প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
সামাজিক বনায়ন
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে এবং জনগণ দ্বারা সৃষ্টি বনকে সামাজিক বনায়ন বা বন বলে। সামাজিক বনায়ন যেমন : (১) কমিটি বনায়ন (২) গ্রামীণ বনায়ন (৩) অংশীদারিত্ব বনায়ন (৪) স্বনির্ভর বনায়ন (৫) পল্লী বনায়ন।
সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা :
ক. প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা, পরিবেশ দূষণ ও মরু প্রক্রিয়া থেকে দেশকে রক্ষা করা।
খ. ভূমির সুষ্ঠু ও উৎপাদনমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা।
গ. দেশের বিরাজমান গাছ ও জ্বালানি কাঠের ঘাটতি নিরূপণ করা।
ঘ. গ্রামীণ ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের কাঁচামাল ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ঙ. পতিত অনাবাদী ও প্রান্তিক জমির সদ্ব্যবহার করা।
সামাজিক বনায়ন কোথায় কোথায় করা যেতে পারে :
সরকারি বনভূমি ব্যতীত বাংলাদেশে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রচুর সুযোগ রয়েছে, যেমন--রাস্তার ধার, পতিত জমি, সড়কের ধার, প্রান্তিক জমি, নদী ও খালের পাড়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ, বাঁধের পাড়, অফিস অঙ্গন, জলাশয় ও পুকুরপাড়, মসজিদের অঙ্গন, কাউন্সিলের রাস্তার ধার, গোরস্তান, কৃষি জমির আইল, উদ্যান, বসতবাড়ির আশেপাশ, শিল্প এলাকা, শহরের প্রধান সড়কের পাশ, গো-চারণ ভূমি, বাণিজ্যিক এলাকা ও উপকূলীয় এলাকা- এসব।