প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বাঁশ গাছ চাষের সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, অনুর্বর জমিতে বাঁশ গাছ চাষ করতে কোনো ঝক্কি নেই। পাশাপাশি এই চাষে খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না। আর একটি বড় সুবিধা হলো, একবার রোপণ করা হলে ৫০ বছরের জন্যে এর থেকে আয় আশা করা যেতে পারে। এছাড়া অন্য চাষের মতো বাঁশ গাছ চাষ করায় খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। এসব কারণে জন্যেই কৃষকরাও ধীরে ধীরে বাঁশ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। ভারতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা ফসলের মধ্যে বাঁশ অন্যতম এবং এটি ‘দরিদ্র মানুষের কাঠ’ হিসেবেও পরিচিত। চীনের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁশ উৎপাদনকারী দেশ। দেশে বার্ষিক বাঁশের উৎপাদন আনুমানিক ৩.২৩ মিলিয়ন টন।
একটি হিসাব বলছে, বাঁশ চাষে ৪ বছরে এক হেক্টর জমি থেকে ৪০ লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এছাড়া বাঁশ চাষের মাঝের ফাঁকা জমিতে অন্য ফসল রোপণ করাও সম্ভব। বাঁশচাষ অনেক লাভজনক। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কাজে লাগে বাঁশ। বাঁশের তৈরি ফার্নিচার, নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন হস্তশিল্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইপিজেডে তৈরি হচ্ছে বাঁশের কফিন, যা রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপে। বাঁশের বাঁশি দেশের গন্ডি ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। কাগজ তৈরি হচ্ছে বাঁশ দিয়ে। বাঁশের তৈরি পণ্য পরিবেশবান্ধব হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাঁশচাষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়। বর্তমানে কাটিং ও কঞ্চি কলম পদ্ধতিতে বাঁশ চাষ করে বিভিন্ন জেলার কৃষকরা সফলতার মুখ দেখছেন। সারাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ পদ্ধতিতে বাঁশ চাষ। কলম কাটার জন্যে সুস্থ, সবল, অপেক্ষাকৃত মোটা আকৃতির এক বছর বা তার কম বয়সের বাঁশ নির্বাচন করতে হবে। বাঁশের গা ঘেঁষে আঙ্গুলের মতো মোটা কঞ্চি হাত করাত দিয়ে কেটে সংগ্রহ করতে হবে। কঞ্চির গোড়া থেকে ৩-৫ গিঁট বা দেড় হাত লম্বা করে কঞ্চি কলম কাটতে হবে। সংগৃহীত কঞ্চিগুলো নার্সারি বেডে লাগানোর পূর্ব পর্যন্ত ভেজা চট দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন অথবা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কার্তিক-মাঘ (অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি) মাস বাদে সারা বছরই কঞ্চি কলম করা যাবে। ফাল্গুন-আশ্বিন (মার্চণ্ডসেপ্টেম্বর) মাস কঞ্চি কলম কাটার উপযুক্ত সময়।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর গ্লোবাল ব্যাম্বু রিসোর্সেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রজাতি বৈচিত্র্য ও উৎপাদনগত দিক বিবেচনায় ৩৫ প্রজাতির বাঁশ নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম স্থানে। ৫০৪ প্রজাতির বাঁশ নিয়ে বিশ্বে প্রথম চীন। ব্রাজিল ২৩২ প্রজাতি নিয়ে দ্বিতীয়। তালিকায় ১৩৯ প্রজাতি নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। বাঁশের কচি মণ্ড থেকে তুলা ও সুতা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ওষুধ হচ্ছে। বেদে সম্প্রদায়ের ব্যাম্বু ম্যাসেজ একটি অতি পরিচিত থেরাপি। বিশ্বের অনেক পর্যটন শহরে প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা দিতে গড়ে উঠেছে ব্যাম্বু থেরাপি সেন্টার।
গ্রামাঞ্চলে বাঁশের গুরুত্ব অপরিসীম। স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ড বানানো হয় বাঁশ দিয়ে। গৃহনির্মাণ থেকে হস্তশিল্পসহ নিত্যদিনের ব্যবহার্য বিবিধ জিনিসপত্র তৈরির কাজে বাঁশ ব্যবহার হয়। ঘর, ক্ষেতের বেড়া ও খুঁটি, সবজির মাচায় বাঁশ লাগে। গ্রামের ছোট নালা বা খাল পেরুতে লাগে বাঁশের সাঁকো। তোরণ ও প্যান্ডেল তৈরি, শহরের ভবন নির্মাণেও কাজে লাগে বাঁশ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে করপোরেট অফিস--সবখানেই নানাভাবে ব্যবহার হয় বাঁশ।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাঃ হালিমা বেগম বলেন, বাঁশ পুষ্টিও জোগায়। কচি বাঁশের নরম কাণ্ডে খাদ্যগুণ ও স্বাদের কারণে চীন, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে বাঁশ ভেজিটেবল হিসেবে বেশ সমাদৃত। কচি বাঁশের ডগা বা বাঁশ কড়া মুখরোচক সবজি হিসেবে খাওয়ার উপযোগী। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী বর্ষা মৌসুমে বাঁশের কাণ্ড খেয়ে থাকেন। বাঁশের শাখা ও পাতা উত্তম পশুখাদ্য। বিরল প্রজাতির পান্ডা কচি বাঁশ ও পাতা খেয়েই বেঁচে থাকে। হাতির কাছেও বাঁশ পাতা একটি প্রিয় খাবার।
দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদের অন্যতম হচ্ছে বাঁশ। কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে বাঁশ। জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও ভূমিক্ষয় রোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বাঁশ। চীন বিশ্বে বাঁশ ও বাঁশজাত পণ্য রপ্তানি করে বিপুল অর্থ আয় করছে। বাঁশের ফার্নিচার ও আসবাবপত্র পরিবেশবান্ধব। জাপানে নদীভাঙ্গন রোধ ও বাঁধ রক্ষায় বাঁশ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বিশ্ব এগিয়ে যাওয়ার পালায় বড় ভূমিকা রাখছে বাঁশ।
জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশি প্রজাতির বাঁশের মধ্যে রয়েছে- মুলি, তলস্না, বরাক, ভুদুম, বেথুয়া, বাইজ্জা, লতা, ফারুয়া, করজবা, মাকলা ইত্যাদি। বাঁশগুলোর কোনোটির কাণ্ড পুরু, কোনোটির লতানো, কোনোটির ঘন আচ্ছাদন। তলস্না, মাকলা, ভুদুম বাঁশের কাণ্ড পুরু ও কাষ্ঠল হওয়ায় নলকূপের পাইপ, গ্রামীণ সাঁকো, ইমারত তৈরিতে ছাদ ঢালাইয়ের আগে সাটারিংয়ে ব্যবহার হয়। দেশে বছরে শুকনো বাঁশের চাহিদা অন্তত ১২ লাখ টন।
পরিবেশবিদ ডক্টর হোসনে আরা নাসিমা বলেন, বাঁশ উদ্ভিদ নয়। ঘাসের একটি জাত। উদ্ভিদের মর্যাদা পায়নি। মানুষকে বিব্রত করতে ও গালি দিতে বাঁশের ব্যবহার আদিকালের। গালি যতই দেয়া হোক, বাঁশ জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বাঁশকে বলা হয় গরিবের কাঠ। নিশীথ রাতে বাঁশের বাঁশির মোহনীয় সুর মানব হৃদয়ে স্বর্গীয় ভাব এনে দেয়। বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ঐ... কিংবদন্তি হয়ে আছে ছড়া কবিতাটি। অতীতে গ্রামীণ জীবনে বাঁশঝাড় ছিল কোনো বাড়ির পরিচিতির সূচক, যা গ্রামের লোক আজও বাঁশ বাগানকে বাঁশের ঝাড় বা আড়া বলে। গভীর রাতে বাঁশঝাড়ের নিচে যাওয়ার সময় গা ছম ছম করে ওঠে। বাতাসে বাঁশের ঠোকাঠুকিতে এক ধরনের ধ্বনি হয়। মনে ভয় তাড়া করে। ঘরগৃহস্থালিতে বাঁশের ব্যবহার আদিকালের। গোলা তৈরি, ঘরের খুঁটি, বেড়া, ডালা, কুলা, ঝাঁটা, মাথাল, হোঁচা, পলো, দাড়কি, লাঠি, মই, হস্তশিল্প, কারুপণ্য, বাঁশের শলাকার পর্দাসহ নানা কিছু তৈরিতে প্রয়োজন বাঁশ। জীবনের সকল অধ্যায়ে বাঁশ বন্ধু হয়ে আসে। বলা হয়, জন্ম থেকে মৃত্যু (কবরে) পর্যন্ত বাঁশের প্রয়োজন। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে বাঁশ। বাঁশ অন্যান্য গাছগাছালির চেয়ে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন উৎপাদন এবং বেশি মাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। গ্রামে লোকজন ছোট খাল পার হতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানায়। ইমারতের বাইরে প্লাস্টার ও রং করতে, তোরণ, প্যান্ডেল তৈরি, কোনোকিছু ঠেক দিতে, ঘরের খুঁটি, কুটির শিল্পসামগ্রী বানাতে বাঁশের দরকার। বাঁশে তৈরি হস্তশিল্প পরিবেশবান্ধব, যা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। বাঁশের মণ্ড থেকে বস্ত্রশিল্পের তুলা ও সুতা তৈরি হচ্ছে। কাগজকলের মণ্ড তৈরির কাঁচামাল বাঁশ।
বিদেশে প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যাম্বো ম্যাসেজ থেরাপি সেন্টার গড়ে উঠছে। হালে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ওষুধেও ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ।খাদ্য হিসেবেও বাঁশ এগিয়ে এসেছে। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন, কচি বাঁশের নরম কাণ্ড (বাঁশ কড়ুল) খাদ্যগুণ ও মুখরোচক স্বাদের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবে বড় আসন করে নিয়েছে। পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি লোকজনের কাছে বর্ষা মৌসুমের স্বাদের খাবার বাঁশের কাণ্ড। দুধের মধ্যে বাঁশপাতা রেখে অনেকক্ষণ টাটকা রাখা যায়। সম্প্রতি নতুন প্রজাতির বাঁশ তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পরিপক্ব হয়ে যায় বলে দেখা গেছে। এগুলোর ফলন বেশি।
বিএফআরআই ১৯৯০ সালে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে প্রথম মুলিবাঁশের নতুন প্রজাতি উদ্ভাবন করে। এরপর ২০১৯ সালে এসপার নামে বাঁশের ১৩তম নতুন প্রজাতির উদ্ভাবন হয়। ২০ থেকে ৫০ ফুট লম্বা বাঁশের সংখ্যা বেশি। চারা রোপণের পর ৫ বছরেই পূর্ণাঙ্গ বাগানে পরিণত হয়। বাঁশের বৃদ্ধি হয় দুইভাবে--১. বীজ, ২. অঙ্গজ। ঝাড়ের বাঁশে ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ফুল ধরে। এ সময় অনেক বীজ মাটিতে পড়ে। সেখান থেকে চারা গজায়। প্রকৃতির নিয়মেই বাঁশের গোড়া থেকে চারা বের হয়ে ঝাড় সৃষ্টি হয়। যাকে বলা হয় অঙ্গজভাবে বাঁশ তৈরি। লোকজন বলে মোথা পদ্ধতি। সব প্রজাতির বাঁশে শুরুতে কঞ্চি গজায়। প্রতিটি বাঁশেই থাকে অনেক গিঁট। লোকজন বলে গিঁট্যা। বাঁশ ব্যবহারের আগে উপরের গিঁট ছেঁটে ফেলতে হয়। বাঁশের কঞ্চি যত চিকনই হোক না কেন, এর আঘাত কম নয়। আরেক ধরনের বাঁশ বেশি লম্বা নয়। গিঁটগুলো খুব কাছাকাছি। অনেকে বলে অর্নামেন্টাল ব্যাম্বো। পাতার পরিমাণ বেশি। রোদের তাপ শোষণ করে শীতল ছায়া দেয়।
বাঁশের বীজ বা চারার অভাবে বাঁশ উৎপাদন ব্যাহত হয়। মোথার মূল্য বেশি এবং দুষ্প্রাপ্যতার কারণে চাষিরা বাঁশ চাষে নিরুৎসাহিত হয়। সাধারণত ডোবা, নালা, খাল, পুকুরপাড় বা বসতবাড়ির আশপাশে প্রান্তিক জমিতে বাঁশচাষ করা হয়। দোআঁশ ও এঁটেল মাটিতে বাঁশ ভালো হয়। মোথা লাগানোর ১৫-২০ দিন আগে নির্বাচিত স্থানের মাটি গর্ত করতে হয়। এজন্যে ৫০ সেন্টিমিটার গভীর এবং ৩০ সেন্টিমিটার চওড়া গর্ত করতে হবে। প্রতি গর্তে পচা গোবর ১৫ কেজি, ইউরিয়া ১০০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম এবং এমপি ৫০ গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ১৫-২০ দিন রাখতে হবে। মধ্যম বয়সি একটি বাঁশকে মাটি থেকে এক মিটার উঁচুতে কাটতে হয়। মোথায় ২-৩টি সজীব চোখ থাকতে হবে। মোথাসহ বাঁশটি তুলে আনতে হবে। বৈশাখণ্ডজ্যৈষ্ঠ মাসে মোথা রোপণের উপযুক্ত সময়। আগে করা গর্তে সার মাটি সরিয়ে একটু কাত করে মোথা রোপণ করতে হবে। মোথা থেকে মোথার দূরত্ব ৫-৬ মিটার হলে ভালো হয়। মোথা লাগানোর পর গোড়ার মাটি ভালো করে চেপে দিতে হয়। মোথা রোপণের পর বাঁশের কাটা মাথা পলিথিন বা অন্য কিছু দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। বৃষ্টি না থাকলে রোপণের পর কয়েক দিন পানি সেচ দিতে হবে।
বাঁশ উচ্চতায় এবং পরিধিতে প্রথম ৪-৫ মাসের মধ্যেই বেড়ে যায়। পরে শুধু বাঁশের পুরুত্ব বাড়ে। বাঁশ একবার রোপণ করার পর তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ঝাড়ে পরিণত হয়। প্রতি ঝাড়ে প্রায় ২৫-৫০টি বাঁশ হয়। দুই বছর বয়সে বাঁশকে দাবা কলমের মতো মাটিতে শুইয়ে দিতে হয়। বাঁশের গোড়া মাটির ভেতরে থাকবে। এরপর ওই বাঁশের উপর ভেজা মাটি চাপা দিতে হয়। বৈশাখণ্ডজ্যৈষ্ঠ মাসে শুইয়ে দিতে হয়। বাঁশের কিছু কিছু গিঁট থেকে নতুন শিকড় ও মোথার জন্ম হয়। সেখান থেকে নতুন বাঁশ বের হয়। বাঁশের চারা গিঁটসহ কেটে উপযুক্ত স্থানে রোপণ করতে হয়। খরা হলে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। চারার গোড়ায় মাটি তুলে দিয়ে আলগা করে দিতে হয়। কচুরিপানা দিয়ে চারার গোড়া ঢেকে দিলে মাটি ভেজা থাকে। বাঁশ ঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। কোনো বাঁশ রোগে আক্রান্ত হলে তা মোথাসহ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। অতিরিক্ত কঞ্চি হলে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ছাঁটাই করতে হবে। তিন বছর পর পর বর্ষার পরে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি সার দিতে হবে। কোনো বাঁশ ঝড়ে ভাঙলে কেটে সরাতে হবে। বাঁশে পোকা আক্রমণ করলে কীটনাশক দিতে হবে। সাধারণত দু'বছর বা তার বেশি বয়সের বাঁশ কাটা উচিত। বনাঞ্চলে সরকারিভাবে সাধারণত তিন বছর অন্তর বাঁশ কাটা হয়। বাঁশ পরিপক্ব হলে বাঁশের কাণ্ডের সবুজ বর্ণ ধূসর হবে। কাণ্ডে টোকা দিলে ধাতবের মতো শব্দ হবে। কাটার পর শুকিয়ে রাখলে কুঁচকে যাবে না।