প্রকাশ : ১২ মে ২০২৩, ০০:০০
কোথায় হারিয়ে গেল মধুমাখা শৈশব,
একদিন যাহা ছিল একান্ত বাস্তব॥
কীভাবে স্থান করে নিলে মনের স্মৃতিকোষে,
অবচেতন মনে স্মৃতির পর্দায় উঠে ভেসে॥
স্মৃতির রোমন্থন মনে জাগায় বেদনার শিহরণ,
ক্ষণিকের জন্য বার্ধক্যে ফিরে পায় শৈশব জীবন॥
শৈশবের চঞ্চলতা আর পরিবারের স্নেহাপ্লুত জীবন,
যৌবনে সংসার আর রোজগার করার ধান্ধা যেন সদৃশ পবন॥
প্রৌঢ়ত্বে সন্তান সু-শিক্ষিত করার দায়িত্ব পিতা-মাতার,
ব্যর্থতায় তারাই দেখবে বার্ধক্যে ঘোর অন্ধকার॥
নিদাঘে আম কুড়াতে যেতাম বাগানে শৈশবে,
মা ডাকতেন আয় খোকা ঘুম পাড়াবো তোকে॥
অবাধ্য হয়ে চলে যেতাম বন্ধুরা সহ-সরোবরে,
মায়ের ডাকেই উঠে আসতাম জলকেলী সেরে॥
শৈশবের পছন্দ খেলা ছিল গোল্লাছুট-দাড়িয়াবান্দা,
খেলা শেষ হতো, যখন নামিতো সূর্যাস্তের সন্ধ্যা॥
শৈশব কেটেছে মোদের আনন্দময় নিয়মানুবর্তিতায়,
নির্মল শৈশব আজি বিলুপ্ত, উগ্র আধুনিকতায়॥
শৈশবে শিখেছি মোরা নৈতিকতার আদর্শলিপি,
আজিকার টাচ্ মোবাইলে শৈশবের করুণ পরিণতি॥
শৈশবের নৈতিক ভিত্তি আজি গেল অতল রসাতলে,
পাঠ্য পুস্তকের চলমান আকাল যেন দুর্ভাগ্য জাতি ভালে॥