বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ০০:০০

তীব্র গরমে যতো সমস্যা

ডাঃ মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

তীব্র গরমে যতো সমস্যা
অনলাইন ডেস্ক

জলবায়ু দূষণের ফলে আমাদের চারপাশের আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে, যার ফলে সারা বিশ্বে বাড়ছে তাপমাত্রা। অতিরিক্ত গরমে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। কিছু সতর্ক পদক্ষেপ নিলে এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

পানিশূন্যতা

গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ-পানি বের হয়ে যায়। ফলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, দুর্বল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। পানিস্বল্পতা সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হতে পারে। তাই শরীরের কোষ সজীব রাখতে দিনের বেলায় প্রচুর পানি খেতে হবে। লবণের অভাব পূরণ করতে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিস্বল্পতা হলে প্রস্রাব হলুদ ও পরিমাণে কম হবে এবং জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে। এমন হলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক রং ফিরে না আসা পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি, ডাব, লেবুর শরবত বা ফলের রস পান করুন। ভাজা-পোড়া, বেশি তেল-মসলাজাতীয় খাবার একদমই খাবেন না। সাধারণ খাবার যেমন ভাত, সবজি, মাছ ইত্যাদি খাওয়াই ভালো। খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত।

ঘামাচি

গরমের যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা ঘামাচি। ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে শরীরে যাতে ঘাম ও ধুলোবালি না জমে থাকে সেদিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন। গরমে সিনথেটিক পোশাক পরা চলবে না। সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। দিনে দুবার পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে গোসল করতে পারেন।

ডায়রিয়া

গরম এলেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। দুই বছরের নিচে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রধান কারণ হলো, রোটা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। শিশুদের অবশ্যই রোটা ভাইরাসের টিকা দিন। পানি ও খাবারের মাধ্যমে ডায়রিয়ার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। তাই যত কষ্টই হোক রাস্তার বা বাইরের খোলা শরবত, জুস বা অন্য কোনো পানীয় পান করবেন না। বাইরে গেলে সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির বোতল রাখুন। রাস্তাঘাটের অধিকাংশ খাবার দূষিত থাকে, তাই গরমে এ দূষিত খাবার খেয়েই অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। ডায়রিয়া এড়াতে প্রতিবার খাবারের আগে হাত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। বাসি, পচা খাবার খাওয়া যাবে না।

সর্দিজ্বর

শিশুরা গরমের দিনে রোদে গেলে বাইরের তাপ ও শরীরের তাপের মধ্যে সমতা থাকে না বলে সর্দি ও জ্বর হতে পারে। কড়া রোদে শিশুদের বাইরে নেওয়া ঠিক নয়। জ্বর হলে শরীরে সঞ্চিত শর্করা বেশি হারে খরচ হতে থাকে। এ সময় শরীর থেকে প্রচুর পানি, ঘাম ও প্রস্রাব বেরিয়ে যায়। এ সময় ফলের রস দিলে খাবারের রুচি বাড়বে এবং স্যুপ খাওয়ালে ক্ষুধা বাড়বে। গরমের সর্দিজ্বর সাধারণত দুই-তিন দিনে ঘরোয়া পরিচর্যাতেই সেরে যায়। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ছত্রাক সংক্রমণ

গরমে শরীরে ঘাম জমে ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। ঘাম শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বিশেষ করে কুঁচকিতে, আঙুলের ফাঁকে ও জননাঙ্গে জমা হয়ে সেখানে ছত্রাক সংক্রমণের পথ বিস্তার করে দেয়। তাই এ সময়ে ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে হলে শরীরের ভাঁজগুলোতে ঘাম জমতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ছত্রাকবিরোধী পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

হিটস্ট্রোক

অতিরিক্ত রোদ ও গরমে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ সময় রাস্তায় হঠাৎ কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে বা অজ্ঞান হতে দেখলে শুরুতেই তাকে ঠাণ্ডায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। পা কিছুটা ওপরে তুলে শুইয়ে দিন। ঠাণ্ডা পানি বা পানীয় খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, পানিশূন্যতা দূর করার পানীয় দেওয়া যেতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভেজা কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে। বগলের নিচে এবং ঘাড়ে গলায় ঠাণ্ডা পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সাধারণত ৩০ মিনিটের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেলে বুঝতে হবে, অসুস্থতা গুরুতর নয়। কিন্তু ৩০ মিনিটের মধ্যে সুস্থ না হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়