প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
নামাযে মোবাইল ফোন বেজে উঠলে যা করবেন : অনেক সময় ভুল বশত মোবাইল ফোন বন্ধ না করেই আমরা নামাযে দাঁড়িয়ে যাই। নামাযে হঠাৎ ফোনে কল আসলে অনেকে কিংকর্তব্য বিমুখ হয়ে পড়ে, তখন কি করবে।তখন কি নামায ছেড়ে মোবাইল বন্ধ করতে হবে। না নামাযের মধ্যে মোবাইল পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে মোবাইল বন্ধ করব।
নামায আল্লাহ হুকুম পালন। নামাযে ধ্যান আল্লাহর প্রতি থাকবে। নামায যখন পড়বই, তখন মোবাইল কেন খোলা থাকবে ? অনেকের মোবাইলে রিংটোন হিসেবে গান দেয়া, অনেকের মোবাইলে গানের রিংটোন দেয়া। নামাযে এ রকম টোন বাজলে সত্যিই অন্যায় করা হয়, কারণ! আমার কারনে মসজিদে গান বাজল? একবারও ভেবে দেখেছেন।
আমাদের করণীয় : মসজিদে প্রবেশের পূর্বেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিতে হবে। এটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
মোবাইলে গান বা গানোর রিংটোন দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
নামাজের পূর্বে মোবাইল সাইলেন্ট বা বন্ধ করতে ভুলে গেলে, নামাযে হঠাৎ কল চলে আসলে ও রিংটোন বেজে উঠলে একহাত দিয়ে মোবাইলের যেকোন একটি বাটন একটি চাপ দিলেই মোবাইলের শব্দ বন্ধ হয়ে যাবে।
মোবাইল পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে বন্ধ করবেন না।নামাযে দুই হাত দিয়ে মোবাইল বন্ধ করবেন না।
তাহলে ক্ষেত্র বিশেষে নামায মাকরূহ হতে পারে। আমলে কাছিরের কারনে নামায ফাসেদ হতে পারে।
মোবাইল রিংটোন যদি বন্ধ না করেন, তাহলে! একজনের কারনে সকলের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে এরশাদ করেন -
অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মু’মিনগণ।যারা নিজেদের সালাতে বিনয়, নম্র। (২৩ সূরা মুমিনুন :১-২)
সুতরাং পরিতাপ সেই সালাত আদায়কারীদের জন্য।যারা তাদের সালাতে অমনোযোগী। (সূরা মাউন :৪-৫)
নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহর সাথে প্রতারণা করে এবং তিনিও তাদেরকে ঐ প্রতারণা প্রত্যার্পণ করছেন; এবং যখন তারা সালাতের জন্য দাঁড়ায় তখন লোকদেরকে দেখানোর জন্য আলস্যভরে দাঁড়ায় এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। (নিসা -১৪২)
পরিশেষে বলব, নামায আল্লাহর হুকুম পালনের ইবাদত। নামাযের প্রতি অমনোযোগী না হয়ে নামাযের জন্য সকল বিধান মেনে চলতে হবে।
সুন্নাত শিখি
স্বাস্থ্য রক্ষার সুন্নাত সমূহ :
১.খুব জোরে হাঁটা। - বুখারী
২. দিনের বেলা দুপুরের পর কায়লুলা (হাল্কা বিশ্রাম) করা। - বুখারী।
৩. রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। - আবূ দাউদ
৪. মধু,কালোজিরা,খেজুর ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। - বুখারী মুসলিম।
৫. গোসল করা। - বুখারী
৬. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। - মুসলিম
৭. কোন অস্থিরতা (টেনশন) না করে আল্লাহর উপর সব কাজে ভরসা করা। - মিশকাত
৮. এই দোয়া পড়া- "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়্যাহ ফিদদুনইয়্যা অল আখিরহ "। অর্থ - হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের সুস্হতা ও কল্যাণ কামনা করছির।- নাসাঈ
ইসলামী গল্প
গুপ্তধন পেয়ে যা করল : বর্ণিত আছে, সম্রাট কিসরা ছিলেন সকল সম্রাটের চেয়ে ন্যায় নিষ্ঠাবান। কথিত আছে, একলোক এক ব্যক্তির নিকট থেকে বাড়ি ক্রয় করেছিলো। ক্রেতা তার বাড়িতে একটি গুপ্তধন পেলো। সে বিক্রেতাকে এ বিষয়ে অবগত করলো। বিক্রেতা বললো, তোমার নিকট আমি বাড়ি বিক্রি করেছি তার কোনো গুপ্তধন সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। যদি তাতে কোনো প্রকার ধন থেকে থাকে তবে তা তোমার। ক্রেতা বললো, তা তোমাকেই নিতে হবে, কেননা যা আমি ক্রয় করেছি তার মধ্যে এ গুপ্তধন অন্তর্ভুক্ত নয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে তর্কবিতর্ক হলো। অত:পর উভয়ে (সম্রাট) কিসরার নিকট মুকাদ্দামা পেশ করলো। উভয়েই সম্রাটের সামনে দাঁড়িয়ে গুপ্তভাণ্ডার সম্পর্কে আলোচনা করলো । শির নুইয়ে সম্রাট দীর্ঘ সময় চিন্তা করলেন। এরপর উভয়কে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কোনো সন্তান আছে কি? বিক্রেতা বললো, আমার একটি প্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র রয়েছে। ক্রেতা বললো, আমার রয়েছে এক কন্যা। সম্রাট তাদেরকে বললেন, তোমাদের দু'জনকে আমি কন্যার সাথে পুত্রের বিবাহ করিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। যাতে তোমাদের (উভয়ের) মাঝে গড়ে উঠে সুসম্পর্ক ও আত্মীয়তার বন্ধন । আর তোমরা তাদের কল্যাণে ঐ সম্পদ ব্যয় করো। মহামান্য সম্রাটের আদেশ পালনার্থে তারা তা-ই করলো।(কালয়ূবী)
ইসলামী সাধারণ জ্ঞান
প্রশ্ন : আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তর : আল্লাহ্।
প্রশ্ন : মহানবী (সা)-এর শিক্ষক কে ছিলেন?
উত্তর : স্বয়ং আল্লাহ।।
প্রশ্ন : খাতামুন নাবিয়্যন কে?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (সা)।
প্রশ্ন : ইসলামের প্রথম মুআযযিন কে?
উত্তর : বিলাল (রা:)।
প্রশ্ন : দুনিয়ায় থাকতেই জান্নাতের সু-সংবাদ প্রাপ্ত সাহাবীর সংখ্যা কতো?
উত্তর : ১০ জন।
প্রশ্ন : কোন সাহাবী কাবা গৃহে জন্ম লাভ করেন?
উত্তর : হযরত আলী (রা:)
প্রশ্ন : আরবী কোন মাসকে বসন্তের মাস বলা হয়?
উত্তর : রবিউল আউয়াল।
মুফতি মুহাঃ আবু বকর বিন ফারুক : খতিব, বিষ্ণুপুর মনোহরখাদী মদিনা বাজার বাইতুল আমান জামে মসজিদ, চাঁদপুর সদর।