মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ : স্বাস্থ্যের জন্যে সতর্কবাণী
অনলাইন ডেস্ক

পৃথিবী জীবাণুর ভাগাড়। জানা-অজানা অজস্র জীবাণু বা অর্গানিজম আমাদের নিরাপদ স্বাস্থ্যের জন্যে হুমকি স্বরূপ। জীবাণুকে দমন করতে হলে চাই উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক যার উপযুক্ত মাত্রা ও সেবনবিধি মেনে চলা অত্যাবশ্যক। রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ব্যতিরেকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার অনুমতি কারও নেই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো আমাদের দেশে যে কেউ ডাক্তারি করতে পারে খুব সহজেই। তারা পড়াশোনা বা অনুমতির ধার ধারেই না। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনকে এড়িয়ে গিয়েও অননুমোদিত ব্যক্তি অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে রোগীকে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে দিনকে দিন আমাদের দেশে শিশু হতে বৃদ্ধ সকলেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলছেন খুব সহজেই।

অ্যান্টিবায়োটিক কী?

অ্যান্টিবায়োটিক হলো প্রাকৃতিক উৎস হতে প্রাপ্ত বা গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে সংশ্লেষ বা আধা সংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত রাসায়নিক পদার্থ যা দেহের স্বাভাবিক অবস্থার ন্যূনতম ক্ষতি করে বা না করে দেহে অনুপ্রবিষ্ট জীবাণু ও তার প্রভাব হতে আক্রান্ত দেহকে পূর্ণভাবে মুক্ত করে। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক দেহের জন্যে যেমন ক্ষতিকর তেমনি উপযুক্ত মাত্রার চেয়ে কম পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার দেহকে জীবাণু থেকে পূর্ণমাত্রায় মুক্ত করতে পারে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে তা জীবাণুকে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি রেজিস্ট্যান্ট করে তোলে।

কী কী কারণে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়?

* যদি কোনো জীবাণুকে দমন করতে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক প্রযুক্ত না হয় বা জীবাণু শনাক্তকরণে ভুলের কারণে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রযুক্ত না হয়।

* যদি কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বয়স, লিঙ্গ ও দৈহিক ওজনের ওপর আনুপাতিক হারে হিসেব করে প্রযুক্ত না হয় অর্থাৎ মাত্রা যদি কম হয় এবং উপযুক্ত সময়ের ব্যাপ্তিতে প্রযুক্ত না হয়। যেমন : লিভারে অ্যাবসেস বা ফোঁড়া হলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে দৈনিক প্রতিডোজে ৮০০ মিলিগ্রাম হিসেবে ৮ ঘন্টা পর পর ১৪ দিন মেট্রোনিডাজল (ফ্ল্যাজিল/অ্যামোডিস/ফিলমেট/ফ্ল্যামিড ইত্যাদি) সেবন করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি দৈনিক প্রতি ডোজে ৪০০ মিলিগ্রাম করে ৮ ঘণ্টা পর পর ৭ দিন সেবন করানো হয়, তবে তাতে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা না দেখাতে পারে এবং তা সময় বিশেষে রেজিস্ট্যান্ট হয়ে উঠতে পারে।

* একই অ্যান্টিবায়োটিক ঘন ঘন প্রয়োগ করলে

* একটানা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করে অকারণ বিরতি দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে

* জীবাণুর দ্রুত মিউটেশনের কারণে

* আর্সেনিক কিংবা এর মতো ভারী ধাতুর কারণে শরীরে বিষক্রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারায় ও রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। আর্সেনিক জাতীয় ভারী ধাতু জীবাণুর আগেই যদি দেহের সংস্পর্শে আসে তবে দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে এবং তাতে দেহের পক্ষে প্রযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিককে জীবাণু নাশনে কার্যকর করে তোলা সম্ভব হয় না।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধের উপায়

* রেজিস্টার্ড ফিজিশিয়ানের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক অ্যান্টিবায়োটিক সেবন

* পূর্ণ মাত্রায় ও মেয়াদে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন ও বাদ না দিয়ে কোর্স সমাপ্ত করা

* ফার্মেসিতে রেজিস্টার্ড ফিজিশিয়ানের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ঔষধ বিক্রি না করা

* জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রবণতা রোধ করা

* খাবার পানিকে আর্সেনিকমুক্ত রাখা।

* চিকিৎসাঙ্গন বিভাগে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্ন ও লেখা পাঠানোর ই-মেইল : [email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়