প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০
ক্লেমনের ৫ দিনব্যাপী স্কিল ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে ক্রিকেটাররা
চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে জেলা ও উপজেলার উদীয়মান ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ দিনব্যাপী স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প। ক্লেমন গ্রুপের ব্যবস্থাপনায় এবং চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর আয়োজনে মে মাসের ২য় সপ্তাহে এ ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলো অনূর্ধ্ব ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ক্রিকেটাররা। ক্যাম্পের মূল দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং বর্তমান এইচপি টিম ও বয়সভিত্তিক দলের কোচ মুর্তজা। তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব ২৩ দলের সাবেক ক্রিকেটার চাঁদপুরের গাজী আলমগীর।
ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীতে প্রশিক্ষণ নেয়া সকল বয়সী ক্রিকেটাররাই প্রতি বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচদের মাধ্যমে স্কিল ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে একাডেমীর অনূর্ধ্ব ১৪ থেকে ১৬ ও অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে ১৮ দলের প্রায় ৬০ জন ক্রিকেটার স্কিল ক্যাম্পে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। প্রশিক্ষণ চলাকালে কোচ ও ক্রিকেটারদের সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কোচ ও ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমী চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা শামিম ফারুকী।
স্কিল ক্যাম্পে ব্যাটিং ও বোলিংসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছিলেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারগণ। দিনে দু সেশনে ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প চলে। ক্যাম্প চলাকালীন সময়ে দেখা গেছে, সকালে এবং বিকেলে ক্রিকেটারদের অভিভাবকরা মাঠে উপস্থিত ছিলেন।
স্কিল ক্যাম্পে অংশ নেয়া অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষকরা হলো : আয়ান, সিয়াম, শ্রাবণ, আদনান, নোমান, সাফি, আফতাব, আফ্রিদী, ইলিয়াছ, মুরসালিন, তাহসিন, জিহাদ। বামহাতি ব্যাটসম্যান নাফি ও আফি। ডানহাতি বোলার (লেগ স্পিনার) ফারদিন ও রাফিদ, বামহাতি (লেগ স্পিনার) মিহাদ, ফারদিন, অনিমেশ, জাহিন, সিহাদ ও নাবিল। পেস বোলার বামহাতি আল-আমিন, পেস বোলার (ডানহাতি) শাওন, নাফি, মিনহাজ, ফিরোজ, সানজিদ ও হোসেন গাজী।
অনূর্ধ্ব ১৪ থেকে ১৬ বয়সী ক্রিকেটাররা হলো : পেস বোলার (ডানহাতি) লাবিব, মুজাহিদ, জুবায়ের, শিশির, তাসিন, নিরব, তানজিদ, দীপ্ত ও তাহসান। বামহাতি (লেগস্পিনার) মিশাল, প্রান্ত ও ফারাবি। ডানহাতি লেগস্পিনার তামিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক অয়ন, সাজু, লিও, জিদান, সিহাব, অনুক, ইমতিয়াজ, অরণ্য, আপন ও সাইফ, রাসেল। এর সাথে সিনিয়র ক’জন ক্রিকেটারও স্কিল ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলেন।
জনাব শামিম ফারুকী এ প্রতিবেদকেক বলেন, প্রতি বছরই এ স্কিল ক্যাম্পটির আয়োজন করা হয় ক্লেমন কোম্পানির মাধ্যমে। এখানে একাডেমির ছাত্ররাই অংশ নেয়। একাডেমীর অনূর্ধ্ব ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ক্রিকেটাররা অংশ নেয়। দু সেশনে ঢাকার কোচ জেলার ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করেছেন। ক্রিকেটারদের খেলার মান উন্নয়নের জন্যে ক্লেমনের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
স্কিল ক্যাম্পে অংশ নেয়া ক্রিকেটাররা এ প্রতিবেদককে জানান, জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা স্কিল ক্যাম্পে অংশ নিয়ে থাকে। এই ক্যাম্প দ্বারা আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। একজন ভালো ক্রিকেটারের জন্যে স্কিল ক্যাম্প অনেক প্রয়োজন। স্কিল ক্যাম্পের মাধ্যমে খেলোয়াড়রা তাদের ভুল ত্রুটিগুলো শুধরে নিতে পারেন। মাঝে মাঝে এ আয়োজন করা হলে সকল ক্রিকেটারই ভালো কিছু করতে পারবে।