প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২২, ০০:০০
বাংলাদেশ একটি নির্ভরশীল পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক দেশ এবং অপরদিকে বিকৃত-বিকশিত পুঁজিপতি তথা ধনীদের বিকাশ হলেও আত্মনির্ভরশীল জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে উপনীত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে যাচ্ছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার বলেছেন, “স্বাধীন দেশে উন্নতি অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে মানতেই হচ্ছে, যত উন্নতি হয়েছে ততই আয়-বৈষম্য বেড়েছে। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়েছে। কর্মসংস্থান তেমন বাড়েনি। শোষণ ও শাসন বেড়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যে আশা ১৯৭১ সালে ছিল, সেটা ক্রমাগত কমেছে। আমাদের আশা ছিল দেশ সমাজতান্ত্রিক পথে এগোবে। কিন্তু সে পথে না গিয়ে উল্টো পথ ধরলো।” (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৬ মার্চ ২০২১)।
বৃটিশ উপনিবেশিক শাসকদের যুদ্ধে পরাজিত করে স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছিলো আমেরিকানরা। এ অর্জনে রাজনীতিবিদ সেনানায়কদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দেশপ্রেমিক ধনীদের। যুদ্ধের ময়দানে নয়, দেশের প্রতি তারা আনুগত্য দেখিয়েছিলেন নিজের অর্থবিত্ত খরচ করে। নিজের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত করে হলেও দেশের সমৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এই ধনীরা। তাদের এ অবদানকে ইতিহাস স্বীকৃতি দিয়েছে ইকোনমিক প্যাট্রিয়টিজম বা অর্থনৈতিক স্বদেশপ্রেম হিসেবে।
আরও উল্লেখ্য, ১৭৮০ সালেও আরেকবার স্বদেশপ্রেমের পরীক্ষা দেন আমেরিকান বণিকরা। যুদ্ধের ময়দানে তখন আমেরিকান বাহিনীর অবস্থা শোচনীয়। এ লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র আর এক বছর টিকে থাকবে কি-না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। সাভান্না-জর্জিয়ার পতন হয়েছে। চার্লসটনও হাতছাড়া হওয়ার দশা। এমন সময় এগিয়ে আসেন ফিলাডেলফিয়ার ৯৭ জন ধনী ব্যক্তি। রবার্ট মরিস, থমাস উইলিং ও আইনজীবী জেমস উইলসনের নেতৃত্বে তারা জড়ো করলেন ৩ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড। তখনকার হিসেবে এটা বেশ বড় অংকের তহবিল। এ অর্থ খরচ করে ক্রয়কৃত রসদ দিয়ে যুদ্ধের সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময় পার করেছিলেন মার্কিন সৈনিকরা। আর এ সহায়তা গোটা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
শুধু যুদ্ধ নয়, শান্তির সময়েও দেশের শিক্ষা ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদশালী অনেক নাগরিক। তাদের এ অর্থনৈতিক স্বদেশপ্রেমেরই ফসল আজকের সুপারপাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে দেং জিয়াও পিংয়ের অর্থনৈতিক সংস্কারকে কৃতিত্ব দেয়া হয়। মাও সেতুং জমানায় ব্যক্তিগত মুনাফা, সম্পদ অর্জনকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। তিনি সেই নৈতিক শৃঙ্খলকে সরিয়ে অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করতে শুরু করেন। ফলে ধনীদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি এবং সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকদের ভাগ্যে পরিবর্তন আসে। আর বৈশ্বিক পরিসরে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে চীনের উত্থান তাদের গৌরবান্বিত করে। নাগরিকদের এমন মনোভাব ও প্রয়াস চীনের জাতীয় মানসে দৃঢ় এবং শক্তিশালী জাতিরাষ্ট্রের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অর্থনৈতিক স্বদেশপ্রেম নিয়ে আলোচনায় ভারতকে কোনো অবস্থাতেই বাদ রাখা সম্ভব নয়। ভারতের ভারী শিল্পখাতে নেতৃত্ব দিয়েছে টাটা। নিজেদের মুনাফার সাথে সাথে টাটা গ্রুপ সচেতনভাবে ভারতের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। এশিয়ার প্রথম ক্যান্সার হাসপাতাল তাদের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে এগিয়ে নিতে টাটা গ্রুপ ভারতে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। দেড়শ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে আদিত্য বিড়লা গ্রুপ। বলা হয় বিড়ালা ভারতের প্রথম ও সবচেয়ে বড় বহুজাতিক কনগ্লোমারেট (Multinational Conglomerate)। নিজেদের দেশের অর্থনীতি ও নাগরিকদের জীবনমান এগিয়ে নিতে তাদের নিজস্ব ভাবনা-দর্শন আছে।
আজকের বাংলাদেশকে এমন অর্থনৈতিক স্বদেশপ্রেমের প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ২০২১ সালে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি। এ মাইলফলকে দাঁড়িয়ে উন্নয়ন, সমৃদ্ধির অনেক পরিসংখ্যানই দৃষ্টি-আকর্ষণ করছে। জাতীয় আয়ে উৎপাদন-খাতের বৃদ্ধি। কর্মক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি ও নগরায়নসহ নানান সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে অর্থনৈতিক ও আর্থসামাজিক ষোলটি সূচকে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কেবলমাত্র দুটি সূচকে। বাকি চৌদ্দটি সূচকে ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ষোলটি সূচকেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। কর্মক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জনজীবন ও অর্থনীতিতে এখনো বড় ভূমিকা রয়েছে কৃষির। জমির পরিমাণ না বাড়লেও উৎপাদন বেড়েছে খাতটিতে। এর সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে সরকারি তুলনায় বেসরকারি শিল্পখাতে। দেশে মোট বিনিয়োগের ৭০ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের। গত এক দশকে বিস্তৃত হয়েছে অবকাঠামো, বৈদেশিক বাণিজ্য, পরিবহন, টেলিকম, আর্থিক সেবা, পর্যটন ও স্বাস্থ্যসেবাখাত। বিশেষভাবে নজর দেয়া যায় দেশের তৈরি পোশাক খাতের দিকে। প্রায় ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে খাতটি। এ খাতকে এগিয়ে নিতে নারী শ্রমিকরা বড় ভূমিকা রাখছেন।
বাংলাদেশের একটি বড় রূপান্তর ঘটেছে রেমিট্যান্সের মাধ্যমে। গ্রামীণ অবকাঠামো ও জীবনযাত্রা বদলে গেছে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায়। এ মানুষরা সবাই দেশপ্রেমিক। বাংলাদেশ ছাড়া তাদের কোনো ভবিষ্যৎ-চিন্তা নেই। দেশের ভবিষ্যতের সঙ্গে তারা সব-সময় জড়িয়ে থাকবেন। এটা স্বাধীনতাণ্ডপরবর্তী বাংলাদেশের মানুষের স্বদেশপ্রেম। এ স্বদেশপ্রেম কোন প্রতীক কিংবা নেকামী নেই। বাংলাদেশের সমৃদ্ধিই এর নিশান। বিদেশের মাটিতে কঠোর শ্রম দিয়ে করা রোজগার তারা দেশের ঠিকানায় পাঠাচ্ছেন। দেশের বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্ফীত হচ্ছে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বদলে গেছে দেশের গ্রামণ্ডমফস্বল। খেটে খাওয়া মানুষদের এই অর্থনৈতিক দেশপ্রেম শুধু তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়নি, বাংলাদেশকেও এগিয়ে নিয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সময় এসব সাফল্যের পরিসংখ্যান আমাদের আনন্দিত করে। কিন্তু অর্থনীতি ও সমাজে এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। সেসব চিত্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা এড়িয়ে যেতে পারি না। উন্নয়নের উল্টো পিঠে দেখা যায় সাধারণ মানুষের নানা দুর্ভোগ। দেশ ও পরিবার থেকে হাজার মাইল দূরে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদের দেশের বিমানবন্দর স্বাগত জানায় হয়রানি আর অপমানে। উচ্চ-শিক্ষা, নিরাপদণ্ডক্যারিয়ার ও উন্নত-জীবনের খোঁজে তরুণদের বিদেশ গমন বাড়ছে। তাদের একটা বড় অংশ বিদেশেই থেকে যাচ্ছে। জ্ঞানচর্চা, উদ্ভাবনী-দক্ষতায় আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বসেরাদের কাছে-থাকা দূরের কথা, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায়ও অনেক পিছিয়ে। দেশে অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেগুলোর অবকাঠামো ও সংখ্যাগত উন্নয়নের বিপরীতে নামছে শিক্ষা মানের গ্রাফ বা চিত্র।
আবার অর্থনীতির সাফল্যগুলোকে পুরোপুরি সন্তোষজনক বলতে পারছি না। আমাদের উন্নয়নের বড় ভিত্তি সস্তা শ্রম। কিন্তু এ সস্তাশ্রম ও অদক্ষ-মানবসম্পদ দিয়ে উন্নত দেশ গঠন সম্ভব হতে পারে কি? এজন্য দেশে বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সমান্তরালে প্রয়োজন বিনিয়োগ। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে লুণ্ঠন-বৈষম্য নতুন বৈশিষ্ট্য নয়। কিন্তু পুঁজিবাদী উন্নত দেশগুলো তাদের নাগরিকদের জন্য নিরাপদণ্ডমানবিক জীবন নিশ্চিত করেছে। এ নিরাপদ জীবনের হাতছানিতে বাংলাদেশের ধনীরা এখন এসব দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। অথচ তাদের বিনিয়োগ ও উদ্যমের মিথস্ক্রিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্র-সমাজকে যথেষ্ট বদলে দিতে পারতো। কিন্তু সেরকম কিছু ঘটেনি। বরং ধনীরা তাদের সন্তানকে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের জন্য পাঠাচ্ছেন বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিকিৎসা নেয়ার জন্য উড়ে যাচ্ছেন বিদেশের হাসপাতালে। অনেকে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সা¤্রাজ্য গড়ে পরিবার নিয়ে থিতি হচ্ছেন কোন উন্নত দেশে। এ ধনী উদ্যোক্তারা দেশের রূপান্তরে যে ভূমিকা রাখতে পারতেন, সমাজ ও রাষ্ট্র এখন তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা দেশে বিভিন্ন নাগরিক সেবার চাহিদা তৈরি করলে সেগুলো পূরণের তাগিদাও তৈরি হতে পারতো। উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতেন বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল প্রভৃতি নির্মাণে।
ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধির মাপকাঠিতে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলথ এক্স কোম্পানি’-এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অন্তত ৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক বাংলাদেশী অতিধনীর সংখ্যা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সময় গোটা পৃথিবীতে অতিধনীর সংখ্যা বৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল শীর্ষস্থানে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই)’ এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা।
অপ্রিয় সত্য এবং বলতে হয়, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে দেশের বিত্তশালী গোষ্ঠীটির উত্থান ছিল অসম্ভব। এদের অনেকে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন লুণ্ঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে। এখন পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কতজন লাপাত্তা হয়েছেন, তার প্রকৃত হিসাব পাওয়া কঠিন। দেশ থেকে লাপাত্তা হয়ে তারা উদয় হচ্ছেন উন্নত কোনো দেশে। সেখানে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি কিনছেন। দেশের স্মৃতি এবং দেশপ্রেমকে পেছনে রেখে বিদেশপ্রেমে আকৃষ্ট হয়ে পরিবার-পরিজনসহ সেখানে থিতু হচ্ছেন তারা। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন সংযোগে যুক্তরা বিপুল অর্থের মালিক হয়ে যাচ্ছেন অল্প সময়ে। আর ধনী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা তাকাচ্ছেন দেশের সীমানার বাইরে। তারা বিদেশে আয়েশি-বিলাসী-নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে দেশ থেকে অর্থ পাচার করছেন। শুরুতে নিজে না গেলেও সন্তানকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন শিক্ষার জন্য। সঙ্গে পাঠিয়ে দিচ্ছেন পরিবার।
ধনী ও ক্ষমতাবানরা যদি তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করেন কোন উন্নত দেশে তাহলে নিজের দেশ ও নাগরিকদের উন্নয়ন নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নয়। ধনীরা নিজ দেশে বিনিয়োগ না করলে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কোনো দেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। বর্তমান বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ধনীরা নিজেদের দেশকে আপন না ভাবলে উন্নয়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ কিংবা উন্নত দেশের কাতারে রূপান্তরের পথে ধনী উদ্যোক্তাদের বিদেশমুখী হওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে টেনে উঠাতে তাদের অর্থনৈতিক স্বদেশপ্রেম অতিপ্রয়োজন। আর রাষ্ট্রের সে দিকটা দেখা উচিৎ।
অধ্যাপক মোঃ হাছান আলী সিকদার : সভাপতি, চাঁদপুর জেলা জাসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা, চাঁদপুর জেলা শিক্ষক নেতা, সমাজ ও রাজনীতিবিশ্লেষক।