প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদী গ্রামে অবস্থিত আমিরাবাদ জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ। এ মসজিদটি অত্যন্ত সুন্দর্য্যমণ্ডিত কারুকাজে খচিত। যা দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। অত্র এলাকা ও আশপাশের এলাকায় এ মসজিদে নামণ্ডডাক ব্যাপক।
এ মসজিদের মাঝ বরাবর তিনটি বড় গম্বুজ রয়েছে। এর মধ্যে মাঝের গম্বুজটি একটি বড় দু পাশের দুটি বড়টা হতে কিছুটা ছোট। তিনটি গম্বুজের নিচেই মূল মসজিদটি। মসজিদের কোণে ছোট ছোট মিনার রয়েছে। যা অত্যন্ত কারুকাজখচিত। মসজিদে সাথে একটি বারান্দা রয়েছে। পুরো বারান্দা খোলা রাখা হয়েছে। কারুকাজে খচিত সুন্দর ডিজাইনের অনেকগুলো গেইট-সদৃশ্য বারান্দা। মাঝে মাঝে ফুল ও লতাপাতার ডিজাইন। মসজিদের বামপাশেই শত শত বছরের পুরনো কবরস্থান। এ কবরস্থানই চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান। এ মসজিদটি আমিরাবাদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ বা মিয়া বাড়ি মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদের বর্তমান ইমাম ও খতিব, হাফেজ সাদেকুল ইসলাম। যিনি দীর্ঘ ২৫ বছর এ মসজিদে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ মসজিদটি মরহুম গোলাম কাদির চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদ পরিচালনার ব্যয় মিটানোর জন্যে ১৮ কানি জমি দান করেন। ১৮ কানি জমির আয় দিয়েই মসজিদটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
মসজিদের সামনে বাউন্ডারী দেয়া খোলামেলা সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে। যেখানে মসজিদ ও বারন্দার সাথে যুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা যায়। মসজিদটি অতি পুরনো গম্বুজ-সদৃশ। মসজিদে একসাথে প্রায় ১৫০/২০০শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
অত্র মসজিদে আশুরা, মিলাদুন্নাবী, শবে মেরাজ, শবে বরাত, শবে ক্বদর পালন হয়। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বাৎসরিক ওয়াজ-মাহফিল, রমজানে খতম তারাবীহ, রমজানে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন হয়।
এছাড়াও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনেক অনুষ্ঠান হয়। মসজিদে এ পর্যন্ত ক’জন মোতাওয়াল্লির নাম হলো : গোলাম আশ্রাফ চৌধুরী, গোলাম ছামদানী দুলাল চৌধুরী, গোলাম নবী চৌধুরী, গোলাম সাবের চৌধুরী, গোলাম হাফেজুল হক চৌধুরী, গোলাম মালেক চৌধুরী প্রমুখ।