জার্মানিতে ফ্রেন্ডস্ অ্যান্ড ফ্যামিলির পিঠা উৎসব

শুক্রবার ফ্রাংকফুর্টের স্থানীয় প্রীসহাইমের একটি হলে ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির উদ্যোগে আনন্দঘন পরিবেশ বাঙালির চিরচেনা পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন ছোট্ট শিশু উরিশা, এরপর জাতীয় সংগীত ও নাত পরিবেশন করে তোবা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বাংলাদেশিদের প্রায় ৪ শ' থেকে ৫ শ' প্রবাসী ও দর্শনার্থী ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির পিঠা উৎসবে উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলার ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের প্রবাসী বাঙালিদের চেতনায় লালন করা এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। যেন নতুন প্রজন্ম বিদেশের মাটিতে মাতৃভূমির দেশীয় সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাহারি রকমের ক্রীড়া যেমন : হাড়ি ভাংগা, চেয়ার সেটিং, বল নিক্ষেপ ইত্যাদি ছিল উৎসবের আরো একটি প্রাণবন্ত দিক। এসব ক্রীড়ায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রবাসী ফ্রেন্ডস্ অ্যান্ড ফ্যামিলির সদস্যরা নিজ নিজ অঞ্চলের ঐতিহ্যের সমন্বয়ে তৈরি বাহি পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ পুলি, ঝাল পুলি, পাটিসাপটা, দুধপাকন, বিবিখানাসহ প্রায় ২০ রকমের পিঠার বাহারে অনুষ্ঠানটি মুখরিত করে তোলে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জার্মানি প্রবাসী শিল্পী মুনিম একের পর এক গান পরিবেশন করে সকলকে মাতিয়ে রাখেন। আখি ও রোকন ফয়সালের গান , আশমির নৃত্য, মীর জাবেদা ইয়াসমিন ইমির আবৃত্তি মুগ্ধ করে সবাইকে। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে জার্মানিতে আগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি। প্রবাসে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি, সেক্রেটারি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও অন্য সদস্যবৃন্দ। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও ট্রেন ধর্মঘট থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন শহর থেকে উপচেপড়া প্রবাসীদের ভিড় ছিল মিলনমেলারূপী এই অনুষ্ঠানে। ব্যতিক্রমধর্মী এই সংগঠনের সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রবাসী সদস্যরা তাদের আন্তরিকতার সবটুকু দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত করে তোলে।