প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
ছোটবেলা থেকেই ছিলেন খেলার প্রতি আসক্ত। প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি না পেরুতেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। আর ক্রিকেটের ব্যাট হাতে এই পর্যন্ত চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে সমসাময়িক তার মতো এতো সেঞ্চুরীর রেকর্ড নেই অনেক ক্রিকেটারের। হাই স্কুলে পড়া অবস্থায় চাঁদপুর জেলা সাঁতার দলের হয়ে এবং গণি মডেল হাই স্কুলের হয়ে জিতেছেন রৌপ্যসহ বিভিন্ন ইভেন্টের অনেক পুরস্কার। ছোটকাল থেকেই চাঁদপুর শহরের জোড়পুুকুর পাড় এলাকায় এবং মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ লেকে সাঁতার কেটে স্বপ্ন দেখেছিলেন বিভাগ থেকে জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার। হাই স্কুলে পড়া অবস্থায় দেশের বিভিন্ন সুইমিংপুলে বয়সভিত্তিক সাঁতারে অংশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এনে দিয়েছিলেন বিভিন্ন পুরস্কার। আর পরবর্তীতে চাঁদপুরের ক্রিকেটের কর্ণধার, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মনোনীত কোচ এবং তার প্রধান ক্রিকেট কোচ শামিম ফারুকীর সাথে পরিচয়ের সুবাদে এবং তার উৎসাহ উদ্দীপনায় ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েন প্রাইমারী স্কুলের জীবন শেষ করেই। সেই ক্রিকেটের সাথে এখনও জড়িত রয়েছেন। রাজধানী ঢাকার বেশ কটি উল্লেখ্যযোগ্য দলের হয়ে ক্রিকেট খেলতে নেমে ব্যাটিংয়ে তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন দলের হয়ে খেলতে নেমে এবং ঢাকা ৩য়, ২য় ও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট দলের হয়ে বিভিন্ন মাঠেই অপরাজিত সেঞ্চুরীসহ রয়েছে রানের রেকর্ড।
তিনি হলেন চাঁদপুর জেলা কোয়াবে’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ক্রিকেটার মোঃ হানিফ ঢালী হীরা। তার বাবার নাম মোঃ হাজী ছাত্তার ঢালী। মায়ের নাম বানেছা বেগম। তারা বসবাস করেন চাঁদপুর শহরের বাগাদী রোডস্থ ঢালী বাড়িতে। ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুবাই প্রবাসী মোঃ বাবুল তালুকদারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস সাথীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে রয়েছে ১১ মাস বয়সী ছেলে। তার নাম আল-আমিন ঢালী (নাফিস)।
খেলাধুলা ছাড়াও হানিফ ঢালী হীরা ঠিকাদারি সরবরাহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন। শহরের নতুনবাজার ট্রাকঘাট এলাকায় ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। তাদের নিজস্ব পরিবহন দ্বারাই সকল কিছুতেই মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন ক্লাবসহ ঢাকায় ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন তিনি। ছোটকালে যখন তিনি সাঁতারের সাথে জড়িত ছিলেন তখন তার কোচ ছিলেন ডিএন হাই স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ও সাবেক সাঁতারু আবুল কাশেম সায়মন। প্রাইমারি স্কুল শেষ করেন চাঁদপুর শহরের কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন ঐতিহ্যবাহী ডিএন হাই স্কুলে। সেখান থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর ক্রিকেটের সাথে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন।
শনিবার দুপুরে হীরা ঢালীর সাথে ক্রীড়াকণ্ঠ প্রতিবেদকের আলাপচারিতায় তিনি তুলে ধরেন তার খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত খেলাধুলার বিষয়। পাঠকদের জন্য তার বক্তব্যগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো। তিনি একজন ডানহাতি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আস্সালামুআলাইকুম, কেমন আছেন?
হানিফ ঢালী হীরা : জি¦ ওয়ালাইকুম আস্সালাম, ভালো আছি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : খেলাধুলার সাথে জড়িয়ে পড়েন কখন থেকে?
হানিফ ঢালী হীরা : আমি ৪র্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় খেলাধুলার সাথে জড়িয়ে পড়ি। তখন আমাদের এলাকায় পাড়ার বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম ও সাঁতার দিতাম। কদমতলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় টেপ টেনিসে আন্তঃ প্রাইমারি টেপ টেনিস ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। আমি কদমতলা সপ্রাবির হয়ে ষোলঘর বিটি স্কুলের মাঠে হাসান আলী সপ্রাবির সাথে ক্রিকেট খেলায় অংশ নেই। প্রথম ম্যাচে ওই টুর্নামেন্টে নেমে ৫২ রান করি ব্যক্তিগতভাবে। অবশ্য সেই টুর্নামেন্টে পরের ম্যাচে আমাদের দল হেরে যায়। আমি প্রথমে সাঁতারের সাথে জড়িত ছিলাম এবং পরবর্তীতে ক্রিকেট খেলার সাথে জড়িয়ে পড়ি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি সাঁতারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন কখন থেকে? আপনার অর্জন কী?
হানিফ ঢালী হীরা : আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াবস্থায় সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু করি। সায়মন স্যারের মাধ্যমে জোড়পুকুর পাড়ে তখন আমরা সাঁতার প্রশিক্ষণ নিতাম। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি কলেজের শেরে বাংলা হোস্টেলের পুকুরে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। ওই বছরই ঢাকায় জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় ফ্রি স্টাইল ও বাটার ফ্লাই প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় জাতীয়ভাবে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ব্রেস্ট স্ট্রোকে দুটি রৌপ্য অর্জন করি। এছাড়া ৭ম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াবস্থায় চাঁদপুর জেলা দলের হয়ে সাঁতারের বিভিন্ন ইভেন্টে বিভিন্ন প্রতিয়োগিতায় অংশ নেই। চাঁদপুর সরকারি কলেজের হয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সাঁতার প্রতিযোগিতায় ফ্রি স্টাইলে, বাটারফ্লাইয়ে ও বেক স্ট্রোকে অংশ নিয়ে তিনটিতেই প্রথম স্থান অর্জন করি এবং ব্যক্তিগত রিলেতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম। তখন সাঁতারে আমার সাথে হোসেন, কামাল, রুস্তম, রাসেলসহ আরো অনেককেই মিলে সাঁতার অনুশীলনসহ প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নিতাম।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ক্রিকেটের সাথে কখন থেকে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন?
হানিফ ঢালী হীরা : আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়াবস্থায়ই টেপ টেনিস দিয়ে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন স্থানে ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট ও লীগগুলোতে অংশ নেয়া শুরু করি। তখনকার সময়ে দেলোয়ার, রায়হান, গাজী আলমগীর, সুব্রত, রাকিবুল ভাইসহ তাদের সাথে বিভিন্ন স্থানে খেলে বেড়াতাম। বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন মাঠে ব্যাটিং করতে গিয়ে চার-ছক্কারও অনেক রেকর্ড হয়েছে আমার।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আন্তঃস্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়?
হানিফ ঢালী হীরা : আমি ডিএন হাই স্কুলের হয়ে আন্তঃস্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। আমি এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ১৩০ রানে অপারাজিত ছিলাম।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ক্রিকেটে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শুরুতে?
হানিফ ঢালী হীরা : আমাকে ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা শামিম ফারুকী স্যার বিভিন্ন পরামর্শসহ অনেক সহযোগিতাই করেছেন। ২০০৭ সালের দিকে স্যারের মাধ্যমে চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর হয়ে ফরিদগঞ্জ দলের সাথে ২য় বিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। সেই বছর আমাদের দল ফরিদগঞ্জের সাথে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। ওই বছরই স্যারের নেতৃত্বে চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর হয়ে ঢাকায় ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণ শুরু করি। একাডেমীর হয়ে খেলতে গেলেও প্রথম ৩ ম্যাচ আমাকে বসিয়ে রাখা হয়েছিলো। অবশ্য সেই ৩ ম্যাচ বসিয়ে রাখার পর যে ঢাকার মাঠে খেলতে নেমেছি এখন পর্যন্ত খেলেই যাচ্ছি। ওই বছরই ওই লীগে চাঁদপুর একাডেমীর হয়ে দুটি হাফ সেঞ্চুরী করি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুর জেলা দলের বয়সভিত্তিক দলে?
হানিফ ঢালী হীরা : চাঁদপুর জেলা দলের অনূর্ধ্ব ১৮ দলের হয়ে চট্টগ্রামে খেলতে যাই। রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত সেই ফাইনাল খেলায় ৪৮ রান করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হই। আমি দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলাম। ওই বছরই আমাদের জেলা দলটি চট্টগ্রাম বিভাগের বয়সভিত্তিক দলে চ্যাম্পিয়ন হয়। আমার সাথে ওই দলে তখন ছিলো পলাশ কুমার সোম (অধিনায়ক), ইমরান, বিদ্যুৎ ইমরান, শরীফ, রিপন, অহিদসহ অনেকেই।
ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুর জেলা ক্রিকেট দলের হয়ে?
হানিফ ঢালী হীরা : আমি ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে এখনও জেলা দলের হয়ে নিয়মিত ক্রিকেট খেলে যাচ্ছি। আমি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন খেলার মাঠসহ বরিশাল, পিরোজপুরসহ অনেক টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেট লীগে জেলা দলের হয়ে অংশ নিয়েছি। বেশ ক’টি জেলায় ক্রিকেট লীগে আমার ৪/৫টি করে সেঞ্চুরী রয়েছে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ঢাকায় কোন্ কোন্ ক্লাবে খেলেছেন এবং এখন খেলছেন?
হানিফ ঢালী হীরা : আমি তো প্রথমেই বলেছিলাম যে, ঢাকায় আমার হাতেখড়ি হয় আমার ক্রিকেট ওস্তাদ শামিম ফারুকীর মাধ্যমে। তারপর আমি প্রথম বিভাগ সিটি ক্লাব মিরপুরের হয়ে ৩ বছর, মিরপুর বয়েজের হয়ে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগে ১ বছর, কালিন্দি ক্লাবের হয়ে ২য় বিভাগে ২বছর ও প্রথম বিভাগে ৩ বছর , কাকরাইল ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে ১ বছর খেলেছি। ঢাকায় ব্যাটিংয়ে ভালো রান করার কারণে বেশ ক’টি ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করেছি। যখন যে ক্লাবের হয়ে খেলেছি, আল্লাহর রহমতে প্রত্যেকটি দলকেই ব্যাট হাতে ভালো রান উপহার দিতে পেরেছি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুরে কোন্ কোন্ ক্লাবে খেলেছেন?
হানিফ ঢালী হীরা : আমি চাঁদপুরে প্রথম পাইওনিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে খেলা শুরু করি। এরপর আবাহনী, শেখ রাসেল, প্রফেসরপাড়াতে খেলি। তবে আমি চাঁদপুর আবাহনী ক্লাবের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে খেলে আসছি। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আবাহনী ক্লাবের হয়ে বেশ ক’টি সেঞ্চুরী রয়েছে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : সাবেক সাঁতারু হিসেবে অরুণ নন্দী সুইমিংপুল নিয়ে কিছু বলুন।
হানিফ ঢালী হীরা : চাঁদপুরের অরুণ নন্দী সুইমিংপুলের অবস্থা খুবই খারাপ। এটাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আরো পরিপূর্ণ করতে হবে। যারা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাঁতার উপ-কমিটিতে রয়েছেন তাদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এ জেলার সাঁতারের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের সাঁতারুদেরকে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। সুইমিংপুলটি পরিষ্কারসহ সবসময় অনুশীলন ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ক্রিকেটের উন্নয়নে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কী করা প্রয়োজন?
হানিফ ঢালী হীরা : চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট কমিটিতে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের প্রথম লক্ষ্য হিসেবে উদীয়মান ক্রিকেটারদেরকে খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে। জেলা পর্যায়ে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ চালু করতে হবে। এতে করে উদীয়নমান অনেক ক্রিকেটার বের হয়ে আসবে। দেখা যায় যে, চাঁদপুরে ২টি একাডেমী রয়েছে, সেখানে অনেক ক্রিকেটার অনুশীলন করে যাচ্ছেন। তারা কি শুধু অনুশীলন করেই যাবে। যদি তারা অনুশীলনের পাশাপাশি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে তাহলে তো তারা ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। নিয়মিত খেলাধুলা না হলে হারিয়ে যাবে চাঁদপুরের ক্রিকেট। চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমীতে অনুশীলনরত রয়েছেন প্রায় ৫শ’র মতো ক্রিকেটার। অপরদিকে শেখ কামাল একাডেমীতে অনুশীলন করছেন ৭০ থেকে ৮০ জন ক্রিকেটার। এ সমস্ত ক্রিকেটারকে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। আমার ওস্তাদ শামিম ফারুকীর কারণে বেশ ক’বছর ধরে ক্রিকেট খেলে ভালোই পারিশ্রামিক পাচ্ছি। এভাবে যদি জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররারা খেলাধুলার মাধ্যমে ঢাকায় সুযোগ পায় খেলতে, তাহলে তারাও ভালো করবে। আমি চাই চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ জেলার ক্রিকেটারদের কথা চিন্তা করে নিয়মিত ক্রিকেট খেলার যেনো আয়োজন করে। আর বিশেষ করে ক্রিকেট খেলার মৌসুমেই যেনো ক্রিকেটের খেলাগুলো চালানো হয়।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কি শামিম পাটওয়ারী ও মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথে খেলেছিলেন?
হানিফ ঢালী হীরা : হ্যাঁ, আমি শামিম ও মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথে অনেক স্থানে একসাথে ক্রিকেট খেলেছি। আমি যখন নিয়মিতভাবে বিভিন্নস্থানে ক্রিকেট খেলি তখন ছোট এই দুই ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়। চাঁদপুরের বিভিন্ন ক্লাবসহ জেলার বাইরেও জেলা দলসহ অনেক ক্লাবের হয়ে খেলেছি। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে আমার একটি অনুরোধ ওদের দু’জনের ব্যাপারে, তা হলো, ওরা যেনো চাঁদপুরের ক্রিকেট খেলায় স্থানীয় কোটায় খেলার সুযোগ পায়। ওরা এখন জেলা পর্যায়ের টি-টুয়েন্টি এবং প্রিমিয়ার লীগে যদিও কোনো দলে খেলেন এবং খেলেছেন, তাদেরকে বিদেশী কোটায় খেলতে হয়েছে। তারা চাঁদপুরের গর্ব। জেলা ক্রীড়া সংস্থার উচিত বেশি বেশি ক্রিকেট লীগ ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালানো। তাহলে আগামীতে তাদের পরে এ জেলা থেকে আরো ক্রিকেটার সৃষ্টি হবে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ঢাকায় খেলার ক্ষেত্রে কার সহযোগিতা বেশি পান?
হানিফ ঢালী হীরা : আমাকে ঢাকায় খেলার ক্ষেত্রে কালিন্দি ক্লাবের অফিসিয়াল আলী হোসেন ভাই অনেক সহযোগিতা করেন। তিনি বিসিবির সিসিডিএম’র সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার ক্লাবের সকল খেলোয়াড়কে খেলাধুলার ব্যাপারে অনেক সহযোগিতা করে থাকেন।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
হানিফ ঢালী হীরা : হ্যাঁ, আমিও বিজয়ের মাসে সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। আমি যেনো নিয়মিতভাবে এবং ধারাবাহিকতা ধরে খেলে যেতে পারি এজন্যে সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ প্রত্যাশা করছি।