বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

নতুনদের জন্যে বিতর্ক
মোহাম্মদ হানিফ

যে কোনো কেউ শুরু থেকে সবকিছু আয়ত্ত করতে পারে না এবং আপনি যদি আপনার জীবনে কখনও বিতর্ক না করেন তাহলে জিনিসগুলো শুরু করা সহজ হবে না। তাই নতুনদের জন্যে কিছু পরামর্শ।

প্রস্তুতিই মূল বিষয়

যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে ন্যূনতম একটি পূর্ব প্রস্তুতির দরকার। বিতর্ক করলেই জিতে না। জিততে হলে অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি থাকতে হবে।

তর্ক কী?

অহেতুক বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি করার নামই হলো তর্ক। তর্কে কোনো বিষয় পূর্বে উল্লেখ থাকে না। তর্ক করতে কোনো সময় লাগে না যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায় করা যায়। তর্ক করে কোনো জিনিসের সমাধানে আনা যায় না।

বিতর্ক কী?

বিতর্কের বিষয় পূর্বে উল্লেখ থাকে এবং তা নির্ধারিত। শিক্ষার্থীরা যে বিতর্ক করে তার একটি নির্দিষ্ট সময়, বিষয়, স্থান উল্লেখ থাকে, যেখান থেকে একটি সুন্দর সমাধান পাওয়া যায়, যা জীবনকে করে শাণিত। এক কথায়, যদি বলি তর্ক হলো ঝগড়া আর বিতর্ক হলো শিল্প।

আত্মবিশ্বাসী হতে হবে

একজন বিতার্কিক হিসেবে আপনি যা বলছেন তার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে। একজন আত্মবিশ্বাসী বিতার্কিক তখনই হয় যখন তার প্রস্তুতির কোনো কমতি থাকে না। প্রস্তুতিতে থাকে না কোনো ধরনের গাফিলতি বা অনীহা। একজন বিতার্কিক যতো বেশি প্রস্তুতি নিবে ততো বেশি আত্মবিশ্বাসী হবে।

আস্তে কথা বলুন

নবাগত বিতার্কিকদের একটি খুব সাধারণ সমস্যা হলো তাদের কথা বলার গতি। প্রায় দেখা যায়, বিতার্কিকরা এতো দ্রুত কথা বলে যা শ্রোতা, বিচারক বুঝে না। বিতার্কিকরা কখন, কীভাবে, কোন্ তালে, লয়ে, ছন্দে কথা বলবে তার কোনো চিন্তা না করে নিজের মতো করে বলে। যা দল হেরে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং নোট নিন

বিতার্কিকদের অবশ্যই গতি অনুসরণ করতে, তাদের সতীর্থদের সমর্থন করতে এবং প্রতিপক্ষকে আরও ভালোভাবে খণ্ডন করার জন্যে প্রতিটি বক্তৃতা এবং ধারণার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একজন বিতার্কিক সে বিতর্ক করার সময় প্রতিপক্ষ যে তথ্য দিয়েছে তার উল্টো বলে, কারণ সে প্রতিপক্ষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেনি। তাই সে প্রতিপক্ষ ও দর্শকদের কাছে হাস্যকর হয়ে উঠে। তাই প্রত্যেক বিতার্কিক অবশ্যই অন্যের বিতর্কটি গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। নোট থাকলে অনেক উপকার হয়, কারণ কেউ প্রতিটা পয়েন্ট মনে রাখতে পারে না।

উদাহরণ দিয়ে বলুন

উদাহরণ থাকলে আপনার বিতর্কের বাক্যগুলো অনেক বিশ্বাসযোগ্য, প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। এছাড়া দর্শকেরা বিতর্ক শোনার প্রতি আরো মনোযোগী হয়।

প্রতিপক্ষের মতো চিন্তা করার চেষ্টা করুন

প্রতিপক্ষ যে বিষয়গুলো জাহির করে সেগুলো সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। পয়েন্টগুলো শনাক্ত করতে হবে এবং সেই পয়েন্টগুলো বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে।

কথার সাথে সঠিক দৃষ্টিপাত

একজন বিতার্কিকের বড় গুণ হচ্ছে, তিনি যখন কথা বলবেন তখন কথা বলার ধরণ, কাকে ইঙ্গিত করে সেই অর্থ বুঝে তার দিকে তাকাতে হবে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যখন তিনি বিচারককে নিয়ে কথা বলেন, তখন তাকান দর্শকের দিকে। আর যখন প্রতিপক্ষের কথা বলেন তখন তাকান মডারেটরের দিকে।

সুতরাং, একজন নতুন বিতার্কিক অবশ্যই বিতর্ক করার আগে বিতর্কের নিয়ম এবং বিতর্কের কোনো কোনো বিষয় জানা থাকলে একটি ভালো বিতর্ক করা যায়, দলকে জিতানো যায় এবং সেরা বিতার্কিক হওয়া যায়। তাই উপরের বিষয়গুলো নিয়ে ভেবে-চিন্তে বিতর্ক করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়