বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারের কোনো বিকল্প নেই। শনিবার জার্মানির বন শহরে জার্মান আওয়ামী লীগের এনআরডাব্লিউ শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন বক্তারা। সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি এবং সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু ও সর্ব ইউরোপীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি আমিনুর রহমান খসরু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরে হাসনাত শিপন, জাহাঙ্গীর হোসেন, নূরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জামশেদ আলম রানা, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ ইসলাম, দেলোয়ার জাহিদ বিপ্লব, জার্মান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন ইসলাম, শাহজাহান ভূঁইয়া, কায়সার আলম, এম. দিদারুল ইসলামসহ অনেকে।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি সাবেক চিফ হুইপ, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, আর তাই মানুষ আবারো শেখ হাসিনার সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে।

সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে হবে।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী যুবরাজ তালুকদার তৃতীয়বারের মতো সভাপতি এবং মোবাশ্বের হোসাইন সুমন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুঁইয়াকে জার্মান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল প্রবাসীকে সাথে নিয়ে জার্মান আওয়ামী লীগ সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে বলে সভায় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, যুবরাজ তালুকদার ২০১৪ সাল থেকে জার্মান আওয়ামী লীগের এনআরডাব্লিউ শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। এছাড়াও তিনি ২০১৮ সাল থেকে কোলন নগরীতে অবস্থিত অর্থনৈতিক আদালতের অবৈতনিক বিচারপতি এবং বন নগরীস্থ হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তিনি।