প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
সীমা আক্তার। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বপ্ন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করা। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
সীমা : আলহামদুলিল্লাহ্! বেশ ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
সীমা : আমি ৮ম শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
সীমা : স্কুলের সব শিক্ষকই আমার প্রিয়। তবে নিতান্তই কারো নাম উল্লেখ্য করতে হলে ‘অসীম গাইন’ স্যারের কথা বলবো। তিনি আমাদের বাংলা ব্যাকরণ পড়ান। ব্যাকরণের সব খুঁটিনাটি বিষয়কে তিনি বাস্তবভিত্তিক উদাহরণের মাধ্যমে খুব সহজে বুঝিয়ে দেন।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তার সম্পর্কে কিছু বলো।
সীমা : ক্লাসের সব সহপাঠীই আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে মিতু আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে আমার মন খারাপের সঙ্গী। ওর সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে সবসময়ই মুগ্ধ করে।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
সীমা : হ্যাঁ, আমি খেলাধুলা করি। আমার ব্যাডমিন্টন, কানামাছি ও লুডু খেলতে ভালো লাগে।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
সীমা : আমি অবসর সময়ে ছবি আঁকি ও গল্পের বই পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
সীমা : গরীব ও অসহায় মানুষ যখন টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়, আমি তখন প্রচণ্ড কষ্ট অনুভব করি। তাই আমি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে এসব মানুষের সেবা করতে চাই।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
সীমা : চাঁদপুর কণ্ঠের সাহিত্য পাতা ও শিশুকণ্ঠ বিভাগের লেখা পড়ে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার জ্ঞান আহরণে আমার তীব্র অনুরাগ জন্মেছে।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
সীমা : ঘুরে বেড়ানোর প্রতি আমার অনেক ঝোঁক রয়েছে। সময় পেলেই আমি নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, শাহ কামাল ও মানছুরা বেগম দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান সীমা আক্তার। শাহ কামাল একজন প্রবাসী ব্যবসায়ী। তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।