সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

আমাকে দেখার সাথে সাথেই বঙ্গবন্ধু বললেন, কিরে পাগলা!
অনলাইন ডেস্ক

একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর শ্রীরামদী, কোড়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ হানিফ পাটোয়ারী। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথমে তিনি চাঁদপুর শহরে যুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ফরিদগঞ্জ থানার বিএলএফ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তিনবার বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছেন। ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর সাথে কথোপকথন ও সান্নিধ্যের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এইচএম জাকির। সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো :

এইচএম জাকির : বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে আপনার পরিচয় কিভাবে?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : ১৯৫৪ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেয়। তখন চাঁদপুরে আওয়ামী মুসলিম লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আমেনা বেগম। আমি তখন কয়েকটা লজেন্সের বিনিময়ে আমেনা বেগমের প্রচারের জন্যে রাস্তায় রাস্তায় টিনের চুঙ্গা ফুঁকিয়েছি। এসময়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল হই। বঙ্গবন্ধু নামের সাথে মূলত আমার প্রথম পরিচয় এই নির্বাচন থেকেই। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার ভালোবাসা তৈরি হয় মূলত ১৯৬৬ সালে। তখন বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা দেন। ছাত্ররা উক্ত ছয় দফার সাথে এগার দফা যুক্ত করে। আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই তখন ছয় দফা ও এগার দফা দাবির আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। মোদ্দাকথা, বঙ্গবন্ধু নামের সাথে আমার পরিচয় ছাত্রজীবন থেকেই।

এইচএম জাকির : সে সময়ে আপনার আশপাশের মানুষেরা বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে দেখতেন?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা। মূলত তাঁর আদেশ, নিষেধের অপেক্ষায় থাকতো সবাই। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেতা, নেতাকে নেতার মতই দেখতো সবাই। সবাই নেতার আদেশ বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকতো এবং বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ নেতা মানতো।

এইচএম জাকির : আপনি কি বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি দেখেছেন? কোথায় দেখেছেন?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : হ্যাঁ বঙ্গবন্ধুকে আমি সরাসরি দেখেছি। ১৯৭০ সালে চাঁদপুর কলেজ ছাত্রবাসের খোলা মাঠে। একবার দেখেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্‌যানে ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ভাষণকালে। সর্বশেষবার ১৯৭৪ সালে গণভবনে।

এইচএম জাকির : সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধু আপনাকে কী বলেছিলেন?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : বঙ্গবন্ধুর সাথে সরাসরি কথোপকথন নিয়ে আমার বিশেষ স্মৃতি রয়েছে, যা আমি আজীবন মনে রাখবো। এই ধরনের ঘটনা বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার দুইবার ঘটে।

প্রথম ঘটনা :

১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু চাঁদপুরে আসেন। আমি তখন চাঁদপুর কলেজের ছাত্রনেতা। তখনই আমার প্রথম সৌভাগ্য হয় বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য লাভের। চাঁদপুর কলেজ ছাত্রবাসের (বর্তমান নাম : শেরে বাংলা ছাত্রাবাস) খোলা মাঠে বিরাট জনসভা করেন বঙ্গবন্ধু। মাঠে তখন উঁচু করে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতা চাঁদপুরের মিজানুর রহমান চৌধুরী মঞ্চে উঠার পর কাউকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমি মঞ্চে উঠতে চাইলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে ডিআইবি, সিআইডি ও পুলিশের সাথে আমার প্রচণ্ড বাক্বিত-া হয়। বেশ কিছুক্ষণ তীব্র বাক্বিত-ার পর বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিগোচর হয়। বঙ্গবন্ধু তখন মিজানুর রহমান চৌধুরী সাহেবকে কী ঘটেছে দেখতে বলেন। চৌধুরী সাহেব বঙ্গবন্ধুকে জানালেন আমাদের চাঁদপুর কলেজের ছাত্রনেতা মঞ্চে উঠতে চায়। তখন বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমি মঞ্চে উঠি। মঞ্চে উঠলে বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেন, কিরে পাগলা! পাগলামি করস্ ক্যান? আমি উত্তর দিই, আমি মঞ্চে উঠতে চাইলে ডিআইবি, সিআইডি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আপনার সিকিউরিটির প্রশ্নে আমাকে উঠতে দেয় না। তাদের আমি বলেছিলাম, তোমরা বঙ্গবন্ধুর কী সিকিউরিটি দেবে? বঙ্গবন্ধুর সিকিউরিটি হলাম আমরা। পরে বঙ্গবন্ধু আমাকে বসতে বললেন। আমি বসে পড়লাম। বক্তৃতা চলছে। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু আমাকে বক্তৃতা দিতে বললেন। আমি প্রায় ১৫ মিনিট বক্তৃতা দিলাম। বক্তৃতা শেষ করার পর বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন, কিরে পাগলা ভালোইতো বকস।

দ্বিতীয় ঘটনা :

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে আমার দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ হয়। জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরীর সাথে আমি তখন গণভবনে যাওয়ার সুযোগ পাই। আমাকে দেখার সাথে সাথেই বঙ্গবন্ধু বললেন, কিরে পাগলা! এখনো পাগলামি করস্? তোদের মতো ছেলেরা কষ্ট করে বেঁচে থাকবি। বেঁচে থাকলে তোরা অনেক কিছু দেখতে পাবি। দোয়া করি ভালো থাক। আমার জন্য এটি বিরল স্মৃতি বলে মনে করি।

এইচএম জাকির : আপনি বঙ্গবন্ধুকে কী বলেছিলেন?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার যা কথা হয়েছে তা আগের প্রশ্নে বলেছি। এছাড়াও ১৯৭৪ সালে গণভবনে বঙ্গবন্ধু আমার কাছে একটা গল্প শুনতে চাইলেন। তখন আমি এই গল্পটি বলি : এক রাজার দুধ খাওয়ার খুব ইচ্ছে হলো। তখন রাজা তাঁর মন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন রাজ্যে গরু আছে কার এবং দুধ বিক্রি করে কে, তা খুঁজে বের করতে। মন্ত্রীরা খোঁজ লাগালেন এবং একজন দুধ বিক্রেতাকে খুঁজে নিয়ে আসলেন রাজার কাছে। রাজা তখন দুধ বিক্রেতাকে দুধ খাওয়ার ইচ্ছে জানালেন এবং বললেন, প্রতিদিন ১০ লিটার করে দুধ দিতে। রাজার নির্দেশ ও ইচ্ছেমতো দুধ বিক্রেতা প্রতিদিন রাজাকে ১০ লিটার করে দুধ দিয়ে যাচ্ছেন। রাজা দুধ খেয়ে খুবই তৃপ্তি পান, বিষয়টি মন্ত্রীদের জানালেন এবং দুধের ব্যবস্থা করার জন্য মন্ত্রীদের ধন্যবাদ জানান। এমন তথ্য জানার পর রাজার খুব কাছের মন্ত্রীরও (যিনি সবসময় রাজার সকল কাজ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকার দায়িত্ব পান) দুধ খাওয়ার ইচ্ছে হলো। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এই দুধ বিক্রেতা থেকে দুধ কিনবেন। দুধ বিক্রেতাকে ইচ্ছের কথা জানালেন, কিন্তু দুধ বিক্রেতা জানালেন, আমার ১০ লিটারের উপরে দুধ হয় না। মন্ত্রী ওঁত পাতলেন এবং তার দুধ খেতেই হবে। পরদিন মন্ত্রী আগে থেকেই দুধ বিক্রেতা বাড়ির সামনে চলে গেলেন এবং দুধ নিয়ে আসার পথে মন্ত্রী ২ লিটার দুধ আলাদা করে সরিয়ে নিয়ে বাকি দুধের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে দিয়ে দুধ বিক্রেতাকে তথ্য গোপন রাখার নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন। এও জানিয়ে দিলেন তথ্য ফাঁস হলে তার থেকে আর দুধ নিবেন না। পানি মেশানো দুধ রাজা খাওয়ার পর বুঝতে পারলেন দুধে আগের মতো স্বাদ নেই। রাজা কয়েকদিন অনুধাবন করার পর কাছের সেই মন্ত্রীকে বললেন মন্ত্রী মহোদয়, দুধে আগের মতো স্বাদ পাই না। এমন কেন হলো একটু খোঁজ নাও তো। মন্ত্রী কয়েকদিন পর জানালেন রাজা মশাই আমি নিজে দুধ বিক্রেতার বাড়িতে পর্যন্ত গিয়েছি, কিন্তু দুধে কোন ভেজাল দেখি না। দুধ দোহনের পর সরাসরি আপনার জন্যে নিয়ে আসা হয়। রাজা ভাবনায় পড়লেন এবং সেই মন্ত্রীকে বললেন দুধ বিক্রেতার সাথে দোহন থেকে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত একজন মন্ত্রীকে নিযুক্ত করার জন্যে। তিনি রাজার নির্দেশে একজন মন্ত্রীকে নিযুক্ত করলেন। এই মন্ত্রী দুধ বিক্রেতার সাথে কথা বলে দুধের স্বাদ কমার কারণ জানতে পারলেন। পরদিন থেকে এই মন্ত্রীও ২ লিটার করে দুধ নিজের জন্যে রেখে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পাঠিয়ে দিলেন। রাজা এবার দুধের স্বাদ আরও কমে যাওয়া বুঝতে পারলেন এবং মন্ত্রীকে জানালেন। রাজা এবার নির্দেশ দিলেন একজন সিপাহীকে দায়িত্ব দিতে। যথারীতি সিপাহী নিয়োগ দেওয়া হলো এবং তিনিও আগের কাহিনী শুনে তারও দুধ খাওয়ার লালসা লাগলো। সিপাহীও ২ লিটার রেখে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পাঠানো শুরু করলেন। রাজা এবার আরো ক্ষুব্ধ হলেন। অর্থাৎ দুধের স্বাদ আরও কমে গেলো। রাজা এবার দুধ বিক্রেতাকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাইলেন। দুধ বিক্রেতা জানালেন, রাজামশাই আমার গাভী মোট দুধ দেয় ১০ লিটার। আমি তার পুরোটাই আপনার জন্য নিয়ে আসি, কিন্তু পথিমধ্যে আপনার ঘরের মন্ত্রী থেকে সিপাহী পর্যন্ত সবাই প্রতিদিন ২ লিটার করে রেখে বাকি দুধে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে দিয়ে আপনার নিকট পাঠায়। অর্থাৎ ১ম জন অর্জিনাল দুধ থেকে ২ লিটার নিয়ে বাকি ৮ লিটারকে পানি দিয়ে ১০ লিটার বানিয়ে দেয়, ২য় জন আবার এই পানিযুক্ত ১০ লিটার থেকে ২ লিটার রেখে আবার ১০ লিটার বানিয়ে দেয়। এভাবেই যতজন নিয়োগ করেছেন সবাই চালিয়ে আসছে। এতে আমার দোষ কি!

বঙ্গবন্ধু আমার এই গল্প শুনে আমাকে বললেন, তোর এই গল্পটা শোনার জন্যেই মিজানকে দিয়ে তোকে নিয়ে আসছি।

এইচএম জাকির : সে সময় বঙ্গবন্ধুর পোশাক-পরিচ্ছেদ কেমন ছিল?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : বঙ্গবন্ধু সবসময় ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতেন। তবে তিনি কালো কটি, সাদা পাঞ্জাবি ও পাজামা বেশি পছন্দ করতেন। পাতলা কাপড়ই তাঁর বেশি পছন্দ ছিল।

এইচএম জাকির : মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতা বঙ্গবন্ধু আপনাকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করেছে?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : মুক্তিযুদ্ধ মূলত বঙ্গবন্ধুরই পরিশ্রমের ফসল। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র; যা শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হবে না। তাই তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকেই আমরা মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রাখি। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের কালজয়ী ভাষণ আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই আমরা যুদ্ধে যাাই এবং দেশকে স্বাধীন করি।

এইচএম জাকির : একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে এ সময়ে এসে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাঁর অবদান জাতি কখনোই ভুলবে না। তিনি জন্ম না নিলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মই হতো না। তাঁর আদর্শে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র জাতি তাঁর আদর্শ লালন করে। বঙ্গবন্ধুর মূল্য আমৃত্যুও দিতে পারবো না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি তাঁকে স্যালুট জানাই।

এইচএম জাকির : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারের এখন কী কী করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুরই কন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা যা করে চলছেন তার সবই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। আজকের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ডিজিটাল বাংলাদেশ এগুলোও বঙ্গবন্ধুরই স্বপ্ন। পিতার কী কী স্বপ্ন ছিল সে সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। তাইতো তিনি একটির পর একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

এইচএম জাকির : আপনাকে ধন্যবাদ।

মোঃ হানিফ পাটোয়ারী : আপনাকেও ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়