মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর দর্শন

ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর দর্শন
অনলাইন ডেস্ক

(গত সংখ্যার পর ॥ শেষ পর্ব)

বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নে দুর্বলতা

স্বপ্নদ্রষ্টা এবং নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু যত নিরেটভাবে তাঁর লক্ষ্য ও অভীষ্টকে করায়ত্ত্ব করতে পেরেছেন, তাঁর দর্শন বাস্তবায়নে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনাকে ঠিক সেরকম দৃঢ়তায় বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে প্রোথিত করতে পারেননি। ফলে ঊনিশশো পঁচাত্তরের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হু হু করে সারাদেশকে গ্রাস করতে শুরু করে। মানুষের যে সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্যে বঙ্গবন্ধু আজীবন লড়াই করে গেছেন, সে সংস্কৃতি সাম্প্রদায়িক শক্তির করতলগত হয়ে যায় নিমেষেই। মানুষ প্রগতিশীল জীবন-যাপনকে ধর্মীয় চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক ভাবতে শুরু করে। ফলে দেশজুড়ে মুক্তবুদ্ধির দীনতা তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু নিজে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে রবিবারকে অটুট রাখলেও পরবর্তী এরশাদ শাসনে তা ধর্মীয় চেতনার দোহাই দিয়ে শুক্রবারে নির্দিষ্ট করা হয়। ফলে আমাদের কেবল আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের অসুবিধাই তৈরি হয়নি, বরং সবচেয়ে ভয়ঙ্করভাবে আমাদের মধ্যে তার ফলশ্রুতিতে সাম্প্রদায়িকতার বীজ গভীরভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সরকার যদি মানুষের মনোজগত বিনির্মাণে জোর দিতেন, তাহলে আমাদের জনগণ তাঁর অনুপস্থিতিতেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন পরিবর্তনে রাস্তায় নেমে আসতো প্রতিবাদে মুখর হয়ে। অথচ সে গুড়ে বালি ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পথে হেঁটে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার উর্বর ভূমিতে পরিণত করে তোলে। এ থেকে বুঝা যায়, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে মননশীলতার উন্নত বীজ উপ্ত হয়নি কখনও, বরং অতি অল্পতেই ভুলে ভরা সত্যের মগজ ধোলাইয়ে দিনকে দিন অসাম্প্রদায়িক চেতনারা সংখ্যালঘু অস্তিত্বে পরিণত হয়ে গেছে। জন্মের দুবছর অতিক্রম হলেও সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু আর তাঁর দৃঢ়তায় অটল থাকতে না পেরে ওআইসিতে যোগ দেন। ফলে একদিকে সংবিধানে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেও বাস্তবে ইসলামী রাষ্ট্রসঙ্ঘে যোগ দিয়ে নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছি।

ঘরে ঘরে বাঙালি সংস্কৃতির শক্ত বুনিয়াদ তৈরি না করে আমরা বহুধারার শিক্ষা ব্যবস্থা বলবৎ রেখেছি। ফলে আমরা সুনাগরিক তৈরির বদলে ধর্মীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি যারা পাড়ায় পাড়ায় ওয়াজ-মাহফিলের নামে সংখ্যালঘু-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছে জ্যামিতিক হারে। এ প্রসঙ্গে জীববিজ্ঞানী জাঁ ব্যাপটিস্ট ডি ল্যামার্কের তত্ত্বটি স্মরণযোগ্য। তাঁর মতে কোন পরিবর্তন জীনগত পরিবর্তনের অংশ না হলে কেবলমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তনে তা স্থায়ী রূপ লাভ করতে পারে না। সেই তত্ত্বের নির্যাস হতে আমরা বলতেই পারি, আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা মূলত আবেগ প্রধান চেতনা, তাতে বুদ্ধিবৃত্তিক অনুষঙ্গের ঘাটতি ছিল। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুর নির্মম পরিণতির পর আমরা হারিয়ে ফেলেছি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের বহুদিনের লালিত সেই ঐক্যের ছবিটাকে। বঙ্গবন্ধুর নির্মম পরিণতির পর আমাদের সমাজের আবেগী অসাম্প্রদায়িকতার কিংখাব অতি দ্রুত গোয়েবলদের প্রপাগান্ডায় খসে গিয়ে জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ নামে আমরা তকমা পেয়ে যাই বিশ্ব পরিমন্ডলে। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হলেও অসাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মনিরপেক্ষতার স্বরূপ বজায় রাখতে বাঙালি দলবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামেনি, বরং সাম্প্রদায়িক স্বস্তিতে পুলকিত হয়েছে।

অবশ্য বঙ্গবন্ধু নিজেই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের দৌহিত্র সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের কাছে স্বীকার করেছিলেন, ' আমি ধর্মনিরপেক্ষতার একটি বীজ রোপন করে গেলাম।' তার মানে, তিনি নিশ্চিত ছিলেন না, পরবর্তী বাংলাদেশে এই বীজ হতে মহীরুহ হতে পারবে কি না। তাঁর সেই শঙ্কা আজ কালের বিবর্তনে তার স্বরূপ মেলে ধরেছে। অনুভূতির ধর্মান্ধতা আজ আমাদের চারদিকে শ্রাবণের মসীমাখা মেঘের জাল বিস্তার করে চলেছে ক্রমশঃ।

বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা ও আজকের বাংলাদেশ

আজকের বাংলাদেশ যেন এক সংশপ্তক রাষ্ট্র যার প্রাণপণ প্রয়াসেও প্রতিক্রিয়াশীলতার বিষদাঁতের কামড় সহ্য করে যেতে হচ্ছে শেষ সলতেটুকু জ্বালিয়ে রাখার জন্যে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল অনেকটাই শিশির বিন্দুতে প্রতিফলিত সূর্যের সপ্তবর্ণা রশ্মির বর্ণালীর মতো। বৈচিত্র্য থাকবে কিন্তু ঐক্যও থাকবে। ধর্মীয় বৈচিত্র্য সত্ত্বেও আমরা জাতিগতভাবে বাঙালি। আমাদের একক পরিচয়-সত্ত্বা প্রতিষ্ঠার এই প্রয়াস বঙ্গবন্ধু তাঁর বচনে-ভাষণে, কর্মে-কুশলতায় বার বার উচ্চারণ করেছেন। ভিন্ন ধারার চিন্তক আহমদ ছফার সেই অমোঘ বাণীটি বাঙালির জন্যে আজও প্রণিধানযোগ্য। 'আওয়ামী লীগ জিতলে একা জেতে, আর আওয়ামী লীগ হারলে সারাদেশ হারে।' আজও বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা নামের শিবরাত্রির সলতেটুকু জ্বালিয়ে রেখেছেন মুজিব-তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের বৃক্ষের গোড়ায় পানি ঢালার জন্যেই তিনি যেন বৈশাখী ভাতার প্রচলন করেছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মবিশ্বাসী মানুষের সিংহভাগ অংশের বিরোধিতাকে মোকাবেলা করে তিনি সংখ্যা-নগণ্য বাঙালির অনুশীলনকে বিস্তৃত করে তুলতেই বৈশাখী ভাতাকে প্রণোদনা হিসেবে চালু করেছেন। কিন্তু বিস্তীর্ণ সমরাঙ্গনে তিনি যেন নিঃসঙ্গ শেরপা। তাঁর আশেপাশে এমন কেউ নেই যিনি তাঁর এ দায়িত্বটুকু কাঁধে নিয়ে বাঙালির ফরাশ জ্বালিয়ে তোলার কাজটুকু করে যাবেন।

আজকের বাংলাদেশের দর্শনে বঙ্গবন্ধুকে শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কেননা, মাঝখানের একুশ বছরে যে বিষ-বাসুকী কুন্ডলী পাকিয়ে উঠেছে, তাকে ধ্বংস করা একা বঙ্গবন্ধু-তনয়ার কাজ নয়। প্রধানমন্ত্রীত্বের গুরু দায়িত্ব পালন করে ধর্মনিরপেক্ষতার আবহকে ধরে রাখতে তিনি যতই বলছেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’, ততই যেন এদেশে রসরাজ,উত্তম বড়ুয়াদের মতো বলির পাঁঠার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

একটা সত্য সম্পর্কে সকলের অভিন্ন অভিমত যে, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না থাকতে পারলে অসাম্প্রদায়িক দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব নয়। আবার ক্ষমতায় থাকতে হলে প্রতিক্রিয়াশীলদের অন্যায় আব্দারকে মাথা পেতে নিতে হয়। এখানে আজকাল ধর্মশিক্ষাকে পরীক্ষায় নম্বর বৃদ্ধির সিঁড়ি হিসেবে চিন্তা করা হয়, নৈতিক শিক্ষার হাতিয়ার রূপে চিন্তা করা হয় না। এর কুফল আমরা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আমাদের সংখ্যালঘু সনাতনধর্মী শিক্ষকেরা আজ নিজেদের গলায় জুতোর মালা নিয়ে এ গরল সময়কে চিহ্নিত করে যাচ্ছেন ইতিহাসের পাতায়। যে বঙ্গবন্ধু তাঁর শৈশবের শিক্ষককে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় সমস্ত নিয়ম ভেঙে নিজেই এগিয়ে নিয়ে এসে পদধূলি গ্রহণ করেন, আজ তাঁর দেশেই লাঞ্ছিত হচ্ছে শিক্ষকেরা। এই লাঞ্ছনার পেছনে সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত যেমন আছে তেমনি আছে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়াররূপে ব্যবহারের আত্মঘাতী ষড়যন্ত্র। সাম্প্রদায়িকতার সাথে আপোষ করতে করতে আজ বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রটির জীবনী শক্তি ক্ষয় হয়ে তলানীতে এসে ঠেকেছে। মুজিব-তনয়া শেখ হাসিনা যেদিন বাংলাদেশের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি নিবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে তালেবানী রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ স্বরূপ।

উপসংহার

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল একটি কার্যকর হাতিয়ার। এই হাতিয়ারের শক্তিতেই তিনি ঊনিশশো সত্তরের মানচিত্র বয়নকারী নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশের জন্মণ্ডঅধিষ্ঠানের পরিস্ফুটন করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের অনন্য সাধারণ সংবিধান তৈরিতে তিনি তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শনকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুনের মন্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য। মুজিববর্ষ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর ‘বঙ্গবন্ধু, নয়াচীন এবং সমাজতন্ত্র/সাম্যবাদ’ বিষয়ক ভার্চুয়াল একক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারা জীবন যা চেয়েছেন তার নির্যাস তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানে লিপিবদ্ধ করেছিলেন।’ এই ছোট মন্তব্যটিতে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে এতো চমৎকার ও গভীরভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যে, এ বিষয়ে আর বেশি বলা মানেই বাতুলতা। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার স্বরূপ ও শক্তি বিষয়ে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন বেশ চমৎকার বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সাউথ এশিয়া সেন্টার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রদত্ত বক্তব্য মতে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতার অন্যতম স্পষ্ট সমর্থক, যেখান থেকে বিশ্ব শিখতে পারে। বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশের সকল দেশ বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন থেকে দিকনির্দেশনা এবং অনুপ্রেরণা নিতে পারে।’ বঙ্গবন্ধুর দর্শন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকবে না, তা বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন না। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার যে ধারণা দিয়েছিলেন তা ধর্মনিরপেক্ষতার পশ্চিমা সংস্করণ থেকে আলাদা ছিল।’ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু জানতেন, এ উপমহাদেশের মানুষ, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু। কাজেই এখানে ধর্মের সার্বজনীন চর্চাকে আহত না করে, সকল ধর্মের সম্প্রীতিময় সহাবস্থান নিশ্চিত করে দেশ গঠনে আত্মনিবেদন করতে হবে। ঊনিশশো আটচল্লিশে ভাষার জন্যে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত থেকে শুরু করে ঊনিশশো একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিমণ্ডখৃস্টান সকলের স্বদেশপ্রেমের অবদানে আমরা অর্জন করেছি নিজেদের স্বাধীন মানচিত্র। কাজেই অনুনাদী সম্প্রীতি তৈরি না হলে জাতির বীণা বেসুরো হয়ে বাজবে। তখন অর্থহীন হয়ে যাবে এ স্বাধীনতা, অর্থহীন হয়ে যাবে যত অর্জন। এ কারণেই তিনি ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে সংবিধানের চার মূলনীতির বিষয়ে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, ‘...আজ আমাদের নীতি পরিষ্কার। আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে চারটি স্তম্ভ রয়েছে। এটার মধ্যে কোনো কিন্তু-টিন্তু নাই। এটা পরিষ্কারভাবে শাসনতন্ত্রে দেওয়া হয়েছে। আমরা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি।...’

তথ্যঋণ

১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২. অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ১২ জুন,২০১২। ৩. আমার দেখা নয়া চীন, শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলা একাডেমি, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০। ৪. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র-১, সম্পাদক-মহিউদ্দিন আহমেদ খান। ৫. সংগ্রামের নোটবুক, ওয়েবসাইট। ৬. বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ, গৌরাঙ্গ মোহান্ত, ১৭ মার্চ, ২০২০, বাংলা ট্রিবিউন। ৭. বক্তব্য, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন, ২৭ জানুয়ারি ২০২১, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স, সূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা,৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১। ৮. 'বঙ্গবন্ধু লেকচার', সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের ভিডিও বক্তব্য, ২৯ আগস্ট,২০১০, ওসমানী মিলনায়তন, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ (বিএফডিআর)। ৯. বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, 'বঙ্গবন্ধু, নয়াচীন এবং সমাজতন্ত্র/সাম্যবাদ' বিষয়ক ভার্চুয়াল একক বক্তৃতা, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়