শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ১৯:৪১

করোনাকালে স্বাস্থ্য বিভাগের টেলিমেডিসিন সেবা চলছে বিরামহীন

অনলাইন ডেস্ক
করোনাকালে স্বাস্থ্য বিভাগের টেলিমেডিসিন সেবা চলছে বিরামহীন

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস বা স্বাস্থ্য বিভাগের জন্যে পৃথক কোনো হাসপাতাল নেই। জেলা সদরের সদর হাসপাতাল বা আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল রয়েছে, সে জন্যে সদর উপজেলায় পৃথক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাখা হয়নি।

তবে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সব ডাক্তার রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকে একেকটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে। উপজেলার এ সকল চিকিৎসকের অভিভাবক তথা প্রধান হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। চাঁদপুর সদর উপজেলায় এই পদের কর্মকর্তা হচ্ছেন ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসকগণ গত বছরের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা করোনা বিষয়ক কাজকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি। তাঁদের পদায়নকৃত কর্মস্থলের নির্ধারিত কাজ তো আছেই, এর বাইরে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে করে যাচ্ছেন করোনা সংক্রান্ত কাজ। এর মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে 'টেলিমেডিসিন সেবা'।

এ কাজটি সদর ইউএইচএফপিও ডাঃ সাজেদা বেগম পলিনের নেতৃত্বে ১৪ জন চিকিৎসক রুটিন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে করে যাচ্ছেন। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বেলায় তাঁরা প্রধানত: যে কটি কাজ করে থাকেন, সেগুলো হলো : প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর যাদের পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাদেরকে এই ডাক্তাররা ফোন করে জানিয়ে দেন তার অবস্থার কথা এবং একই সাথে তাকে হোম আইসোলেশনে থাকা নিশ্চিত করেন।

এরপর তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন টেলিফোনে। এদের মধ্যে কেউ যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তখন তার দায়-দায়িত্ব হাসপাতালের উপর বর্তিয়ে যায়। বাড়িতে যে রোগীরা থাকেন তাদেরকে ৬/৭ দিন পর ফোন করে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানেন। তবে প্রথমদিনেই পজিটিভ রোগীদের কাছ থেকে জেনে নেন তার সংস্পর্শে পরিবারের বা আশপাশের কেউ আসছিল কি না। যে অনুযায়ী ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আক্রান্ত রোগীর ১৪ দিন হলে সকলকে কল করা হয় এবং সুস্থতার খোঁজ নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে সে তালিকা দেয়া হয়।

এই কাজগুলো সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের চিকিৎসকগণ সপ্তাহের ছয়দিন অফিসে এসে করে থাকেন আর শুক্রবার নিজ নিজ বাসায় থেকে করে থাকেন। তবে করোনা ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে ডাক্তারদের ফোন করলেও ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ফোনে দিয়ে থাকেন। এই টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রম বর্তমান করোনাকালে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। বিশেষ করে এই সেবা কার্যক্রমের দ্বারা জেলা সদর হাসপাতালের উপর রোগীর চাপ অনেক কমেছে। আর না হয় সকল আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চলে আসতো।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সব চিকিৎসক টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা হলেন : ডাঃ জয়নব বানু, ডাঃ নাবিয়া তাহসিন, ডাঃ নাসরীন সুলতানা, ডাঃ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল, ডাঃ জান্নাতুল লুবা বিনতে ইসলাম, ডাঃ বেনজির আহমেদ, ডাঃ নূর হোসেন বান্না, ডাঃ লাম-ইয়া-নূর, ডাঃ তানজিলা রহমান, ডাঃ সাগর কান্তি মণ্ডল, ডাঃ মুহাম্মদ মাসুদ রানা, ডাঃ কাজী আসিফ আহমেদ ও ডাঃ তানজিদা সুলতানা।

এই চিকিৎসকদের টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া ছাড়াও ডাঃ সাজেদা বেগম পলিনের তত্ত্বাবধানে "কোভিড-১৯ হেল্পলাইন, ইউএইচএফপিও, চাঁদপুর" নামে একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে নিয়মিত তথ্য, চিকিৎসা দেয়া ও লাইভের আয়োজন করা হয়। এই লাইভে দেশী বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এনে মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়। এই ফেসবুক পেইজের লাইভ প্রয়োগটি এখনো চলমান আছে। এই লাইভ প্রোগ্রামের দ্বারা ব্যাপক জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়ে থাকেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়