২ দিনের মাথায় বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্ক দখল করে।
তথ্যসূত্র :চ্যানেল ২৪।