প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৩
বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সচেতনতা প্রয়োজন
দুই বছর বা তার থেকে বেশি সময় চেষ্টা করার পড়েও গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বন্ধ্যাত্ব বলে। ৮ শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্বের শিকার হন। বন্ধ্যাত্ব স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের কারণে হতে পারে। বন্ধ্যাত্ব দু ধরনের। প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব তথা বিবাহের পর সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কখনই গর্ভধারণ না হওয়াকে প্রাথমিক বন্ধ্যাত্ব বলে। পরবর্তী বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যাত্ব হলো কোনো নারী প্রথমবার গর্ভধারণের পর দ্বিতীয় বার আর যদি গর্ভধারণ করতে না পারে তবে তাকে পরবর্তী বা দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্ধ্যাত্ব বলে। কারণ : বন্ধ্যাত্ব স্বামী বা স্ত্রী যে কোনো একজনের কারণে হতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজে অন্যায়ভাবে শুধুমাত্র স্ত্রীদের দোষারোপ করা হয়। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামীকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়েতে উৎসাহিত করা হয়।
স্বামীর কারণে বন্ধ্যাত্ব
* স্বামীর বীর্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শুক্রাণু না থাকলে।
* মৃত শুক্রাণু বা শুক্রাণুবিহীন বীর্যের কারণে
* একটি অণ্ডকোষ/লুপ্ত প্রায় অণ্ডকোষ/অণ্ডকোষ জন্মগতভাবে না থাকলে।
* অণ্ডকোষের প্রদাহ, মাম্পস বা গলা ফুলা রোগের প্রদাহের কারণে।
* বিকৃত শুক্রাণু থাকলে।
* যৌন ক্রিয়ায় অক্ষম হলে।
* শুক্রাণু বেঁচে থাকার জন্যে প্রয়োজনীয় তাপ ও পরিবেশ অণ্ড কোষে না থাকলে।
* যৌনাঙ্গে যক্ষ্মা, গনোরিয়া প্রভৃতি রোগ থাকলে।স্ত্রীর কারণে বন্ধ্যাত্ব
* যদি জরায়ুর আকার ছোট হয়।
* ডিম্বাশয় যদি সঠিক ভাবে কাজ না করে।
* মাসিকের সমস্যা থাকলে।
* বস্তি কোটরের প্রদাহ হলে।
* বংশগত।
* জরায়ুতে টিউমার হলে।
* যক্ষ্মা গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ হলে।
উল্লেখিত কারণগুলো ছাড়াও স্ত্রীর ডিম্ব ক্ষরণের সময় যৌনমিলন না হলে গর্ভধারণ হয় না।রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা
বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্ণয়ে প্রথমে স্বামীর বীর্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। স্বামীর শারীরিক পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি কোনো অসুবিধা ধরা না পড়ে তখন স্ত্রীকে পরীক্ষা করতে হবে। স্ত্রীর পরীক্ষাগুলো ব্যয়বহুল বিধায় প্রথমে স্বামীকে পরীক্ষা করা উচিত।
পরামর্শ : যদি কোনো দম্পতির একবারেই সন্তান না হয় অথবা সন্তান হওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তান কাক্সিক্ষত সময়ে না হয় তবে তাদেরকে নিন্মলিখিত পরামর্শ দেয়া উচিত।
* স্বামী ও স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে দুশ্চিন্তা কমাতে হবে (সব ঠিক থাকার পরেও শতকরা ২০ ভাগ দম্পতির ১ বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে, শতকরা ১০ ভাগ দম্পতির ২ বছরে বাচ্চা নাও হতে পারে)।
* স্ত্রীর ডিম্বক্ষরণের সময় অর্থাৎ মাসিক শুরুর ১১তম দিন থেকে ১৮তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সম্ভব না হলে ১ দিন পরে পরে স্বামীর সাথে মিলনের পরামর্শ দিতে হবে।
* স্বামীর বা স্ত্রীর কোনো জটিল রোগ বা যৌনরোগ থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। স্বামী বা স্ত্রীর ধূমপান, মদ্যপান, যে কোনো নেশা গ্রহণ, একনাগাড়ে দীর্ঘদিন অ্যান্টিহিস্টামিন খাওয়া বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ওজন থাকলে কমাতে হবে।ডাঃ মাজহারুল হক পাটোয়ারী : বি.এ. ডি.এইচ.এম.এস. (বি.এইচ.বি.) ঢাকা। ডি.ইউ.এম.এস. (কন্ট), এম.এইচ.জি. (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ঢাকা।
ইসলামিয়া হোমিও হল। চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর। মোবাইল : ০১৯২২৪৯২৬২৪ ও ০১৭৯৪৫০৯০৮০