প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
পাশের বাড়ির মেয়ে এ প্লাস না পাওয়ার পর
স্বামী : কি হলো সকাল সকাল এমন কসমেটিক্সের দোকান নিয়ে বসেছো কেনো? কোথাও যাবে নাকি?
স্ত্রী : তুমি তো দুনিয়ার কোনো খবরই রাখো না। পাশের বাড়ির ভাবীর মেয়ে এ প্লাস পায়নি। এখন আমি যদি গিয়ে মেয়েটাকে কিছু না বলি তাহলে লোকে কী বলবে? আমার মুখের কথার কোনো ইজ্জত থাকবে? মেয়েটাকে আমি আগেও দেখছি সারাদিন মোবাইল টিপে। এই বিষয়টা ওর মায়ের কানে আজ মসলা মিশিয়ে দিতেই হবে। আর বলবো ভালো একটা চা-ওয়ালা টাইপের ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দেয়ার জন্যে।
এক লোক ম্যানহোলে পড়ে যাওয়ার পর
প্রথম লোক : ভাই এক সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকাতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে চিপায় আটকে গেছি। আপনি একমাত্র দিলদরদি মানুষ যে কি আমাকে উদ্ধার করার জন্যে ম্যানহোলে ঢুকছেন। কী বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দেবো।
দ্বিতীয় লোক : ধুর বেকুব! আপনাকে ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করার জন্যে আসছি এটা কে বললো? আমি তো ফেসবুকে ভাইরাল পেইজের অ্যাডমিন। আসছি আপনার সঙ্গে একটা সেলফি তুলে ভাইরাল করার জন্যে। ক্যামেরা থাকার পরও এমন ছবি না তুললে ক্যামেরার কি ইজ্জত থাকে? এখন আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি মারেন তো?
ঋণের টাকা দ্রুত পরিশোধ করার পর
প্রথম লোক : বুঝলেন ভাই, পাশের বাড়ির করিম ভাইয়ের থেকে হাজার দশেক টাকা ধার নিয়েছিলাম। চাওয়ার আগেই আজ দিয়ে দিলাম। আহ কি শান্তি লাগছে!
দ্বিতীয় জন : আপনি তো দেখছি ঋণখেলাপি সমাজের কলঙ্ক। আরে মিয়া ঋণ নেয়ার পর পরিশোধের তো একটা সিস্টেম আছে নাকি। মোটামুটি দশ-বারোবার পাওনাদার আপনার পেছনে ঘুরে জুতো ক্ষয় না করলে তো তা ঋণই হয় না। এই আপনাদের মতো মানুষের জন্যে এখন আর ঋণ নিয়ে শান্তি নাই। ইজ্জত আর রাখলেন না আপনারা।
* পাঠক ফোরাম বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা