সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

মুখলেসুর রহমান মুকুল স্মরণে
অনলাইন ডেস্ক

পলাশ দেপৃথিবীর প্রাণিকূলের কেউই বেঁচে থাকবে না। মানুষ তো প্রাণিকূলের অংশই বলা চলে। প্রতিটি মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কিছু মানুষের মৃত্যু সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি। যা কোনো কিছুতেই পূরণ হবার নয়। যদি সেই মানুষটি হন সৃষ্টিশীল, প্রগতিশীল, সাহিত্য-সংস্কৃতি মনের মানুষ।

গত ১৭ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার রাতে চাঁদপুরের কৃতীসন্তান, প্রতিথযশা গীতিকবি মুখলেসুর রহমান মুকুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একমাত্র কন্যাসন্তান, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অনেক গুণগ্রাহী এবং অসংখ্য সাংস্কৃতিক, কণ্ঠশিল্পী, সাহিত্য, কবি, লেখক, গল্পকার, নাট্যকার ও অভিনয় শিল্পী, নৃত্যশিল্পী রেখে গেছেন। আমি তাঁর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুবই অসহায় বোধ করছি। তিনি আমায় অত্যন্ত ¯েœহ করতেন এবং ভালোবাসতেন।

সবসময় মোবাইল ফোনে, অনলাইনে খোঁজখবর নিতেন। গত এক সপ্তাহ আগে আমায় লিখলেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমি তখন ম্যাসেঞ্জারে বলছি, কাকু আপনি কোনো চিন্তা করবেন না, মন শক্ত করুন আর সৃষ্টি কর্তাকে ডাকুন, সব ঠিক হয়ে যাবে। যদিও সান্ত¡না দিয়েছি, কিন্তু আমার মনে হারানোর ভয় ছিলো। যা আজ সত্যিই তিনি চিরবিদায় নিয়ে না-ফেরার দেশে হারিয়ে গেলেন।

আমার সাথে পরিচয় হয় ১৯৯২ সালে চাঁদপুর ললিতকলা একাডেমিতে সঙ্গীতগুরু শীতল ঘোষালের কাছে গান শিখতে গিয়ে। এরপর থেকে শ্রদ্ধেয় গীতিকবি ও লেখক মুখলেসুর রহমান মুকুল ও সুরকার শীতল ঘোষাল দুজনকে একসাথে চলতে দেখেছি এবং তাঁদের ইস্পাতকঠিন বন্ধুত্ব দেখেছি কাছ থেকে। আমি তাঁদের দুজনকে কাকু ডাকতাম। হঠাৎ করে সঙ্গীতগুরু শীতল ঘোষাল না-ফেরার দেশে চলে গেলেন। চাঁদপুর শহরের সঙ্গীতভূবনে কিছুদিনের জন্যে খুব একা হয়ে গেলেন গীতিকবি মুখলেসুর রহমান মুকুল।

তিনি অনেক ধৈর্য্যশীল উদার মনের মানুষ ছিলেন। তাঁর লেখা দেশাত্মবোধক গান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গান রচনসহ সাংবাদিক নিয়ে গান, স্বৈরাচার আন্দোলনে চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্র শহীদ জিয়াউর রহমান রাজু পাটওয়ারীকে নিয়ে গান, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে নিয়ে গান রচনা করে গেছেন। আর তাঁর লেখা বেশি গানের সুর করে গেয়েছিলেন তাঁর বন্ধু সঙ্গীতগুরু শীতল ঘোষাল।

বেশ কিছু গানের সুর দিয়েছেন তাঁর আরেক বন্ধু চাঁদপুর শহরের সুপরিচিত চম্পক সাহা এবং চাঁদপুর ললিতকলার সাবেক ছাত্র, বর্তমানে কানাডা প্রবাসী শাওন দ্বীপ (দ্বীপক সূত্রধর)।

দেশাত্মবাধক গানের মধ্যে রয়েছে ‘সবুজের মাঝে লাল সূর্য আঁকা, আমাদের পতাকা প্রিয় পতাকা’, ‘এ বাংলায় এসেছিলো দুর্জয় শপথের দিন’, ‘কাল স্বপ্নে দেখেছি আমি বঙ্গবন্ধুকে, টুঙ্গিপাড়ার কবর থেকে বলছে সে ডেকে, আমি তোদের সাথে রেখে এসেছি, আমার যাদুমণিকে আমার সোনামণিকে, আমার শেখ হাসিনাকে, আমার শেখ রেহানাকে, কথায় কথায় ওদের এতো দোষ ধরিসনে’। আধুনিক গান ‘ওগো রাত বলে দাও আমার পথের ঠিকানা, কেনো যে হারায় পথ বারে বারে, আমার জানা হলো না’।

জীবদ্দশায় শ্রদ্ধেয় মুখলেসুর রহমান মুকুল সরল মনের পরিছন্ন সৎ জীবনযাপন করে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করে তিনি চাঁদপুর শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। পাশাপাশি তিনি চাঁদপুর শহরের সাংস্কৃতিক কর্মকা-সহ চাঁদপুরের নাটক, গান, নৃত্য, গল্প, সাহিত্য চর্চা ও সংগঠন, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় লেখেছেন এবং সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর মাঝে কোনো অহংকার, গাম্ভীর্য ভাব দেখিনি।

যখন কোনো কিছু নিয়ে তাঁর কাছে পরামর্শের জন্যে যেতাম বা কখনো কখনো হতাশা নিয়ে ছুটে যেতাম, তখন তিনি ঠা-া মাথায় সমস্যা বা হতাশার বিষয় শুনে চমৎকার সময় দিয়ে কথা বলতেন, বিভিন্ন যুক্তি দিতেন। যা জীবন চলায় আমি খুব মিস করবো।

শ্রদ্ধেয় মুখলেসুর রহমান মুকুল সাহিত্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে অবদান রেখে গেছেন এবং তিনি চাঁদপুর শহরকে ও শহরের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে ভালোবেসে জীবন কাটিয়েছেন চাঁদপুর শহরে। তাঁর অবদান চাঁদপুরবাসী বিশেষ করে সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষ চিরকাল স্মরণে রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস।

মৃত্যুর আগে তিনি ৩ বছর অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা বিষয় অনেক টাকা খরচ করে এক পর্যায়ে শয্যাশায়ী হয়ে যান। সবসময় বিছানায় শুয়ে থেকে সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং গান রচনা ও সংগ্রহ করতেন। সর্বোপরি তিনি অনলাইনে সরব ছিলেন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন ফোন করে নানা খবরা-খবর নিতেন। কি করে ভুলে থাকবো গীতিকবি এ মানুষটাকে!

তিনি রাজনৈতিকসচেতন ছিলেন। মহান বায়ান্ন ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ছিলো তাঁর অহংকার। গানের ভাষায় বলবো ‘তোমার সমাদি ফুলে ফুলে ডাকা, কে বলে তুমি নাই,/তুমি আছো মন বলে তাই...’

তিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর লেখা গানের মাঝে। তিনি ছিলেন সর্বদা দেশপ্রেমী উদার মনের মানুষ। যা তাঁর গান রচনায়ই বোঝাযায়। তিনি একটি গানে লিখেছেন ‘আমার পোষা ময়নাটা, আর তো কিছু বলে না, বলে শুধু বাংলাদেশ, আমার ঠিকানাটারে আমার ঠিকানা’।

তাঁর স্মৃতির প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে, বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করছি।

মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড়

মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়াদুর্নীতিতে দুর্নাম। এটা চিরন্তন সত্য। দুর্নীতির ছোঁয়া আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেমন বিচরণ করছে। ঠিক দুর্নীতির মূলৎপাটনেও নিরলসভবে কাজ করছে ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্ডা। ফলাফল : কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা গেলেও, অনেক ক্ষেত্রেই চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। বিভিন্ন মিডিয়া ও আদালতের আদেশে লোকালয়ে চলে আসে দুর্নীতির চিত্র। অপরাধ না করেও স্বার্থান্বেষীদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যে সুকৌশলেও অনেক নিরাপদ মানুষ দোষী সাব্যস্ত হয় হর-হামেশা। যেমন জজমিয়া নাটক জলন্ত উদাহরণ। সিনেমা, নাটকে দেখানো সাজানো অপরাধগুলো আমাদের সমাজের চিত্র।

কথা হলো, অপরাধীদেরকেই নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। তারপর নিরাপদ মানুষকে কেনো অপরাধী সমান্তরালে পৌঁছাবে? স্পষ্ট : সেই অপরাধীদের আস্ফালং। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুর্নীতির তকমায় বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমাগত উন্নয়ন-ধারায়। বর্তমানে যা অব্যাহত। পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির খড়গ, দেশী ও আর্ন্তজাতিক কূটকৌশলীদের একটি রূপকথার সাজানো নাটক। সরকারকে বেকায়দায় ও উন্নয়ন সংকুচিত করতেই এই অপচেষ্টার মহড়া ছিলো। অতঃপর ভিনদেশের আদালতে প্রমাণিত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততা নেই। যেখানে টাকা দেয়াই হলো না সেখানে কিভাবে দুর্নীতি হলো। সেই প্রশ্নের বাস্তব উত্তর নিজ অর্থায়নে দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের দুর্নীতির ভূমি ক্রয়-সংক্রান্ত বিষয়ক সংবাদ জাতীয় ও জেলা সংবাদপত্রে সয়লাব। চাঁদপুরের সন্তান হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সংবাদে আমরা সবাই মহাখুশি। এই খুশির বার্তায় সম্পৃক্ত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ^বিদ্যালয় হবে চাঁদপুরে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিস্তার হবে বিশ^ময়। আজ অংকুরেই দুর্নীতির আওয়াজ, ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন প্রশ্নে জরাজীর্ণ? এই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ আজ ভাসমান অস্তিত্বে। অর্থ, বিত্ত, জনবল প্রশাসন অনুকুলে থাকা সত্ত্বেও চাঁদপুরের উন্নয়ন গন্তব্যহীন। অথবা পেছন থেকে লাগাম টেনে রাখছে অদৃশ্য স্বার্থান্বেষী চক্র!

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় শুরুতে আলোচিত-সমালোচিত। স্থান নির্ধারণেও আছে মত-পার্থক্য। ভূমি অধিগ্রহণে ক্রয়মূল্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর পরিবার নিয়ে সরগোল চাঁদপুরের গণমানুষ। পক্ষে-বিপক্ষে তুমূল যুক্তিখ-ন, প্রশ্ন উত্থাপন, চুলচেরা বিশ্লেষণ। শতভাগ মাফকাটিতে কোনো প্রতিষ্ঠানেই বৃহৎ কর্মসম্পাদন করতে পারে না তথাপিও অন্যায় অপরাধ ও দুর্নীতির আশ্রয় দেয়া যাবে না। যথাসম্ভব স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কর্মসম্পাদন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বটে। বিশ^বিদ্যালয়ের ভূমি প্রক্রিয়ায় কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করার মানদ- আছে। সে প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান ভূমিকায়। এই প্রক্রিয়ায় কোনো অসঙ্গতি থাকলে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় তা বিবেচিত হবে না এটাই ন্যায়সংগত। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকায় জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদন এবং হিসাব-নিকেশে একটি অংক তুলে ধরা হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয় নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি হোক এটা যেমন চাঁদপুরবাসী চায় না, অনুরূপভাবে কাউকে টার্গেট করে বিধিবর্হিভূতভাবে অপরাধে জড়ানো অনভিপ্রেত। পত্রিকায় প্রকাশিত ৬২.৫ একর মৌজা দরের ২০ গুণ দামে দলিল করা হয়। আবার দেখানো হয়েছে, প্রকৃত মৌজা দরে অধিক গ্রহণের ব্যয় ১৯৪ কোটি টাকা। আর উচ্চমূল্য দেখানো হয় ৫৫৩ কোটি টাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, ১৯৪ কোটি টাকার ২০ গুণ কি ৫৫৩ কোটি টাকা? জেলার সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল দপ্তর থেকে এ ধরনের উদ্ভট অংকের গড়মিলে প্রকাশ পায় শর্ষের মধ্যে ভূত! ডিজিটাল যুগে এই অংকের সূত্র জনসম্মুখে সঠিকভাবে প্রকাশের জন্যে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, বৈধ প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক নাগরিক জমি ক্রয় করতে পারবেন এটা স্বাভাবিক। সরকারিভাবে অধিগ্রহণকৃত ভূমি ক্রয়ের একটি নির্দিষ্ট মানদ- প্রক্রিয়া বিবেচনায় নিয়ে ভূমির মূল্য নির্ধারণসাপেক্ষে টাকার অংকে পরিশোধ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি আমলাতান্ত্রিক কারিকুলামে তা সম্পাদন করা হয়। এখানে ব্যক্তিবিশেষের ভূমিকা প্রাধান্য নয়। জনগণের সুখ-দুঃখের সারথি হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সৈনিক হয়ে আজকের ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কা-ারী। তাঁর বাচনভঙ্গি কর্মদক্ষতা নিজ গুণে গুণান্বিত। তবুও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকে প্রবল শক্তিশালী ঘরে ও বাইরে। প্রতিযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে নিছক অপকৌশলে কাউকে ধরাসয়ী করা যাবে না। কর্মদক্ষতা সততায় সবাইকে একটি অবস্থানে নিয়ে আসে। কাউকে ছোট করে বড় হওয়া দুষ্কর। জেলা প্রশাসনের ভূমিকা একটি জেলা উন্নয়নের গতি পায়। জেলা প্রশাসন আন্তরিক হলে বিন্দুতেই বিষ-বৃক্ষের মূলোৎপাটন করতে সক্ষম। সরকারি দায়িত্বশীলদের সম্মানের সাথে জেলার সম্মান ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে ভূমি-সংক্রান্ত দুর্নীতির সংবাদের বিহিত সমাধান জনগণ অচিরেই প্রত্যাশা করে। দুর্নীতি হয় বা হয় না এটা হলফ করে বলা যাবে না, তদন্তের শেষ স্বাক্ষর অবদি। এটা সত্য চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের নেত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির পক্ষে যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকুক সগৌরবে-এটা প্রত্যাশা করছি। সমসাময়িক বাংলাদেশে কোনো এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এমন স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ বিরল। স্বাধীনতা-পরবর্তী চাঁদপুরে অনন্য ইতিহাস।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়