প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শীত আসলেই বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় ব্যাডমিন্টন খেলা। শীতের পুরো সময়টুকুই দেখা যায়, এ খেলাটি বিভিন্ন স্থানে খেলছেন বিভিন্ন বয়সী খেলোয়াড়গণ। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ সেনা অফিসাররা ব্যাডমিন্টন খেলা উদ্বোধন করেছিলেন। ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খেলা ব্যাটলডোর ও শাটলকককে ১টি নেটে যুক্ত করে এই খেলা চালু করেছিলেন তারা।
ব্যাডমিন্টন হলো এমন একটি খেলা, যা র্যাকেট ব্যবহার করে নেট জুড়ে শাটল কককে আঘাত করার জন্যে খেলা হয়। গেমটির সবেচেয়ে সাধারণ ফর্মগুলো হলো সিঙ্গেল ও ডাবলস্। পয়েন্ট অনুযায়ী খেলাটি খেলতে হয়।
ব্যাডমিন্টনের সিজন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই চাঁদপুর জেলা শহরে ব্যাডমিন্টন (র্যাকেট) কেনার জন্যে খেলাধুলার সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে ভীড় দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই দোকানগুলোতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত খেলোয়াড়রা ফ্রেম ও স্ট্রিং কিনে পছন্দ অনুযায়ী খেলার ব্যাট নিচ্ছেন। আর দোকানের মালিকগণ খেলোয়াড়দের পছন্দ অনুযায়ী ফ্রেম দিয়ে স্ট্রিং (ভিতরের অংশের সুতা) তৈরি করে দিচ্ছেন। আর এতে করে বিক্রির চাহিদাও বেড়ে গেছে।
চাঁদপুর শহরের গণি স্কুলের সামনে এশিয়ান স্পোর্টসের সামনে ও ভিতরে খেলাধুলার সরঞ্জামাদি কেনার জন্যে খেলোয়াড়দের ভীড়। দোকানের মালিক মোঃ মোক্তার আহমেদ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের পছন্দ অনুযায়ী ফ্রেম নিয়ে স্ট্রিং লাগিয়ে দিচ্ছেন। তার সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপকালে তিনি জানান, চাঁদপুর শহরসহ কচুয়া, ফরিদগঞ্জ ও মতলব থেকে অনেক ক্রেতা আসেন কেনাকাটার জন্যে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে আমাদের স্ট্রিংয়ের কাজ শুরু হয়, চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ২৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার স্ট্রিং দিয়ে ফ্রেম লাগিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রেম কিনে পুরো ব্যাডমিন্টন কিনে নেয়। তিনি জানান, গত ক'দিন ধরে তাদের কাছে নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা আসছেন কেনাকাটার জন্যে।
ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হাইমচর উপজেলার নাহিদুল ইসলাম দোকানে আসেন নতুন র্যাকেট কেনার জন্যে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা খেলাধুলার সকল কিছুই এই দোকান থেকে কেনাকাটা করি। ভালো জিনিস পাওয়া যায় এবং আমাদের সাধ্য অনুযায়ী দামে কেনাকাটা করা যায়। আমরা এখানে ব্যাট ভেঙ্গে গেলে এবং ব্যাটের ভিতরের সুতা নষ্ট হয়ে গেলে সেটা পরিবর্তনের জন্যে আমরা এখানে নিয়ে আসি।