প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:৩১
হোটেলে না জেনে বিষ খাচ্ছে হাজীগঞ্জের সাধারণ মানুষ?
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবটেস্ট
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম অফিস কর্তৃক হাজীগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন হোটেলসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবটেস্ট পরিচালনা করেছে। দুটি হোটেলে যা পাওয়া গেছে তা দেখে তাজ্জব বনে গেছেন খোদ দলটিসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা।
|আরো খবর
ভ্রাম্যমাণ ল্যাবটেস্ট কর্তৃপক্ষ জানান, হাজীগঞ্জ বাজারের আল মদিনা হোটেলে প্রায় এক মণ দুধ থেকে স্যাম্পল নিয়ে তাৎক্ষণিক ল্যাব টেস্ট করা হয়। টেস্টে দেখা যায় পুরো দুধটাই ভেজাল। পুরোটাই ইউরিয়া ও ডিটারজেন্টে তৈরি তরল দুধ। হাজীগঞ্জ বাজারের শেরাটন হোটেলের বয়দের শরীরে মিলেছে ভয়ানক সব জীবাণুু। খাওয়া-দাওয়া নামের আরেকটি বড় হোটেলে পাওয়া গেছে অতিরিক্ত পোড়া তেলের ব্যবহার।
অন্যদিকে হাজীগঞ্জ বাজারের গাউছিয়া হাইওয়ে হোটেল অ্যান্ড হাইওয়ে ও প্রিন্স হোটেলে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। একই বাজারের হলুদ পট্টির বেশ কিছু দোকান থেকে মসলার স্যাম্পল নিয়ে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করা হলে তাতে ভেজাল পাওয়া যায়নি।
টেস্ট পরিচালনা করেন নিরাপদ খাদ্য বিভাগ চট্টগ্রামের ভ্রাম্যমাণ ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইদুল হোসেন ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম রমিজ।
সামছুল ইসলাম রমিজ জানান, আল মদিনা হোটেলের দুধে দুধের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ডিটারজেন্ট আর ইউরিয়া পাওয়া গেছে। শেরাটন হোটেলের হোটেল বয়দের হাতে একশ’ মাত্রার ব্যাকটেরিয়া ছাড়িয়ে ৫শ’-এর উপরে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। যেখানে পোড়াতেল বিষাক্ত হলে দূষণের মাত্রা ১শ’ হয়, সেখানে খাওয়া-দাওয়া হোটেলের পোড়া তেলে সেই তেলে ৫শ’ মাত্রা পাওয়া গেছে।
সাইদুল হোসেন জানান, আমরা যে তিনটি হোটেলে বড় ধরনের অনিয়ম পেয়েছি, তার রিপোর্ট চট্টগ্রাম অফিস থেকে জেলা অফিসে পাঠাবো। সেই আলোকে জেলা অফিস ব্যবস্থা নেবে।