প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বিমান বন্দর ঘোষণার দাবিতে লন্ডনে আলোচনা সভা
পয়লা অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ কমিউনিটি সেন্টারে সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করার দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে নিয়ে এক জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।সাপ্তাহিক বাংলা পোস্ট পত্রিকার অনারারী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী ও মোহাম্মদ আব্দুর রবের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট গণদাবি পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শফিকুর রহমান। অন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মোস্তফা, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খান জামাল নূরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি জামান সিদ্দিকী, সাবেক মেয়র কাউন্সিলর ফারুক চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলর ছয়ফুল আলম, গোল্ডেন ড্রিমসের সভাপতি মিসেস কামরুন্নেছা খানম শোভা মতিন, ব্রিকলেন ট্রাস্টের সভাপতি শাহ মুনিম, সময় সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ আজম আলী, কমিউনিটি নেতা শেখ ফারুক আহমদ, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার সাঈদুজজামান সুমন, দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার অন্যতম পরিচালক শাহ শেরওয়ান কামালী, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ফ্রান্সের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হাবিব, সুনামগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা হাজী ফারুক মিয়া, রেনেসাঁ সাহিত্য মজলিস ইউকের সাধারণ সম্পাদক কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উন্নয়ন সংস্থার সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক ড. আজিজুল আম্বিয়া, কমিউনিটি সংগঠক ইউসুফ জাকারিয়া খান, সাংবাদিক আমিনুর রশীদ, গহরপুর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল মিয়া, আব্দুস শহিদ, জমির হোসেন, কমর আলী, অ্যাডভোকেট আরিফ আহমদ, শরিফ উদ্দিন, হরোফ খান, মোঃ জিতু মিয়া, সৈয়দ মামুন আহমদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রত্যেক সরকার সিলেটবাসীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে । বিভিন্ন অজুহাতে বিগত ২২ বছরেও সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করা হয়নি। এছাড়া এখানে বাংলাদেশ বিমান ছাড়া অন্যান্য এয়ার লাইন্স অবতরণের কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না এবং সিলেট বিভাগের
প্রবাসী যাত্রীদের জিম্মি করে বিমান অত্যধিক ভাড়া নিচ্ছে। এর ফলে অনেক প্রবাসী পরিবার পরিজন নিয়ে বাংলাদেশে যেতে পারছেন না ।২০২০ সালে ওসমানী বিমান বন্দরে শুরু করা নতুন টারমিনাল ভবনের কাজ আজ পর্যন্ত শেষ হয়নি। এজন্যে সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় ।
বক্তারা অনতিবিলম্বে ওসমানী বিমান বন্দরে কাতার, তুরস্ক, সাউদিয়া ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালুর দাবি জানান ।সিলেটবাসীর এ ন্যায়সঙ্গত দাবি না মানলে বাংলাদেশ বিমান ও সোনালী ব্যাংক বয়কটসহ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা ।
সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমীপে সরাসরি ডেলিগেশন প্রেরণ ও দেশে বিদেশে আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয় ।
এছাড়া সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বাস্তবায়ন কমিটি নামে একটি ক্যাম্পেইন কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির কর্মকর্তারা হচ্ছেন : আহ্বায়ক-কে এম আবু তাহের চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক-শেখ মোঃ মফিজুর রহমান, কাউন্সিলর ফারুক আহমাদ চৌধুরী, জামান সিদ্দিকী ও মোঃ আজম আলী; সদস্য সচিব- মোহাম্মদ আব্দুর রব, যুগ্ম সদস্য সচিব- খন্দকার সাঈদুজজামান সুমন, অর্থ সচিব-সলিসিটর মোহাম্মাদ ইয়াওর উদ্দিন, যুগ্ম অর্থ সচিব-শাহ শেরওয়ান কামালী, প্রচার ও তথ্য সচিব-সাঈদ চৌধুরী, সদস্য-বীর মুক্তিযোদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, শেখ ফারুক আহমদ, ড. আজিজুল আম্বিয়া, ড. এম এ আজিজ, খান জামাল নূরুল ইসলাম, ছয়ফুল আলম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, হরোফ খাঁন, জমির হোসেন, আব্দুস শহিদ, কমর আলী, শরিফ উদ্দিন, ইউসুফ জাকারিয়া খান, হাজী ফারুক মিয়া, হাজী মোঃ হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, আমিনুর রশিদ, মোঃ জিতু মিয়া, সৈয়দ মামুন আহমদ, মো. আবুল মিয়া, কামরুন্নেসা খানম শুভা মতিন, অ্যাডভোকেট আরিফ আহমদ ও মোহাম্মদ নুরুল হক। সভায় বিভিন্ন শহর থেকে আরো প্রতিনিধি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।