প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
২০২৪ সালের নতুন নতুন প্রযুক্তি কী হতে পারে?
চলে গেছে ২০২৩ সাল। আমরা ২০২৪ সালে ভাবছি এ বছরের সেরা প্রযুক্তি কী কী হতে পারে? আসুন আমরা সেই ভাবনার আস্তরণ ভেদ করে আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি আমাদের সামনে কী কী প্রযুক্তি আসছে :
মনিটরে নতুন প্রযুক্তি : গেমাররা চায় উচ্চ রিফ্রেশরেটের মনিটর, যাতে সেকেন্ডে ১৫০+ ফ্রেম সেটি দেখাতে পারে। তবে বেশির ভাগ পিসিই ১০৮০পি রেজল্যুশনের ওপরে এমন ফ্রেমরেটে গেম চালাতে পারে না। তাই দেখা যায়, গেমিং মনিটর বেশির ভাগই ১০৮০পি রেজল্যুশনেই সীমাবদ্ধ। এদিকে গেমিং ছাড়া বাকি সব কাজেই অন্তত ১৪৪০পি বা ৪কে রেজল্যুশন বাঞ্ছনীয়, গেমাররা সেটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তাই নতুন ভেসা ১.১ স্ট্যান্ডার্ড হাজির হয়েছে ডুয়াল রেজল্যুশন ও রিফ্রেশরেট সমর্থন নিয়ে। এ বছর এলজির পাশাপাশি আরো অনেক মনিটর ১০৮০পি, ২৪০ হার্জ এবং ৪কে, ১৪৪ হার্জ, দুটি রেজল্যুশনেই চলতে সক্ষম এমন ফিচার নিয়ে বাজারে আসবে। এতে গেম খেলার সময় রেজল্যুশন কমিয়েও স্কেলিংয়ের ঝাপসা ইফেক্ট ছাড়াই ১০৮০পি-তে উচ্চ ফ্রেমরেটে খেলা যাবে গেম, আবার অন্যান্য কাজের সময় ৪কে রেজল্যুশনের ডিটেইলসও উপভোগ করা যাবে। এ ধরনের মনিটরের দামও থাকবে দুটি আলাদা মনিটর কেনার চেয়ে অনেক কম, আর একই সঙ্গে জায়গাও বাঁচবে ডেস্কে।
উইন্ডোজ ১২ ও এআই : মাইক্রোসফট চাইছে ব্যবহারকারীরা এআই কোপাইলট ব্যবহারে আরো উৎসাহী হয়ে উঠুক। এ বছর নতুন সারফেস সিরিজের ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের মাধ্যমে উইন্ডোজ ১২ অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। মাইক্রোসফট দাবি করেছে তার মূলে থাকবে উইন্ডোজ কোপাইলট। জিপিটি ৪ ভিত্তিক এ সেবাটিকেই ‘স্টার্ট মেন্যু বা ব্রাউজার’-এর মতো পিসি ব্যবহারের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভাবতে বলেছেন উইন্ডোজের নির্মাতা টিম।
এর মধ্যেই উইন্ডোজ ১১তে কোপাইলট পরীক্ষামূলকভাবে যুক্ত করেছেন রেডমন্ডের ইঞ্জিনিয়াররা। মাইক্রোসফট কি-বোর্ড নির্মাতাদের মেন্যু কী-র বদলে কোপাইলট কী যুক্ত করার জন্য নোটিসও দিয়েছে। এদিকে এএমডি ও ইন্টেল দুটি কোম্পানিই তাদের প্রসেসরে এআই চালানোর জন্য বিশেষ হার্ডওয়্যার যুক্ত করতে শুরু করেছে, যাতে উইন্ডোজ ১২তে কোপাইলট ব্যবহার করতে চাইলে পুরোপুরি ক্লাউডের ওপর নির্ভর করতে না হয়।
প্রথম রোলেবল ফোন : মটরোলা তাদের রোলেবল ডিসপ্লেসহ ফোনের পরীক্ষামূলক মডেল গত বছরের এপ্রিলে উন্মোচন করলেও, এ বছরই ব্যবহারকারীদের হাতে প্রযুক্তিটি পৌঁছে দিতে যাচ্ছে ভিভো এবং ট্রানশনের টেকনো ব্র্যান্ড দুটি। ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের পর রোল করে গুটিয়ে রাখা যায় এমন ডিসপ্লে ফোনজগতে বিপ্লব আনবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এতে ডিসপ্লের মধ্যে থাকবে না কোনো ক্রিজ, কিন্তু প্রয়োজনমতো ফোন ছোট করে স্বাচ্ছন্দ্যে পকেটেও রাখা যাবে আবার প্রয়োজনে রোল খুলে বড়সড় ডিসপ্লের স্বাদও পাওয়া যাবে। ভিভো আর ট্রানশন দুটি কোম্পানিই রোলেবল ডিসপ্লে নিয়ে কাজ করছে, সেটি চীনা প্রযুক্তি ওয়েবসাইট সিএনএমওর প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে। ডিভাইস দুটিই এ বছরের শেষভাগে বাজারে আসার কথা রয়েছে। ধরে নেওয়া হচ্ছে, মাঝারি মানের স্ন্যাপড্রাগন ৭ বা ৬০০ সিরিজের প্রসেসর এবং অ্যানড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেম থাকবে ফোন দুটিতে। এর মধ্যে ভিভোর মডেলটি অপেক্ষাকৃত দামি এবং ট্রানশন তথা টেকনোর মডেলটি হতে পারে মাঝারি বাজেটের। চীনের বাইরে ফোন দুটি পাওয়া যাবে কি না সেটা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ, তবে এদের মাধ্যমেই ফোল্ডেবলের পাশাপাশি রোলেবল ফোনের যুগে প্রবেশ করবে স্মার্টফোন বাজার।
আলট্রা ওয়াইড ব্যান্ড হেডফোন : ব্লু-টুথ প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা কাটাতে দীর্ঘদিন ধরেই আলট্রা ওয়াইড ব্যান্ড কমিউনিকেশন বা ইউডাবিউবি নিয়ে কাজ চলছে। গত কয়েক বছরের সব অ্যানড্রয়েড ফ্ল্যাগশিপ আর আইফোনে প্রযুক্তিটি দেওয়া হয়েছে, যদিও এর ব্যবহার এখনো সীমিত। এ বছর প্রথমবারের মতো বাজারে আসতে যাচ্ছে ইউডাবি উবি প্রযুক্তির হেডফোন। সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটি হবে তা হলো উচ্চমানের ভয়েস কল। এ ছাড়া উচ্চমানের লসলেস অডিও পাওয়া যাবে এ প্রযুক্তিতে, ব্লু-টুথের মতো বাড়তি লেটেন্সি ছাড়াই। গেমার আর লম্বা কনফারেন্স যারা করে, দুই ধরনের ব্যবহারকারীই এই প্রযুক্তির হেডফোন ব্যবহারে উপকৃত হবে। লসলেস অডিও অবশ্য অনেকটাই নির্ভর করবে নির্মাতাদের ওপর, তা-ও বলা যেতে পারে অডিওফাইলরা অন্তত ব্লু-টুথের চেয়ে ভালো মানের সাউন্ড পাবে। এসব হেডফোনের রেঞ্জও হবে আরো অনেক বেশি, তাই ফোন উল্টোপাশের পকেটে রাখলেই হেডফোনের কানেকশনে সমস্যার মতো ঝামেলা থাকবে না। এ বছরের শুরুর ভাগেই বাজারে আসতে শুরু করবে ইউডাবিউবি হেডফোনের বেশ কিছু মডেল।
ফোল্ডেবল ট্যাবলেট : ভাঁজযোগ্য ফোন ও ল্যাপটপের পর ট্যাবলেটের বাজারেও প্রযুক্তিটি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। বেশ কিছু পেটেন্টের ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে, স্যামসাং অন্তত দুটি মডেলের ফোল্ডেবল অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেট নিয়ে হাজির হবে এ বছরই। এতে ব্যবহারকারীরা আট বা ১০ ইঞ্চি ট্যাবলেটকে ভাঁজ খুলে ২১ ইঞ্চি পর্যন্ত বিশাল পর্দায় পরিণত করতে পারবে। এ ধরনের ডিভাইসের মূল ব্যবহার হবে ধারণা করা হচ্ছে শিল্পীদের মধ্যে, যদিও ব্যবসায়িক কাজেও বড়সড় স্প্রেডশিট বা প্রেজেন্টেশন দেখানোর সময় লাগবে এসব ডিভাইস। অ্যাপলও তাদের প্রথম ভাঁজযোগ্য ডিভাইস হিসেবে বাজারে আইপ্যাড আনবে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে আইপ্যাড মিনির নতুন সংস্করণ বাজারে না আসায় ধারণা করা হচ্ছে, মিনির বদলে আইপ্যাড ফোল্ডেবল বাজারে আনবে অ্যাপল। এ বছরই সেটির দেখা পাওয়া যেতেও পারে।
টেলিভিশন হবে আরো রঙিন : বর্তমানে বেশির ভাগ টেলিভিশনেই ব্যবহার করা হচ্ছে ওলেড প্রযুক্তি, যেখানে অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড ব্যবহার করে প্যানেল তৈরি করা হয়ে থাকে। প্রতিটি পিক্সেল তেরি হয় এমন তিনটি ডায়োড মিলিয়ে, যার মাধ্যমে ১০০ কোটিরও বেশি রং দেখানো সম্ভব। এ প্রযুক্তির ডায়োডগুলো কাজ করে লুমিনিসেন্স ইফেক্ট ব্যবহার করে। এ বছর থেকে নতুন ফসফোলুমিনিসেন্স প্রযুক্তির ডায়োডে তৈরি পিএইচওএলইডি প্রযুক্তির প্যানেলসমৃদ্ধ টিভি বাজারে আসছে। এ প্রযুক্তিতে প্যানেলগুলো আগের চেয়ে আরো কম শক্তি ব্যয় করবে, ফলে সেটি গরমও হবে কম। তাই আরো দীর্ঘদিন বার্ন-ইন ছাড়া কাজ করতে পারবে। এর পাশাপাশি আরো বেশি পরিমাণ রং এসব প্যানেল দেখাতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, ৫০ শতাংশ বেশি রঙের ধরণ দেখাতে পারবে এসব প্যানেল। ফলে ছবি হবে আরো জীবন্ত।
অ্যাপল ভিশন প্রো : যে প্রযুক্তিই হোক, সেটা নিয়ে অ্যাপল কাজ না করা পর্যন্ত মূলধারায় তা’ প্রবেশ করে না। তাই অ্যাপল ভিশন প্রো হেডসেটটি এ বছর বাজারে বিক্রি শুরুর মাধ্যমে বলা যায়, অবশেষে অগমেন্টেড রিয়ালিটির প্রসার শুরু হতে যাচ্ছে। ভিশন প্রো ম্যাকের সঙ্গে ব্যবহার্য ভিআর হেডসেট নয়, স্ট্যান্ড-এলোনে হেডসেটটিতে চলবে অ্যাপলের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম, ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন অ্যাপ। চাইলে সেটা হবে গেমিং সিস্টেম বা মুভি থিয়েটার, অথবা হতে পারে মিক্সড রিয়ালিটি মোডে সুপ্রশস্ত ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ম্যাক, যেখানে বিশাল একক ডিসপ্লে বা একাধিক ভার্চুয়াল মনিটরে করা যাবে কাজ। অ্যাপলের দাবি, এ ধরনের হেডসেট ব্যবহারকারীদের বাস্তবতা থেকে আলাদা করে ফেলে, সেটাই এটির মূল সমস্যা। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, যাতে ভিশন প্রো ব্যবহার করার সময় চারপাশের মানুষের সঙ্গেও সাবলীলভাবে কথোপকথন চালানো যায়, আশপাশের সব কিছু দেখা ও শোনা যায় কোনো লেটেন্সি ছাড়াই। এখন দেখার বিষয় ফিচারগুলো আসলেই অগমেন্টেড রিয়ালিটিকে আরো গ্রহণযোগ্য করে কি-না। কেননা এ ধরনের ফিচার থাকার পরও মেটার কোয়েস্ট সিরিজ এখনো তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।
নিন্টেন্ডোর নতুন কনসোল : অবশেষে ২০২৪ সালে নিন্টেন্ডো তাদের নতুন কনসোল বাজারে আনতে যাচ্ছে। অন্তত এমনটাই ধারণা করছেন গেমিং ইন্ডাস্ট্রি গবেষক ড. সেরকান টোটো। তিনি বলেছেন, ‘নিন্টেন্ডো বহু বছর ধরেই ‘সুইচ-২’ নিয়ে কাজ করছে, একসময় সেটিকে সুইচ প্রো নামেও আখ্যায়িত করেছিলেন নিন্টেন্ডোর ভেতরের ইঞ্জিনিয়াররা। এও জানা গেছে, নতুন কনসোলের জন্য গেম তেরি নিয়ে এর মধ্যেই কাজ করছে বেশ কিছু বড়সড় স্টুডিও।’ নতুন কনসোলটির চেহারা তেমন বদলাবে না, বর্তমান নিন্টেন্ডো সুইচ কনসোলের মতোই ট্যাবলেট আকৃতির হবে, দু’পাশে থাকবে গেম নিয়ন্ত্রণ করার জয়কন। টিভির সঙ্গে সংযোগ আর চার্জিংয়ের জন্য থাকবে ডক। ভেতরের হার্ডওয়্যার এবারও তৈরি করবে এনভিডিয়া। সুইচের চেয়ে বেশ শক্তিশালী হলেও প্লে স্টেশন-৫ বা এক্সবক্স সিরিজ এক্সের সঙ্গে তুলনীয় হবে না। বছরের শেষভাগে নতুন মারিও বা পোকেমন গেমের সঙ্গে কনসোলটি উন্মোচিত হতে পারে। দাম ধারণা করা হচ্ছে ৪০০ ডলারের আশপাশে থাকবে, তবে এবার গেমের দাম বাড়াবে নিন্টেন্ডো। বর্তমানে নতুন গেমের দাম ৬০ ডলার রাখা হচ্ছে, সেটি বাড়িয়ে ৭০ ডলার করা হবে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কনসোল সুইচ, নতুন কনসলোটিও সেই ধারা ধরে রাখবে বলে আশা করছে নিন্টেন্ডো।
হোম সিকিউরিটি ড্রোন ক্যামেরা : জনপ্রিয় স্মার্টহোমসামগ্রী ব্র্যান্ড রিং বাজারে আনতে যাচ্ছে উড়ন্ত সিকিউরিটি ক্যামেরা ড্রোন। বাসার প্রতিটি রুম ঘুরেফিরে লক্ষ্য করার জন্য সেটি তৈরি করা হচ্ছে, সময়মতো সেটি ডকে ল্যান্ড করে রিচার্জও করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোন অ্যাপ থেকে বাসার বাইরে বসেও ড্রোনটি ব্যবহার করে লাইভ ক্যামেরা ফিডের মাধ্যমে দেখতে পারবে ঘরের প্রতিটি কোণায় কী কী হচ্ছে। এ ছাড়া ড্রোনটিকে শিডিউল অনুযায়ী পাহারা দেওয়ার জন্য করা যাবে প্রোগ্রাম, অথবা মোশন সেন্সরের সঙ্গে যুক্ত করে যদি বাসায় কেউ অনুপ্রবেশ করে তাহলে সেটি রেকর্ড করার জন্যও প্রোগ্রাম করা যাবে। এর মধ্যেই ড্রোনটি পরীক্ষা করার জন্যে অনুরোধ গ্রহণ করছে অ্যামাজন। এ বছর থেকেই সেটি বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
ল্যাপটপ হবে আরো হালকা ও শক্তিশালী : এআই চালানোর জন্যে বিশেষায়িত কোরসমৃদ্ধ প্রসেসর এ বছরই ল্যাপটপে ব্যবহার শুরু হবে, উইন্ডোজ ১২ ব্যবহারকারীরা যার সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে। এ ছাড়া ল্যাপটপের র্যাম প্রযুক্তিতে এসেছে নতুন বিপ্লব, বর্তমানের র্যাম স্টিকের চেয়ে আরো অনেক ছোট এবং দ্রুতগতির স্টিক বাজারে আসছে এ বছর থেকেই। এর ফলে সরাসরি মাদারবোর্ডে শোল্ডারিং না করেও অত্যন্ত উচ্চগতির র্যামসমৃদ্ধ ল্যাপটপ তৈরি করতে পারবেন নির্মাতারা। এর ফলে গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি র্যামের পেছনে যেমন খরচও কমবে তেমনই কমবে ব্যাটারির ওপর চাপ। এর বাইরে ল্যাপটপে পিসিআই এক্সপ্রেস-৫ প্রযুক্তির এসএসডিও এ বছর থেকেই ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে, ফলে ডাটা ট্রান্সফার থেকে চালু ও বন্ধের গতি বাড়বে বহুগুণ। এদিকে র্যাম স্টিকের সাইজ কমানোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে স্টোরেজ বা র্যাম বাড়ানোর অপশন বাদ না দিয়েই ল্যাপটপকে করা যাবে আরো হালকা ও স্লিম। (সূত্র : কালের কণ্ঠ)