প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
ছুটির দিনে
বিবাহিত : ছুটির দিন হলেও বিবাহিতদের শান্তি নেই। অ্যালার্মের শব্দ না হলেও বউয়ের চেঁচামেচিতে ঠিকই ঘুম ভাঙতে পারে। এখনো ঘুমাচ্ছ? বাজার কি ভূত করে দিয়ে যাবে? এই ধর লিস্ট। আজও যদি ভুলে কচুর লতি আর পাবদা মাছ না আন তাহলে নিজেকেই রান্নাবান্না করে খাবারের আয়োজন করতে হবে।
অবিবাহিত : বউয়ের চেঁচামেচি থেকে এরা মুক্তি পেলেও অলস হওয়ার কারণে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। ছুটির দিনে বাজারে না যেতে হলেও ঠিকই তাদের এভারেস্ট সমান ময়লা কাপড় ধোয়ার জন্য বিছানা ছাড়তে হয়। শান্তি নাই।
বাসের মধ্যে
বিবাহিত : বাস হলো বিবাহিতদের দ্বিতীয় শান্তির জায়গা। একমাত্র এই জায়গায়ই তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারে।
অবিবাহিত : বাসে অবিবাহিতরা বেশির ভাগ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তাদের মন পড়ে থাকে পাশের সিটে। যদি একটা সুন্দরী মেয়ে এসে বসতে পারে তাহলেই হলো। তারপর শুরু হয় ট্যারা চোখে তাকানো।
ঝগড়া
বিবাহিত : সবচেয়ে ভয়াবহ মুহূর্ত হলো বিবাহিতদের ঝগড়া। শব্দবোমার পাশাপাশি হাতের কাছে যা পাবে তাই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়া। একজন বোলিং করেন আরেকজন ফিল্ডিং। বেশির ভাগ সময়ই বল হিসেবে এখানে থাকে ফুলদানি, হাঁড়ি-পাতিল ইত্যাদি। এই ঝগড়া আশপাশের আধা মাইল দূর থেকেও মাঝে মাঝে শোনা যায়। দর্শক-শ্রোতার অভাব হয় না।
অবিবাহিত : এদের ঝগড়া শুরুই হয় তৃতীয় কোনো মেয়ে বা ছেলেকে নিয়ে। তারপর শুরু চারিত্রিক সনদপত্র দেওয়া এবং সবশেষে শেষ হয় মোবাইল ভাঙার মাধ্যমে।
অফিসে
বিবাহিত : এই একটা জায়গায় বিবাহিতরা একটু শান্তিতে আছে। মানে বউয়ের কথা বলে একটা এক্সট্রা ছুটি নিতে পারে। দেরি করে অফিসে এলেও সব দোষ বউয়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায়।
অবিবাহিত : সারাক্ষণ প্যারার মধ্যে থাকতে হয় তাদের। বিবাহিত কলিগও মাঝে মাঝে কাজ ধরিয়ে দিয়ে যায়। কাজের চাপ বেশি হলে, সবাই এক গাল হেসে বলেন, আরে মিয়া বাসায় গিয়ে কি করবেন? বউ তো আর নাই। এখনই তো কাজের সময়।