প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
রাসূল (সাঃ)-কে ভালোবাসা একজন মুসলমানের ইমানের অন্যতম দাবি। দু'জাহানেই ইমান এক দামি দৌলত। ইমানকে পরিপূর্ণ করতে অন্তরে রাসূল (সাঃ)-এর প্রেম লালন করা একজন মুমিনের অপরিহার্য বিষয়। হাদিসে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত ওমর (রাঃ) রাসূলের দরবারে এসে তাঁকে ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করলেন। হুজুর (সাঃ) তার ভালোবাসার পরিমাণ জীবনের চেয়ে বেশি কি না জানতে চাইলেন। ওমর (রাঃ) বললেন না-জীবনের চেয়ে বেশি নয়। এ কথা শুনে হুজুর (সাঃ) আল্লাহর কসম খেয়ে ওমর (রাঃ) কে ইমানের অপূর্ণতার কথা জানালেন। কিছুক্ষণ পর ওমর (রাঃ) পুনরায় এসে রাসূলের প্রতি জীবনের চেয়েও অধিক ভালোবাসার সংবাদ দিলেন। এবার তিনি তার ইমান পূর্ণতার সুসংবাদ দিলেন।
কোরআনুল কারিমে আল্লাহ নবীকে লক্ষ্য করে বলেন, হে নবী আপনি জানিয়ে দিন, যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাস তাহলে আমাকে অনুসরণ কর,পরিণামে আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে ভালোবাসবেন, তিনি তোমাদের গুনাহকে ক্ষমা করে দিবেন এবং প্রবাহমান নহর বিশিষ্ট জান্নাতে জায়গা দিবেন। (আলে ইমরান : ৩১) সুরা হাশরে ৭নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের রাসূল যা করার প্রতি সম্মতি দিয়েছেন তা গ্রহণ কর আর যা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তা বর্জন কর। তিরমিজী শরীফের এক হাদিসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতের অনুসরণ করবে, সে যেন আমাকেই অনুসরণ করল। আর যে ব্যক্তি আমাকে অনুসরণ করল সে জান্নাতে আমার সাথেই বসবাস করবে। সুরা আহজাবে ৭১ নং আয়াতে সফলতার ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে একনিষ্ঠ আনুগত্য করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে মহা সফলতা দান করবেন।
বিপর্যস্ত পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে রাসূল (সাঃ)-কে ভালোবেসে তাঁর আদর্শ অনুসরণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ ও মত নেই। তাই আসুন সুখী-সমৃদ্ধশীল পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্ব গড়তে মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুন্নাতের অনুসারী হই। হই নবী প্রেমিক..!
লেখক : খতিব, মোমেনবাগ জামে মসজিদ, পুরাণবাজার, চাঁদপুর।