শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মিশরের রাজধানী কায়রোর আর মা'দী এলাকার কূটনৈতিক পাড়ায় অনুষ্ঠিত হলো মিশর-মেক্সিকোর ৬৫ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও জাতীয় দিবস। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার সহধর্মিণী সহ দূতাবাসের অন্য কূটনীতিকদের নিয়ে যোগ দিলেন এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটিতে। কায়রোস্থ মেক্সিকান রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনের বিশাল বাগানে অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে মিশরে কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, দেশটির সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী সহ অন্তত ছয় শতাধিক বিশেষ অতিথি অংশ নেন।

কায়রোতে মেক্সিকান দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও গণমাধ্যমের কর্মী আফছার হোসাইন বলেন, দীর্ঘ প্রবাস জীবনে নিজ জন্মভূমির প্রতি আনুগত্যে রেখে, সব সময় চেষ্টা করি নিজ দেশের প্রতিনিধিদের যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করতে।

মেক্সিকো দূতাবাসের বিশাল এই অনুষ্ঠানে ৬শতাধিক অতিথি পেয়ে আমি যতোটা না খুশি হয়েছি, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি আমার দেশের রাষ্ট্রদূত, তার সহধর্মিণী, দূতাবাস প্রধান ও ২য় সচিবকে পেয়ে।

আফছার হোসাইনের সহধর্মিণী নাজমা হোসাইন বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত আমি মিশরের মেক্সিকান দূতাবাসের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে আসি। প্রতি বছরই এই দূতাবাস ও আমার স্বামী আমার দেশের রাষ্ট্রদূত সহ অন্যান্য কূটনীতিককে নিমন্ত্রণ করে থাকে। এর আগে শুধু রাষ্ট্রদূত ও তার সহধর্মিণী আসলেও এই প্রথম রাষ্ট্রদূত তার সহধর্মিণী ও অন্যান্য কূটনীতিককে সাথে নিয়ে যোগ দিলেন দেশটির জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে, যা দেখে আমার খুবই ভাল লাগছে। বিশেষ করে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের ম্যাডামকে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।

উল্লেখ্য যে, কিশোরগঞ্জ জেলা, করিমগঞ্জ উপজেলা, গোজাদিয়া ইউনিয়ন, টামনী আকন্দ পাড়া গ্রামের আফছার হোসাইন দীর্ঘ ২৯ বছর যাবত মেক্সিকান দূতাবাসে কর্মরত রয়েছেন। গত ২০২০-এর ১৫ সেপ্টেম্বর দেশটির জাতীয় দিবসে মেক্সিকান সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পুরস্কার অঠলী (ঙঐঞখও) সম্মানে ভূষিত হন এই প্রবাসী। তাছাড়াও একাধিক বার মিশরের আল-আহরাম পুরস্কার ও দূতাবাসের রজত জয়ন্তী পুরস্কারেও পুরস্কৃত হয়েছেন আফছার হোসাইন।