প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২১, ২০:৩৫
লক্ষণ না থাকলেও করোনায় পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার বড়ালি গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক খিতিশ চন্দ্র শীল ছোট ছেলে পল্লী চিকিৎসক পলাশ চন্দ্র শীল (৩০) করোনা আক্রান্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার বিকালে তাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৪ জুলাই শনিবার তার করোনা পজিটিভ রির্পোট আসে।
|আরো খবর
পলাশের পরিবার সূত্র ও হাসপাতাল এলাকার লোকজন জানায়, পিতা খিতিশ চন্দ্র শীল ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মা ফার্মেসী নামে ঔষধের দোকান স্থাপন করেন। বাবার পর পরিবারের ছোট ছেলে পলাশ শীল পল্লী চিকিৎসক হিসেবে ব্যবসা চালান।
জানা গেছে, পলাশ শীল গত সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন পর করোনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দিলে গত ২৪ জুলাই তার পজিটিভ রির্পোট আসে। যদিও সে ওই সময়ে সম্পুর্ণ সুস্থ ছিলেন। গত কয়েকদিন তার শরীরে জ্বরসহ করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। অসুস্থ মা মলিনা রানী রান্না করতে না পারায় আজ পলাশ নিজেই রান্না করে। বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ করেই সে অচেতন হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: কামরুল হাসান জানান, পালাশের মৃত্যুটি দু:খজনক। কিন্তু তার মৃত্যু আমাদেরকে করোনা থেকে সচেতন ও সাবধান হওয়ার নিদের্শনা দিয়ে গেল। করোনা পজিটিভ রোগীর কোনো লক্ষণ না থাকায় নিজেদেরকে সুস্থ ভাবলেও সে তখনো নিরাপদ নয়। করোনা আক্রান্ত রোগী ৬ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পালমোনারি এম্বোলিজম (pulmonary embolism) নামে একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।
এইসব রোগীর হঠাৎ শ্বাস কষ্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এছাড়া করোনা পজিটিভ রোগীর ক্ষেত্রে হৃদরোগে মৃত্যুও হতে পারে। তাই আমাদের সকলের সাবধান হতে থাকতে হবে।