প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
একাত্তরের ডিসেম্বরে বাজলো বিজয়ের ধ্বনি,
১৬ তারিখে অর্জিত হলো স্বাধীনতা-
হাতে পেলাম বিজয়ের স্যমন্তক মণি।
২৫ মার্চের কালো রাতে হিংস্রজীবীরা দাবানল জ্বালিয়েছে বাংলার বুকে,
বিদ্রোহী বঙ্গবন্ধু সন্তানেরা মরবার নয়,
প্রভঞ্জন ঘটিয়েও তারা দিতে পারেনি বাঙালিদের রুখে।
বাঙালি নিধনের নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছিলো তারা,
রক্ত ঝড়িয়েছে বাংলার বুকে, করেছে স্বজনহারা।
তবুও পলিমাটির ছেলেরা দমে যাবার নয়,
পদ্মা-যমুনা সুন্দরবনই তাদের পরিচয়।
দেশের জন্যে দিয়েছে রক্ত, মনে ছিলো না ভয়।
তারা রিক্ত পেটে ঘরে ঘরে গড়ে তোলে দুর্গ,
সেদিন করেনি জীবনের ভয়েও নরপশুদের অর্ঘ্য।
পাকিস্তানি নরপশুরা মানুষ হত্যা করেছে নির্বিচারে,
কিন্তু বুমেরাং মার, শেষ রাতে টের পেয়েছে হাড়েহাড়ে।
তাইতো শেষমেষ বলেছে ‘জয় বাংলা’ বারেবারে।
কামান-রাইফেলের আঘাত পারেনি নিভৃত কাকতাড়ুয়াদের দমাতে;
বাঙালি যুদ্ধ করেছে বাংলার জন্যে, আঘাত সয়ে প্রতিঘাতে,
হিন্দু, মুসলিম কিংবা মারমা মিলে যুদ্ধ করেছে দিনেরাতে,
নারী-পুরুষ, ছাত্র-শিক্ষক, কবি-কৃষক-জেলে সবাই,
সেদিন ছিলো না ধর্মের দোহাই, সবাই তারা ভাই ভাই।
সবার দাবি একটাই, জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার স্বাধীনতা চাই।
দেশকে ভালোবেসে যুদ্ধ করেছে তারা দেশের মুক্তির জন্যে,
দেশমাতৃকার জন্যে জীবন দিয়ে হয়েছে চিরধন্য।
রক্তক্ষয়ী নমাস যুদ্ধের পর হয়েছে এদেশ মুক্ত,
স্বাধীন মানচিত্রের রঙিন কালি মুক্তিসেনার রক্ত।
প্রথম, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পেরিয়ে ১৯৭১-এ রণক্ষেত্রে প্রাণ দিলো বাঙালি জাতি,
তিরিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আনল বিজয়ের জ্ঞাতি,
লাল-সবুজের পতাকা হয়ে আজ শহিদগণ বসে হাসে মায়ের কোলে,
বাংলা মা তার সন্তানকে সেই গৌরবের কথা আজ বলে
ভাষা আন্দোলন, ছয়দফা, সাত মার্চ, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু মিলেই স্বাধীন বাংলাদেশ,
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় তার রূপের নাইকো শেষ।
ফরিদপুরের রউফ আজ নিভৃতে শুয়ে আছে নানিয়ার চরে,
বাংলা মা শোনায় গল্প-
শোনায় বীরশ্রেষ্ঠ-উত্তমণ্ডবিক্রমদের গল্প প্রাণভরে।
ভাষা আন্দোলন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শহিদ হয়েছে যতো বিদ্রোহী আত্মা,
তোমরাই তো স্বাধীনতা, স্বাধীন দেশের সত্তা।
যারা দিলো আত্মত্যাগ মোরা আজ তাদের প্রতি চিরঋণী,
কবিকে আজকে গাইতে দে, চারিদিকে বাজছে বিজয়ের ধ্বনি।
রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে ভেসে আসছে জয় বাংলার মহাসুর,
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে বহুদূর।
যারা দিলো আত্মত্যাগ মোরা আজ তাদের প্রতি চির ঋণী,
কবিকে আজকে গাইতে দে, চারিদিকে বাজছে বিজয়ের ধ্বনি।
রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে আলোকিত হচ্ছে বিজয়ের মণি,
কবিকে আজকে গাইতে দে, চারিদিকে বাজছে বিজয়ের ধ্বনি।
কবিকে আজকে গাইতে দে, চারিদিকে বাজছে বিজয়ের ধ্বনি।