প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৭
ফরিদগঞ্জে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন- ২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া।
|আরো খবর
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েলের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমটিইপিআই নুরুল আমিন ও এইচআই ডা. বিদান। উক্ত ক্যাম্পেইনে ৩১ জন কিশোরীকে এই টিকা দেয়া হয়। নারীদের অন্যতম সমস্যা জরায়ুমুখ ক্যান্সার। প্রতি বছর বিশ্বে বহু নারী এই ক্যান্সারে মারা যান। জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। এর প্রতিষেধক হিসেবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীদের টিকা দেওয়া হয়, যা এইচপিভি টিকা নামে পরিচিত।
গত বছরের (২০২৩) অক্টোবর থেকে ইউনিসেফ, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভি ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশ এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। উদ্দেশ্য হলো-- মেয়েদেরকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিবেচনায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। যার মধ্যে ৪,৯০০ জন মারা যান। এক্ষেত্রে এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর টিকাগুলোর মধ্যে একটি। এইচপিভি দ্বারা সৃষ্ট ৯০ শতাংশের বেশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে এই টিকা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এই টিকা নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। তাই ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশু- কিশোরীদের নিয়মিতভাবে এইচপিভি টিকা নেওয়ার প্রতি জোর সুপারিশ করছি। যাতে তারা এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার আগেই সুরক্ষিত থাকতে পারে। শুধু শিশু- কিশোরী নয়, ২৬ বছর বয়সের যুবতীরাও এই টিকা নিতে পারবে। টিকা নেওয়ার পর ওই স্থানে ব্যথা, লালভাব বা ফোলাভাব হতে পারে। কেউ কেউ সাময়িক সময়ের জন্যে অচেতন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাথা ঘোরা এবং কানের মধ্যে শব্দ হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে টিকা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করবেন অথবা কার্ডে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।