প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫৬
শাহরাস্তিতে এইচপিভি টিকা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা
দেশে নারীরা যত ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যান্সার। প্রতি বছর লাখে ১১ জন নারী এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর বছরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় ৫ হাজার নারী।
|আরো খবর
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভায় বক্তারা এসব তথ্য জানান।
আগামী ২৪ অক্টোবর শুরু হওয়া এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। সরকারিভাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে। শাহরাস্তিতে ইতোমধ্যে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। আর টিকাদান কর্মসূচির শেষ দিন পর্যন্ত মাইকিং কার্যক্রম চলবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাতের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সারোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অচিন্ত্য কুমার চক্রবর্তী, মেডিকেল অফিসার ডা. জিল্লুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাকসুদ আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল বাসার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ ইসহাক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলী আশ্রাফ, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফুর রহমান ভুঁইয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরও জানান, এ বছর দেশের অন্তত ৯৫ শতাংশ কিশোরীকে এইচপিভি টিকার আওতাভুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। সে লক্ষ্যে স্কুল ও মাদ্রাসাগুলো থেকে সহায়তা পাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। টিকা নিলে কিশোরীরা সুস্থভাবে বাঁচতে পারবে।