মিশরের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হাসান মাহমুদের শুভেচ্ছা

মিশরের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. বদর আবদেল-আতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সবার জন্যে শান্তি, উন্নয়ন ও সুরক্ষার লক্ষ্য অর্জনে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

গত বুধবার (৩ জুলাই) মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি কর্তৃক মন্ত্রি পরিষদে ড. বদর আবদেল-আতিকে নিয়োগ দেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র, অভিবাসন ও প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে আপনার নিয়োগের জন্যে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। শিক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি, পর্যটন, প্রতিরক্ষা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের ঐতিহ্যগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কয়েক দশক ধরে স্থিরভাবে গড়ে উঠেছে দেখে আমি আনন্দিত। আমি আমাদের দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রশংসা করি। কারণ উভয় দেশই পারস্পরিক স্বার্থ এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে জাতিসংঘ, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন, ওআইসির সহযোগিতায় আঞ্চলিক এবং বহু পাক্ষিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করে আসছে। আমি নিশ্চিত যে, আপনার দায়িত্ব, অভিজ্ঞতা এবং মিশরের কূটনীতিক শিষ্টাচারে বৈদেশিক নীতি এবং আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখবে। আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করতে আপনার সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমি আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু পাশাপাশি আপনার সাফল্য কামনা করি।

৫৮ বছর বয়সী ড.বদর আবদেল-আতি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী সামেহ শোকরি এবং অভিবাসন ও প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী ড. সোহা গেন্ডির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

৩৫ বছরের কূটনৈতিক কর্মজীবনে আবদেল-আতি ১৯৮৯ হালে পেশাদার কুটনীতিক হিসেবে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।

কর্মজীবনে তিনি বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে মিশরের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জার্মানিতে মিশরের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ড. আতি পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-সহকারী মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতি বিভাগের পরিচালক ও ফিলিস্তিনি বিষয়ক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইসরায়েলে মিশরীয় দূতাবাসে বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।